লন্ডন: এমসিএ’র কম্যুনিটি পুরস্কার প্রদান ও গালা ডিনার সম্পন্ন

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৩ জুলাই, ২০২৩ | ১১:২৯ 1102 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৩ জুলাই, ২০২৩ | ১১:২৯ 1102 ভিউ
Link Copied!

লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং সুসম্পর্ক স্থাপন করে মানবিক অধিকার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন গুণী ব্যক্তিদের অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করতে ব্রিটেনের বৃহৎ মুসলিম কমিউনিটি সংগঠন ‘মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন (এমসিএ)’র উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য অ্যাওয়ার্ডস সিরিমনি ও গালা ডিনার সম্পন্ন হয়েছে।

ভিন্ন ধর্মের মানুষ হয়েও যারা মুসলমানসহ সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় নিজেদের অবস্থান থেকে ছিলেন সোচ্চার, তারা মূলত মানবিক অধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় অধিকারকে উচ্চাসনে রেখে একে-অন্যের প্রতি সহমর্মী হয়ে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ ও গতিশীল সমাজগঠনের জন্য এক অনুকরণীয় অবদান রেখেছে।

এমসিএ এমন মহান ব্যক্তিত্বদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড’স প্রদান করতে গত ২১ জুলাই শুক্রবার লন্ডন মুসলিম সেন্টারে আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, কাউন্সিলর, সাংবাদিকসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট্যজনদের উপস্থিতিটিতে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, এমসিএ ভিন্নধর্মের গুণী ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্বদের পূরস্কৃত করে যে সম্মান প্রদর্শন করেছে সেটা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি অনুপম ও সম্মানজনক দৃষ্টান্ত। ইসলাম যে তাঁর অনুসারীদের শুধু পরধর্মের প্রতি সম্মানের শিক্ষা প্রদান করেনা, বরং সাথে সাথে ইসলাম তাঁর আলোতে আলোকিত অনুসারীদের সাম্য, সম্প্রীতি, সমাজঊন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন এবং মানবিক মর্যাদা সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার শিক্ষা প্রদানেও যে বড় উদাহরণ সেটাই এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিফলিত হল।

অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তাগণ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের সমাজের সত্যিকারের হিরো হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা ভিন্ন ধর্মকে শুধু সম্মানিতই করেননি বরং মৌলিক মানবিক মূল্যবেধের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গঠনে অনন্য অবদান রেখেছেন। তারা তাদের প্রতিটি কাজে ইসলামের প্রতি এবং এর অনুসারীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় ছিলেন এক একজন দিকপাল। এমসিএ’র এই সম্মাননা মৌলিক মানবিাধিকার রক্ষায় সোচ্চার মানুষগুলোকে আরও বেশী মানবিক কাজে উৎসাহিত করবে।

অ্যাওয়ার্ডস ও গালা ডিনার অনুষ্ঠানে লন্ডন ছাড়াও যুক্তরাজ্যর বিভিন্ন সিটি থেকে আমন্ত্রিত প্রায় পাঁচশত বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০টি অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়।

কমিউনিটি কোহেশন বা সামাজিক সম্প্রীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন ইস্ট লন্ডন সেন্ট্রাল সিনাগগের প্রেসিডেন্ট লিওন সিলভার এবং রানার্স আপ হিসাবে নির্বাচিত হন ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলাপম্যান্ট এজেন্সির সাবেক আন্তর্জাতিক পরিচালক ডেনিস হস, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন কমিউনিটির সেভ দ্য চিলড্রেন, চিলড্রেন সোসাইটি ও সোসাইটি অফ ফ্রেন্ডস-এবং ‘সিটিজেন ইউকে’ র প্রতিষ্ঠাতা নীল জেমসন এবং রানার্স আপ হন পপলার ও লাইমহাউস একশন ফর হাউজিং এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সিস্টার ক্রিস্টিন ফ্রস্ট এমবিই, শিক্ষা ও উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন জার্নালিস্ট পিটার ওবর্ন ওবিই এবং রানার্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন কেটর্স একাডেমির প্রিন্সিপাল জন কেটি মার্শাল, কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার বিভাগে বিজয়ী হন নরউইস সিটি কাউন্সিলের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও নিবেদিত সমাজকর্মী ভগান থমাস এবং রানার্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন সেন্ট জন্স বেথনালগ্রিনের রেভারেন্ড প্রিবেন্ডারি অ্যালান গ্রিন, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সাম্য ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন বৃটিশ পলিটিশিয়ান, ব্যারিস্টার এন্ড হিউম্যান রাইটর্স এক্টিভিস্ট ব্যারনেস শামি চক্রবর্তী সিবিই এবং রানার্স আপ হিসেবে নির্বাচিত হন বৃটিশ পলিটিশিয়ান, ইন্টেলিজেন্স এন্ড সিকিউরিটি কমিটি অফ পার্লামেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান ও বৃটেনের সাবেক এটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভ, কেসি, এমপি।

ইমাম আবদুর রহমান এবং ইমাম মুজ্জামিল আহমেদ-এর কণ্ঠে অর্থসহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক সুলতান আহমেদ।

মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা মুসলেহ ফারাদি’র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য রোশনারা আলী এমপি, আফসানা বেগম এমপি, টাওয়ার হ্যামলেটেস এর নির্বাহি মেয়র লুৎফুর রহমানের পক্ষে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মায়ূম তালুকদার, মুসলিম কাউন্সিল অফ বৃটেনের সেক্রেটারি জেনারেল জারা মোহাম্মদ (এমসিবি), সাবেক সেক্রেটারি ডা: সুজা সাফি, ইসলাম চ্যানেলের সিইও মুহাম্মদ আলী, নরউইচ কাউন্সিলের লিডার মাইক স্টোনার্ড, ইউকে ইসলামিক মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড: মুহাম্মদ আরিফ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত হোসেন এমবিই প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

মুসলেহ ফারাদী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জীবনে আমরা অনেক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু মুসলিম কমিউনিটির জন্য এই ইভেন্টটা খুবই স্পেশাল। ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া এবং ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে বর্তমান পরিবেশ কখনও কখনও ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলির আন্তরিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দেয়। সেসব বাধা কাটিয়ে যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের সংহতিকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করেছেন এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করেছেন৷ মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডস (এমসিএসএ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত তাদের এ গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং ভাল কাজের উৎসাহ প্রদানের জন্য।’

ফারাদী একটি সৌহার্দপূর্ণ সমাজ গঠনে এমসিএ’র ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, এই তৃণমূল সংগঠনটি মুসলমানদের মাঝে পারস্পরিক হৃদ্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর সুফল বৃহত্তর সমাজে ছডিয়ে দেয়রা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠনটি বিভিন্ন উপায়ে সমাজিক কাজে অংশগ্রহণ ও সমাজের মানুষের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডকে বেগবান ও উৎসাহিত করার নিমিত্তে যারা ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় সমাজে অবদান রাখছেন, এমন একটি সুন্দর পরিবেশে তাদের প্রতি সম্মান দেখানোটাকে এমসিএ খুব বেশী প্রয়োজন বলে মনে করে। কেননা তাদের সাহসি ও সময়েপযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে এক দিকে সমাজ ইসলামোফোবিয়াসহ বহু সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে, অপরদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্য পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্মানের অনুভূতি তৈরি করতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করবে।

তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকলকে স্বাগত জানান এবং ‘মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ভলান্টিয়ার, মিডিয়া পার্টনার, ডোনার, স্পন্সরসহ সংশ্লিস্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

স্বাগত বক্তব্যের পর এমসিএ’র কর্মকান্ডের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। তারপর নির্ধারিত গুণী ব্যক্তিদের মাঝে মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড (এমসিএ) প্রদান করা হয়।

এওয়ার্ড প্রদানের পূর্বে চার সদসা বিশিষ্ট বিচারক প্যানেলের চেয়ার, মার্কফিল্ড ইন্সটিটিউট অফ হাইয়ার এডুকেশনের রেক্টর ড. জাহিদ পারভেজ ও তার টিমের পরিচিতির পর বিচারক প্যানেলের চেয়ার ডঃ জাহিদ পারভেজ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

পরে এওয়ার্ড গ্রহণকারিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও চেক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের চেয়ারম্যান আইয়ুব খান, এমসিএ’র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হাবিবুর রহমান, দিলওয়ার হোসেন খান, আতিকুর রহমান জিলু, এমসিএ’র সাধারণ সম্পাদক হামিদ হোসাইন আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল মতিন চৌধুরী প্রমুখ।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন এমসিএ’র কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারী ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আজাদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সফলতার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি, অতিথিবৃন্দ এবং বিচারকমন্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান ভাল কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদানে এক মাইল ফলক হিসাবে কাজ করবে। তিনি এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আশা করি আমরা সকলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর সমাজ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে আরো বেশী ভাল কাজ করার অদম্য উৎসাহ নিয়ে এ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে যাব।’

ট্যাগ:

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৫ মার্চ, ২০২৫ | ১:৫৬ 27 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৫ মার্চ, ২০২৫ | ১:৫৬ 27 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্ক কার্নি। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

কানাডার নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ফরাসি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই শপথ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের পর তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মার্ক কার্নি।

তিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। ৫৯ বছর বয়সি কার্নি বিজয়ী হওয়ার পর এক বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং বলেছেন যে, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে চান। কিন্তু আমেরিকানদের কোনো ধরনের ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলায় কানাডা যেমন জয়ী হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধেও তারা জয়ী হবে।

প্রায় এক দশক ধরে দায়িত্ব পালনের পর গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর তার উত্তরাধিকার বাছাইয়ে জয়ী হন মার্ক কার্নি।

বিজ্ঞাপন

ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো।

নিয়ম অনুযায়ী যিনি হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। সে হিসেবে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।

ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২২ 29 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২২ 29 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এয়ারটেল ভারতের গ্রাহকদের কাছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংকের উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে। দুই কম্পানির বরাত দিয়ে এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এয়ারটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ভারতে স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তি। তবে স্পেসএক্সকে ভারতে স্টারলিংক পরিষেবা বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে হবে।

এয়ারটেল ও স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করে এয়ারটেলের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে স্টারলিংকের সরঞ্জাম সরবরাহ, এয়ারটেলের মাধ্যমে ব্যাবসায়িক গ্রাহকদের স্টারলিংক পরিষেবা দেওয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সম্প্রদায়, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারে স্টারলিংক পরিষেবা আনার এই পদক্ষেপ এয়ারটেলের গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ।’

স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, যা বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ইন্টারনেটব্যবস্থা ব্যবহার করে প্রত্যন্ত স্থানেও স্ট্রিমিং, ভিডিও কল, অনলাইন গেমিং, রিমোট ওয়ার্কসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করে।
এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিত্তল বলেছেন, ‘এই অংশীদারি আমাদের ভারতের সর্বদূরবর্তী এলাকাতেও বিশ্বমানের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি, ব্যবসা ও সম্প্রদায় নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সুবিধা পায়। স্টারলিংক এয়ারটেলের পণ্যসম্ভারকে আরো শক্তিশালী করবে, যাতে ভারতের গ্রাহকরা যেখানেই বসবাস বা কাজ করুক না কেন, তারা যেন নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড সুবিধা পেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুইন শটওয়েল বলেছেন, ভারতের টেলিকম শিল্পে এয়ারটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তাই স্পেসএক্সের সরাসরি পরিষেবার পরিপূরক হিসেবে তাদের সঙ্গে কাজ করাটা ব্যাবসায়িকভাবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে ও স্টারলিংকের রূপান্তরকারী প্রভাব ভারতের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উদগ্রীব। আমরা প্রতিনিয়ত বিস্মিত হই যখন দেখি, মানুষ, ব্যবসা ও সংস্থাগুলো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কী কী অসাধারণ ও অনুপ্রেরণামূলক কাজ করছে।’

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও ভারতের ব্রডব্যান্ড বাজারে শীর্ষে রয়েছে, যার এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ওয়্যার্ড ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে। একই সঙ্গে জিওর প্রায় ৫০ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

এয়ারটেলেরও প্রায় ৩০ কোটি ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে।
তবে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগ রয়েছে, দুই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয়ে স্পেকট্রাম কিনেও তারা এখন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের কারণে গ্রাহক হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটির: উপ-প্রেসসচিব

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ২:১৫ 36 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ২:১৫ 36 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থান সামান্য উন্নতি হয়েছে; পাঁচদিনের মাথায় তার চোখের পাতায় নড়াচড়াও দেখা গেছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে।

তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

“তবে শ্বাসরোধের কারণে তার মস্তিকে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল, যেটা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তার বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল সেটা দূর করা গেছে। চিকিৎসকরা আশাবাদী দুই-এক দিনের মধ্যে শিশুটির অবস্থার আরও উন্নতি হবে।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ নিয়মিত শিশুটির খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে আজাদ মজুমদার আরও বলেন, “আজও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসা চলছে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে।

বিজ্ঞাপন

মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

গত শনিবার ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে আনা হয়।

রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৮ 10 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৮ 10 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক : এবার দেশে সাদাকাতুল ফিতরা প্রদানের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০ (একশ দশ) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০ (পাঁচশ ত্রিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ (এক হাজার নয়’শ আশি) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৮০৫ (দুই হাজার আটশ পাঁচ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

লন্ডনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সেমিনার

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৫৫ 19 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৫৫ 19 ভিউ
Link Copied!

লন্ডন অফিস: ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকে পূর্ব লন্ডনের (E1 5HU) ব্রেইডি সেন্টারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি  রোববার বিকেলে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ, বিইএম।
সেমিনারটির আলোচ্য বিষয় ছিল, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী ইউকের স্নাতক ডিগ্রীর সমতুল্য হওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ ও সম্ভাব্য সমাধানের পন্থা ও প্রস্তাবনা”।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের শিক্ষা ও গবেক্ষণা সম্পাদক এবং সেমিনারের সঞ্চালক এরিনা সিদ্দিকী এ সেমিনার অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। শুরুতে তিনি প্রচণ্ড ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে এতে যোগ দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আর মূল বক্তা ও দুই আলোচককে মঞ্চে আসন গ্রহনের জন্যে অনুরোধ জানান এবং প্রতিপাদ্য বিষয়টি সবার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে অতিথি প্রধান বক্তা ও দু’জন আলোচককে পরিচয় করিয়ে দেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ্ উদ্দিন ইকো শুরুতে উপস্থিত সকল সদস্য ও অন্যান্য অতিথিকে স্বাগত জানান।

বিজ্ঞাপন

এতে আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এসেক্স বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক প্রফেসর রাশেদুর চৌধুরী এবং আলোচনায় অংশ নেন সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শোয়াইব আহমেদ ও গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীনিচ বিজনেস স্কুলের উর্ধ্বতন প্রভাষক ডক্টর বি এম রাজ্জাক।

রাশেদুর চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশে যথার্থ অগ্রগতির অভাবের বিদ্যমানতা এবং প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানব তথা বুদ্ধিজীবী তৈরীর জন্য যে পরিমান পড়াশুনা বা জানা ও শেখার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা যথেষ্ট কি না তা নিয়ে তাঁর সংশয়ের কথা বলেছেন। এর জন্যে শিক্ষাক্রম ও এর কাঠামোগত ঘাটতি বা অপ্রতুলতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। তাঁর মতে পাঠ্যক্রম তৈরীতে একটা স্নাতকের সনদের গ্রহণযোগ্যতাকে নিশ্চিতের লক্ষ্যে কতটুকু জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন সেটাকে পর্যাপ্ত বা যথা পরিমান, মানসম্মত, বাস্তবসম্মত ও আকর্ষণীয় করাটা অত্যাবশ্যক। এমনটি নিরূপণে, পাঠ্যক্রম (কারিক্কুলাম) বা পাঠ্যসূচী (সিলেবাস) প্রণয়ন ও পাঠ নির্দিষ্টকরণ (স্পেসিফিকেশন) এবং বাস্তবায়নে একটি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে উত্তরণ, উন্নতি ও প্রগতিতে আশা-আকাঙ্খা, প্রয়োজনীয়তা, বিদ্যমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কাঠামোগত সুযোগসুবিধা, নানামুখী শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকতা, ব্যপস্থাপনা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতার প্রকৃত ও যুগোপযোগী টেকসই সন্নিবেশ ঘটানো অপরিহার্য। পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীতা নির্ণয়ে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেবা গ্রহন বা প্রদানের লক্ষ্যে শেখার মানদন্ড নির্ধারণ ও এর বাস্তবায়নে সঠিক পন্থা ও নির্দেশনা স্থির করেই তবে কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে উপনীত হওয়া সম্ভব।

ডক্টর শোয়াইব আহমেদ তাঁর আলোচনায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা বা যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়া কিংবা খামখেয়ালীপনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে প্রধানতঃ তুলনামূলক ভাল শিক্ষক নিয়োগ, যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীর শেখার পরিমাণ, কতটুকু শেখা হলো তা মূল্যায়নের পদ্ধতি ও মানে ঘাটতি ইত্যাদির প্রতি জোর দিয়েছেন। তিনি কাঠামোগত ও মানের গ্রহনযোগ্যতার বিচারে যুগোপযোগী ও মানসম্মত অথচ যুতসই পাঠ্যক্রমের মানচিত্র বা কাঠামো সুচারুরূপে প্রণয়নের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন, যার মধ্যে বিশ্বায়ন বা আন্তর্জাতিকতাকে যাতে ধর্তব্যের মধ্যে গন্য করা হয়। বিদ্যার্থীদের জ্ঞানার্জন সম্প্রসারণে পাঠ্যক্রম বিষয়ক সিদ্ধান্ত সর্বত্র জ্ঞানভিত্তিক ও ডেইটা চালিত বা সমর্থিত হওয়া উচিত আর শিক্ষকদের কর্তাব্যক্তি না ভেবে নেতার মত আচরণ করতে হবে বলে তিনি মনে করছেন।

বিজ্ঞাপন

ডক্টর বি এম রাজ্জাক স্নাতকের পুরো অধ্যয়নকালে বিশেষ করে বাংলাদেশে ও একই সঙ্গে দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সপ্তায় গড়ে কত ঘণ্টা ও কি পরিমান পডাশুনা হয়ে থাকে তা নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা করেন এবং বড় পর্দায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউকের স্নাতকের সঙ্গে এর তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে বিস্তর ফারাক প্রতীয়মান। যা দিয়ে সাধারণতঃ বিলেতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথকভাবে বা মান নির্ণয়কারী সংস্থাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের স্নাতকের মানকে তাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না সেটা বিবেচনা করে থাকে। যদিও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় তা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। তুলনামূলক চিত্র হিসেবে বৃটেনের হিসেব অনুযায়ী এখানে তিন বছরে পড়াশুনার ক্রেডিটের সংখ্যা বা পরিমাপের সাথে মিলিয়ে দেখলে তা বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। যথাসম্মত মান বা ক্রেডিটের ক্ষেত্রে বৃটেনের তুলনায় দক্ষিন এশীয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে আর শ্রীলংকার সবার উপরে। বাংলাদেশে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান বিদ্যার্থীদের স্বীয় উদ্যোগে পঠনের তুলনায় সময় অনেক বেশী হয়ে থাকে যা বৃটেনের সঙ্গে তুলনা করলে একেবারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা কিনা আধুনিক বিশ্বের চাহিদানুযায়ী নিক্তির মাধ্যমে বিচার করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডক্টর রাজ্জাকের উপস্থাপনায় বৃটেনে অবাধ স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, সমাধানের সম্ভাব্য উপায় ও এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে স্নাতকরা কিভাবে সময় ও আর্থিকসহ আরও অনেক দিক থেকে যে লাভবান হতে পারে সেগুলোও সুনির্দিষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। এতদসত্ত্বেও ভিন্নতাভেদে এ দেশের প্রায় চল্লিশ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়কে স্বীকৃতিদানে বাঁধ সাধে না। প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকের তরফে এমনটির সত্যতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকদের একজন ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায়। তাঁর মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে পাঠদান ও শিখনে গুনগত মান নিয়ে হয়তো তারতম্য বা স্খলন হয়ে থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় বা আনুষ্ঠানিকভাবে দু দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে তদবির বা দেনদরবার অথবা পরস্পরকে রাজী করানোর সমূহ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি কারো কারো মন্তব্য বা সুপারিশে উঠে এসেছে।

এ পর্বে ঢাকা ইউভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের বেশ ক’জন সদস্য ও অতিথিদের অনেকেই মুখ্য বক্তার বক্তৃতা ও আলোচকদ্বয়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য ও প্রশ্ন করেছেন এবং তাঁরা এ মন্তব্যকে আমলে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় নানা ধরনের প্রস্তাবনার উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ও আলোচকদের আলোচনার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন এবং সেমিনার থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনাকে সন্নিবেশিত করে তা সুপারিশ আকারে যথাযথভাবে যথাস্থানে পৌঁছে দেবার গুরুত্ব ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি কষ্ট করে এসে সেমিনারে বিশেষ অবদান রাখায় অতিথি বক্তা ও আলোচকদ্বয়সহ প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে সেমিনারে উপস্থিত হওয়া, অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে পুরো সময়টি ধরে সেমিনারের কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখা এবং মন্তব্য ও প্রশ্নের মাধ্যমে শেষ পর্বটিকে প্রাণবন্ত করার মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সেমিনারটির পরিকল্পনা, আয়োজন ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এরিনা সিদ্দিকী এবং গবেষণা টিমের সব সদস্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি টানেন। এ টিমে যারা রয়েছেন, তারা হচ্ছেনঃ মেজবাহ উদ্দিন ইকো, সৈয়দ জাফর, সৈয়দ ইকবাল, এম কিউ হাসান, ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মাহফুজা রহমান, ফকরুদ্দিন আহমেদ, শারমিন চৌধুরী ও খালেদ ইয়াহিয়া।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিনের বাসনাপ্রসূত প্রতিপাদ্য এ বিষয়ে ভীষণ আগ্রহকে সেমিনার টিমের অনুমোদন সাপেক্ষে ও টিমের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এরিনা সিদ্দিকী নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গোড়াপত্তন করেন যেটির এ পর্যায়ের আশানুরূপ সমাপ্তি ঘটে ২৩ ফেব্রুয়ারীতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে।

শিরোনাম:
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: জিম্মি ১৮২, নিহত ২০ সেনা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞেসাবাদ করবে টাস্কফোর্স দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটির: উপ-প্রেসসচিব শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ: আলী রীয়াজ ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রধারীকে গুলি ধর্ষণকারীর বিচার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতের দাবি সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে ইরানকে ট্রাম্পের চিঠি আগামীকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস ভোটের আগে বিচার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চাই: নাহিদ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি ইইউর ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর পরিকল্পনা যেকারণে অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস তারেক ও মামুন শিক্ষক সমাজকে অবহেলা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: রুহুল কবির রিজভী রংপুর সিএমএইচে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন: সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, গণপরিষদ নয় : সিইসি