লন্ডন: এমসিএ’র কম্যুনিটি পুরস্কার প্রদান ও গালা ডিনার সম্পন্ন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং সুসম্পর্ক স্থাপন করে মানবিক অধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন গুণী ব্যক্তিদের অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করতে ব্রিটেনের বৃহৎ মুসলিম কমিউনিটি সংগঠন ‘মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন (এমসিএ)’র উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য অ্যাওয়ার্ডস সিরিমনি ও গালা ডিনার সম্পন্ন হয়েছে।
ভিন্ন ধর্মের মানুষ হয়েও যারা মুসলমানসহ সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় নিজেদের অবস্থান থেকে ছিলেন সোচ্চার, তারা মূলত মানবিক অধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় অধিকারকে উচ্চাসনে রেখে একে-অন্যের প্রতি সহমর্মী হয়ে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ ও গতিশীল সমাজগঠনের জন্য এক অনুকরণীয় অবদান রেখেছে।
এমসিএ এমন মহান ব্যক্তিত্বদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড’স প্রদান করতে গত ২১ জুলাই শুক্রবার লন্ডন মুসলিম সেন্টারে আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, কাউন্সিলর, সাংবাদিকসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট্যজনদের উপস্থিতিটিতে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, এমসিএ ভিন্নধর্মের গুণী ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্বদের পূরস্কৃত করে যে সম্মান প্রদর্শন করেছে সেটা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি অনুপম ও সম্মানজনক দৃষ্টান্ত। ইসলাম যে তাঁর অনুসারীদের শুধু পরধর্মের প্রতি সম্মানের শিক্ষা প্রদান করেনা, বরং সাথে সাথে ইসলাম তাঁর আলোতে আলোকিত অনুসারীদের সাম্য, সম্প্রীতি, সমাজঊন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন এবং মানবিক মর্যাদা সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার শিক্ষা প্রদানেও যে বড় উদাহরণ সেটাই এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিফলিত হল।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তাগণ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের সমাজের সত্যিকারের হিরো হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা ভিন্ন ধর্মকে শুধু সম্মানিতই করেননি বরং মৌলিক মানবিক মূল্যবেধের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গঠনে অনন্য অবদান রেখেছেন। তারা তাদের প্রতিটি কাজে ইসলামের প্রতি এবং এর অনুসারীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় ছিলেন এক একজন দিকপাল। এমসিএ’র এই সম্মাননা মৌলিক মানবিাধিকার রক্ষায় সোচ্চার মানুষগুলোকে আরও বেশী মানবিক কাজে উৎসাহিত করবে।
অ্যাওয়ার্ডস ও গালা ডিনার অনুষ্ঠানে লন্ডন ছাড়াও যুক্তরাজ্যর বিভিন্ন সিটি থেকে আমন্ত্রিত প্রায় পাঁচশত বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০টি অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়।
কমিউনিটি কোহেশন বা সামাজিক সম্প্রীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন ইস্ট লন্ডন সেন্ট্রাল সিনাগগের প্রেসিডেন্ট লিওন সিলভার এবং রানার্স আপ হিসাবে নির্বাচিত হন ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলাপম্যান্ট এজেন্সির সাবেক আন্তর্জাতিক পরিচালক ডেনিস হস, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন কমিউনিটির সেভ দ্য চিলড্রেন, চিলড্রেন সোসাইটি ও সোসাইটি অফ ফ্রেন্ডস-এবং ‘সিটিজেন ইউকে’ র প্রতিষ্ঠাতা নীল জেমসন এবং রানার্স আপ হন পপলার ও লাইমহাউস একশন ফর হাউজিং এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সিস্টার ক্রিস্টিন ফ্রস্ট এমবিই, শিক্ষা ও উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন জার্নালিস্ট পিটার ওবর্ন ওবিই এবং রানার্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন কেটর্স একাডেমির প্রিন্সিপাল জন কেটি মার্শাল, কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার বিভাগে বিজয়ী হন নরউইস সিটি কাউন্সিলের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও নিবেদিত সমাজকর্মী ভগান থমাস এবং রানার্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন সেন্ট জন্স বেথনালগ্রিনের রেভারেন্ড প্রিবেন্ডারি অ্যালান গ্রিন, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সাম্য ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন বৃটিশ পলিটিশিয়ান, ব্যারিস্টার এন্ড হিউম্যান রাইটর্স এক্টিভিস্ট ব্যারনেস শামি চক্রবর্তী সিবিই এবং রানার্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন বৃটিশ পলিটিশিয়ান, ইন্টেলিজেন্স এন্ড সিকিউরিটি কমিটি অফ পার্লামেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান ও বৃটেনের সাবেক এটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভ, কেসি, এমপি।
ইমাম আবদুর রহমান এবং ইমাম মুজ্জামিল আহমেদ-এর কণ্ঠে অর্থসহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক সুলতান আহমেদ।
মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা মুসলেহ ফারাদি’র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য রোশনারা আলী এমপি, আফসানা বেগম এমপি, টাওয়ার হ্যামলেটেস এর নির্বাহি মেয়র লুৎফুর রহমানের পক্ষে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মায়ূম তালুকদার, মুসলিম কাউন্সিল অফ বৃটেনের সেক্রেটারি জেনারেল জারা মোহাম্মদ (এমসিবি), সাবেক সেক্রেটারি ডা: সুজা সাফি, ইসলাম চ্যানেলের সিইও মুহাম্মদ আলী, নরউইচ কাউন্সিলের লিডার মাইক স্টোনার্ড, ইউকে ইসলামিক মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড: মুহাম্মদ আরিফ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত হোসেন এমবিই প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
মুসলেহ ফারাদী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জীবনে আমরা অনেক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু মুসলিম কমিউনিটির জন্য এই ইভেন্টটা খুবই স্পেশাল। ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া এবং ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে বর্তমান পরিবেশ কখনও কখনও ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলির আন্তরিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দেয়। সেসব বাধা কাটিয়ে যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের সংহতিকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করেছেন এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করেছেন৷ মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডস (এমসিএসএ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত তাদের এ গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং ভাল কাজের উৎসাহ প্রদানের জন্য।’
ফারাদী একটি সৌহার্দপূর্ণ সমাজ গঠনে এমসিএ’র ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, এই তৃণমূল সংগঠনটি মুসলমানদের মাঝে পারস্পরিক হৃদ্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর সুফল বৃহত্তর সমাজে ছডিয়ে দেয়রা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠনটি বিভিন্ন উপায়ে সমাজিক কাজে অংশগ্রহণ ও সমাজের মানুষের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডকে বেগবান ও উৎসাহিত করার নিমিত্তে যারা ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় সমাজে অবদান রাখছেন, এমন একটি সুন্দর পরিবেশে তাদের প্রতি সম্মান দেখানোটাকে এমসিএ খুব বেশী প্রয়োজন বলে মনে করে। কেননা তাদের সাহসি ও সময়েপযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে এক দিকে সমাজ ইসলামোফোবিয়াসহ বহু সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে, অপরদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্য পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্মানের অনুভূতি তৈরি করতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করবে।
তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকলকে স্বাগত জানান এবং ‘মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ভলান্টিয়ার, মিডিয়া পার্টনার, ডোনার, স্পন্সরসহ সংশ্লিস্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
স্বাগত বক্তব্যের পর এমসিএ’র কর্মকান্ডের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। তারপর নির্ধারিত গুণী ব্যক্তিদের মাঝে মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড (এমসিএ) প্রদান করা হয়।
এওয়ার্ড প্রদানের পূর্বে চার সদসা বিশিষ্ট বিচারক প্যানেলের চেয়ার, মার্কফিল্ড ইন্সটিটিউট অফ হাইয়ার এডুকেশনের রেক্টর ড. জাহিদ পারভেজ ও তার টিমের পরিচিতির পর বিচারক প্যানেলের চেয়ার ডঃ জাহিদ পারভেজ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
পরে এওয়ার্ড গ্রহণকারিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও চেক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান আইয়ুব খান, এমসিএ’র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হাবিবুর রহমান, দিলওয়ার হোসেন খান, আতিকুর রহমান জিলু, এমসিএ’র সাধারণ সম্পাদক হামিদ হোসাইন আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন এমসিএ’র কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারী ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আজাদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সফলতার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি, অতিথিবৃন্দ এবং বিচারকমন্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান ভাল কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদানে এক মাইল ফলক হিসাবে কাজ করবে। তিনি এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আশা করি আমরা সকলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর সমাজ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে আরো বেশী ভাল কাজ করার অদম্য উৎসাহ নিয়ে এ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে যাব।’
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নিয়ে যা বললেন শান্ত
প্রেসনোট স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ম্যাচ হাতে রেখে আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে তারা সিকান্দার রাজার দলকে ৫ রানে হারিয়েছে।
তবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টাইগার দলপতি বলেন, ‘হতাশাজনক (উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলা), তামিম ও সৌম্য যেভাবে খেলেছে সেটা ইতিবাচক দিক। উইকেটের দিকটা বললে অবশ্যই সহজ ছিল না। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ভালো করব। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো ছিল, ভালো বোলিংও করেছি। পরের ম্যাচে আমাদের আরও ভালো ব্যাট করতে হবে।’
বল হাতে বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়া সাকিব-মুস্তাফিজের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘আমাদের পেসাররা দারুণ ছিল। সাকিব এবং মুস্তাফিজ দলে ফেরায় আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আশা করছি, আমাদের ব্যাটাররা শিগগিররই রানে ফিরবেন।’
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ-সৌম্য মিলে ১১.২ ওভারে ১০১ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর ধসে পড়ে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। পরের ৪২ রানেই তারা ১০ উইকেট হারায়। এমন পুঁজি নিয়েও স্বাগতিকরা লড়েছে মুস্তাফিজ–সাকিবদের বোলিংয়ের কল্যাণে। সাকিব ৩৫ রানে ৪ উইকেট এবং মুস্তাফিজ মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সিকান্দার রাজার দল অলআউট হয়ে যায় ১৩৮ রানে।
এর মধ্য দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজে ৪-০ ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগামী ১২ মে। মিরপুর শের-ই বাংলায় ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়।
বিশ্বনাথের ইসমাইল ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলার নির্বাচিত
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে মাত্র ১৯ বছর বয়সে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর ব্রিটিশ বাংলাদেশি, সিলেটের বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান ইসমাইল উদ্দীন নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন।
শুক্রবার (৪ মে) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বড় দুটি রাজনৈতিক দল লেবার কনজারভেটিভসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পেছনে ফেলে ইসমাইল অন্যতম এলাকা ব্রাডফোর্ডের বৌলিং অ্যান্ড বারকারন্ড ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন তিনি।
বিজয়ী হওয়ার পর ইসমাইল উদ্দীন বলেন, ব্রিটেনে বয়সে কনিষ্ঠ স্বতন্ত্র কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পেরে আমি ভোটার, তার পরিবার এবং আল্লাহপাকের কাছে কৃতজ্ঞ।
ইসমাইল উদ্দিন ২০০৪ সালের জুলাইতে ব্রাডফোর্ড শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধাবী। ব্রাডফোর্ড হ্যানসন একাডেমীতে মাধ্যমিক শিক্ষার সময় ছিলেন স্কুল ক্যাপ্টেন এবং ব্রাডফোর্ড ডিকসন কলেজের ষ্টুডেন্টস ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে তিনি লীডস ইউনিভার্সিটিতে পলিটিক্যাল সায়েন্স এ অধ্যয়নরত। সেখানকার মুসলিম ষ্টুডেন্ট ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ইসমাইল। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ পৌরসভার কারিকোনা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন ও গৃহিনী আসমা বেগমের এর ১ম পুত্র। ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সে ২য়। ইসমাইল উদ্দিন এর দাদা মরহুম হাজী ছনই মিয়া ছিলেন বিশ্বনাথের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী।
মিডল্যান্ডে এফবিসিসিআই’র পরিচালক ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা
লন্ডন অফিস: দক্ষিণ সুরমা মিডল্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জমিরুল ইসলাম সিরাজের উদ্যেগে সিলেট ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)’র পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার ৭ মে মিডল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ারের ট্যামওয়ার্থের ঐতিহ্যবাহী জালালী রেস্টুরেন্টে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির যুগ্ন আহ্বায়ক কয়েছ চৌধুরী।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপ বঙ্গবন্ধু পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুজিব হোসেন।
সংবর্ধিত অতিথি ইশহাকুল হোসেন সুইট অনুষ্ঠান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সকল প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করেন বলেন, অনেক প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের অর্থনীতি হবে বিশ্বের ১০ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কভেন্টি সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি মকদ্দস আলী, কমিউনিটি নেতা আশিক আলী, সেলিব্রেটি আব্দুস সালাম, সাংবাদিক রায়হান তালুকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ডক্টর মিসবাউর রহমান মিছবাহ, জেএমজি কার্গোর সত্ত্বাধিকারী মনির মিয়া, দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির আহবায়ক আকিকুর রহমান আকিক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, মাসুম ট্রাভেলস এর সত্বাধিকারী তুহিনুর ইসলাম, হাজী মহর্রম আলী, হাজী তাজর আলী, জয়েন্ট সেক্রেটারি বাদশা মিয়া, কমিউনিটি নেতা কফিল উদ্দিন, লাল ভেলি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আবুল মিয়া, শাহজালাল ট্রাভেলসের আনার মিয়া, মোজামিল খান, রইস আলী, কভেন্টি সিটি আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের সৈয়দ কবির আহমদ, মুফতি তাজুল ইসলাম, মৌলানা সাব্বির আহমদ, একাউন্টেন্ট মাসুদ মিয়া, শিক্ষক আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ব্যবসায়ী কাবুল মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরন চৌধুরী, সাহেদা খানম বাবলি ও জীবন আহমেদ।
ট্রাস্টির ফি-তে রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে
লন্ডন অফিস: অতিরিক্ত তিন কোটি সাতাশি লাখ টাকার উপরে জমা হয়েছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র নতুন ট্রাস্টি ফি। এটি এ ট্রাস্টের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল বর্তমান বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্ট কার্যকরী কমিটির শেষ মিটিং। ট্রাস্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে এবারেই সবচেয়ে বেশি নতুন ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে ২৮০ জন ট্রাস্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শেষ মিটিংয়ে ২৭৭ জন নতুন ট্রাস্টি অনুমোদন শেষে বর্তমান ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫৭ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা আমাদের ট্রাস্টের সকল সম্মানিত নতুন গর্বিত ট্রাস্টিবৃন্দকে সংগঠনে যুক্ত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোঃ মতসির খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপার্সন শেখ তাহির উল্লা, কোষাধ্যক্ষ আজম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আখলাকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী মজনু, প্রেস পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোঃ মানিক মিয়া কালচার সেক্রেটারি কদর উদ্দিন, ইসি সদস্য সুপারস্টার আব্দুস শহীদ, শাহ জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মুকিত ও এম আব্দূস সাত্তার।
ভারতে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি
ভারতে জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, ‘ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ শে এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।