শিপ রিসাইক্লিং শিল্পে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে শিল্প সচিব ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাইকমিশনারের বৈঠক
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের শিপ রিসাইক্লিং বা জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে হংকং কনভেনশন ২০০৯ দ্রুত কমপ্লায়েন্স বা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এক বৈঠকে মিলিত হন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) ও উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকারী দেশ। শেষ সীমায় পৌঁছানো জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশসম্মত উপায়ে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্দেশ্যে আইএমওর তত্ত্বাবধানে Hong Kong International Convention, ২০০৯ (হংকং কনভেনশন) প্রণীত হয়।
বাংলাদেশ ২০২৩ সালের ১২ জুন হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। সে হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ইয়ার্ডসমূহে Treatment Storage and Disposal Facility (TSDF) হংকং কনভেনশন অনুযায়ী Compliant না হলে, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিপ রিসাইক্লিংয়ের জন্য নতুন করে কোনো জাহাজ ভাঙ্গার অনুমোদন পাওয়া যাবে না। তাই বাংলাদেশের এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণসহ সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয়সমূহ দ্রুত নির্ধারণ করতে হবে।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শামীমুল হক, যুগ্মসচিব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, IMO-Norway sensrec Project Phase III এর প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও আইএমও’র ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বাদল অংশগ্রহণ করেন।
ট্রাস্টির ফি-তে রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে
লন্ডন অফিস: অতিরিক্ত তিন কোটি সাতাশি লাখ টাকার উপরে জমা হয়েছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র নতুন ট্রাস্টি ফি। এটি এ ট্রাস্টের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল বর্তমান বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্ট কার্যকরী কমিটির শেষ মিটিং। ট্রাস্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে এবারেই সবচেয়ে বেশি নতুন ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে ২৮০ জন ট্রাস্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শেষ মিটিংয়ে ২৭৭ জন নতুন ট্রাস্টি অনুমোদন শেষে বর্তমান ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫৭ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা আমাদের ট্রাস্টের সকল সম্মানিত নতুন গর্বিত ট্রাস্টিবৃন্দকে সংগঠনে যুক্ত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোঃ মতসির খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপার্সন শেখ তাহির উল্লা, কোষাধ্যক্ষ আজম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আখলাকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী মজনু, প্রেস পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোঃ মানিক মিয়া কালচার সেক্রেটারি কদর উদ্দিন, ইসি সদস্য সুপারস্টার আব্দুস শহীদ, শাহ জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মুকিত ও এম আব্দূস সাত্তার।
বিশ্বনাথের ইসমাইল ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলার নির্বাচিত
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে মাত্র ১৯ বছর বয়সে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর ব্রিটিশ বাংলাদেশি, সিলেটের বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান ইসমাইল উদ্দীন নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন।
শুক্রবার (৪ মে) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বড় দুটি রাজনৈতিক দল লেবার কনজারভেটিভসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পেছনে ফেলে ইসমাইল অন্যতম এলাকা ব্রাডফোর্ডের বৌলিং অ্যান্ড বারকারন্ড ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন তিনি।
বিজয়ী হওয়ার পর ইসমাইল উদ্দীন বলেন, ব্রিটেনে বয়সে কনিষ্ঠ স্বতন্ত্র কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পেরে আমি ভোটার, তার পরিবার এবং আল্লাহপাকের কাছে কৃতজ্ঞ।
ইসমাইল উদ্দিন ২০০৪ সালের জুলাইতে ব্রাডফোর্ড শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধাবী। ব্রাডফোর্ড হ্যানসন একাডেমীতে মাধ্যমিক শিক্ষার সময় ছিলেন স্কুল ক্যাপ্টেন এবং ব্রাডফোর্ড ডিকসন কলেজের ষ্টুডেন্টস ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে তিনি লীডস ইউনিভার্সিটিতে পলিটিক্যাল সায়েন্স এ অধ্যয়নরত। সেখানকার মুসলিম ষ্টুডেন্ট ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ইসমাইল। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ পৌরসভার কারিকোনা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন ও গৃহিনী আসমা বেগমের এর ১ম পুত্র। ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সে ২য়। ইসমাইল উদ্দিন এর দাদা মরহুম হাজী ছনই মিয়া ছিলেন বিশ্বনাথের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী।
মিডল্যান্ডে এফবিসিসিআই’র পরিচালক ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা
লন্ডন অফিস: দক্ষিণ সুরমা মিডল্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জমিরুল ইসলাম সিরাজের উদ্যেগে সিলেট ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)’র পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার ৭ মে মিডল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ারের ট্যামওয়ার্থের ঐতিহ্যবাহী জালালী রেস্টুরেন্টে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির যুগ্ন আহ্বায়ক কয়েছ চৌধুরী।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপ বঙ্গবন্ধু পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুজিব হোসেন।
সংবর্ধিত অতিথি ইশহাকুল হোসেন সুইট অনুষ্ঠান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সকল প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করেন বলেন, অনেক প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের অর্থনীতি হবে বিশ্বের ১০ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কভেন্টি সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি মকদ্দস আলী, কমিউনিটি নেতা আশিক আলী, সেলিব্রেটি আব্দুস সালাম, সাংবাদিক রায়হান তালুকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ডক্টর মিসবাউর রহমান মিছবাহ, জেএমজি কার্গোর সত্ত্বাধিকারী মনির মিয়া, দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির আহবায়ক আকিকুর রহমান আকিক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, মাসুম ট্রাভেলস এর সত্বাধিকারী তুহিনুর ইসলাম, হাজী মহর্রম আলী, হাজী তাজর আলী, জয়েন্ট সেক্রেটারি বাদশা মিয়া, কমিউনিটি নেতা কফিল উদ্দিন, লাল ভেলি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আবুল মিয়া, শাহজালাল ট্রাভেলসের আনার মিয়া, মোজামিল খান, রইস আলী, কভেন্টি সিটি আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের সৈয়দ কবির আহমদ, মুফতি তাজুল ইসলাম, মৌলানা সাব্বির আহমদ, একাউন্টেন্ট মাসুদ মিয়া, শিক্ষক আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ব্যবসায়ী কাবুল মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরন চৌধুরী, সাহেদা খানম বাবলি ও জীবন আহমেদ।
ফেঞ্চুগঞ্জ: মোহাম্মদিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় বিশেষ সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভুমিদাতা পরিবারের সদস্য, শুভেচ্ছা ফ্লোরের সমন্বয়কারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনসুর আহমদ খানের দেশে আগমন উপলক্ষে এক বিশেষ সভা ও দোয়া মাহফিল ৯ মে বেলা এগারটায় মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আতহার এতে সভাপতিত্ব করেন। এ মাদ্রাসার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ আবু সাঈদ মোঃ সেলিম সভা সঞ্চালনা করেন।
দোয়াপূর্ব মাদ্রাসা পরিচালনা নির্বাহী কমিটির সভায় চলতি বছরের রমজানে ইফতার-সেহরি আয়োজনে দেশ বিদেশ থেকে আসা অনুদান ও ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় লন্ডন প্রবাসী মনসুর আহমদ খান জানান শুভেচ্ছা ফ্লোরের জন্যে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে আরও সামান্য কম ৫ লক্ষ টাকা।
দোয়াপূর্ব আলোচনায় অংশ নেন হাফিজ তরিকুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজি আবুল কাশেম জবুল, শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খান, সৈয়দ বদরুজ্জামান খিজির, সবুর আহমদ, মাওলানা, মাহবুব আহমদ খান, এনটিভি ইউরোপ-র প্রতিনিধি সাংবাদিক দেলওয়ার হোসেন পাপ্পু এবং অতিথি বিশিষ্ট গবেষক ও অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসা তুলনামুলক অতি অল্প দিনেই মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিকভাবে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে দ্বীনি এ মাদ্রাসার অগ্রগতির জন্যে দেশের ও বিদেশের অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। বক্তারা এ অঞ্চলের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুম ইন্তজির খানের বহুমূখী কৃতিত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একইসাথে হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার অগ্রগতিতে অবদান রেখে প্রয়াত হয়েছেন যারা, তাদের কথাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। বিশেষত হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অর্থ যোগানদাতা মরহুম ইন্তাজির খানের সুযোগ্য পুত্র লন্ডন প্রবাসী শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খানের আন্তরিক প্রয়াসের কথা সভায় তুলে ধরা হয়।
বক্তারা বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার অসামান্য সাফল্যের পেছনে অনেকেই এমন আছেন যারা তাদের নাম প্রচার করতে চান না, নীরবে সহযোগিতা করে আসছেন। আলোচনায় গুরুত্বসহকারে জানানো হয় এ মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্র শুভাকাঙ্খী সকলের ঐকান্তিক চেষ্টার কথা।
আলোচনা শেষে লন্ডন প্রবাসী শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খান শুভেচ্ছা ফ্লোরের জন্যে প্রায় ৫ লক্ষ (৪,৯৩,২৬৮) টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আতহারের কাছে। পরে সভাপতির দোয়ার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।
লন্ডনে আলতাব আলী দিবস পালিত
আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডন: আলতাব আলীর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রামকে চিহ্নিত করে বার্ষিক আলতাব আলী দিবস পালিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত ৪ মে সন্ধ্যা ৬টায়, যেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, কবিতা পাঠ করা হয় এবং আলতাব আলী এবং বর্ণবাদী সহিংসতার শিকার অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এক মিনিট নীরবতার পর, বাঙালি কমিউনিটি ও বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বাঙালিদের বর্ণবাদ বিরোধী সংগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে এবং সকলকে সমতার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
১৯৭৮ সালের ৪ মে গার্মেন্টস শ্রমিক ২৪ বছরের আলতাব আলীকে হত্যা করা হয়। তিনি তার কাজ শেষ হওয়ার পরে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। হোইটচ্যাপেলের এডলার স্ট্রিটে তাকে তিন বর্ণবাদী যুবক ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। তাকে স্থানীয় হোইটচ্যাপেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত গোষণা করে। এই হত্যাকাণ্ডে পর বাঙালিরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কালচার এন্ড রিক্রিয়েশন লিড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন । “আলতাব আলীর নির্বোধ হত্যাকাণ্ড আমাদের সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছিল কিন্তু এমন একটি আন্দোলনকেও প্রজ্বলিত করেছিল যা স্তব্ধ হবে না,” ইভেন্টের হোস্ট কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন। “আজ আমরা তার স্মৃতি এবং তাদের সাহসকে সম্মান জানাই যারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ‘আর নয়’ বলেছিল।”
উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার জাহেদ চৌধুরী, ইকুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল ইন্ক্লুজন কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ, কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং আলতাব আলী ট্রাস্টের রফিক উল্লাহ, আকলাকুর রহমান ও হালিমা ইদ্রিস, স্ট্যান্ড আপ থেকে শীলা ম্যাকগ্রেগর, জুইশ সোসালিষ্ট গ্রুপের ডেভিড রোজেনবার্গ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরাম থেকে সুফিয়া আলম।
পার্কের অনুষ্ঠানের পর, অংশগ্রহণকারীরা বাঙালি সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্বেষণে একটি প্রদর্শনী দেখার এবং চ্যানেল ৪ এর ডকুমেন্টারি ‘ডিফিয়েন্স’-এর স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্র্যাডি আর্টস সেন্টারে চলে যান। স্বাধীনতা ট্রাস্টের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জুলি বেগম, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং ডিফিয়েন্সের সিরিজ ডিরেক্টর সতীয়েশ মনোহারাজাকে নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । প্যানেলের সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডা. লায়লী উদ্দিন।