যে কারণে নিজের দেশেই কম আয় করছে আল্লু অর্জুনের পুষ্প
ভারতের অন্ধ প্রদেশের পুষ্প রাজ নামের এক কুলির জীবনীর উপর নির্মাণ করে বানানো হয়েছে পুষ্প নামের ছবিটি। দক্ষিণী ছবির বিখ্যাত নায়ক আল্লু অর্জুনের অভিনয়ে ছবিটি ভারতে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।
তবে যে অন্ধ প্রদেশের পুষ্পকে নিয়ে ছবিটি বানানো হয়েছে সেখানেই এটি মুক্তির প্রথমদিন সবচেয়ে কম আয় করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, প্রথমদিন অন্ধ প্রদেশে ১ হাজার ১০০টি হলে সিনেমাটি প্রদর্শন করে ১৩ কোটি রূপির টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ভারতের অন্য প্রদেশগুলোতে এর আয় ছিল অনেক বেশি। তেলেঙ্গানাতে ৬০০ হল থেকেই প্রথমদিন আয় হয়েছিল ১১ কোটি রূপি।
এর কারণ হলো অন্ধ প্রদেশের সরকার ছবির টিকেটের একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে যে দামে ছবির টিকেট বিক্রি হতো সেই দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্ধ প্রদেশের কিছু কিছু জায়গায় টিকেটের দাম হলো ৫ থেকে ১৫ রূপি। আর সিনেপ্লেক্সগুলোতে টিকেটের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ কোটি রূপি।
অন্ধপ্রদেশে সিনেমা প্রদর্শনের সঙ্গে জড়িত দীপক নামে এক ব্যক্তি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, এখানে হল মালিকের সঙ্গে একজন ছবির পরিবেশককে হল ভাড়া হিসেবে নিতে হয়। যদি একজন পরিবেশক ১০ হাজার রূপিতে হল ভাড়া করেন এবং ছবিটি ৫০ হাজার রূপি আয় করে। তাহলে পরিবেশক পাবেন ৪০ হাজার রূপি। কিন্তু ছবি না চলে তবুও হল মালিককে ভাড়া দিতে হবে। এটি করা হয়েছে যেন হল মালিকরা লসে না পড়েন এবং হল বন্ধ না করে দেন। কিন্তু এইসব নিয়মের কারণে ছবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি।
সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ট্রাস্টির ফি-তে রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে
লন্ডন অফিস: অতিরিক্ত তিন কোটি সাতাশি লাখ টাকার উপরে জমা হয়েছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র নতুন ট্রাস্টি ফি। এটি এ ট্রাস্টের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল বর্তমান বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্ট কার্যকরী কমিটির শেষ মিটিং। ট্রাস্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে এবারেই সবচেয়ে বেশি নতুন ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে ২৮০ জন ট্রাস্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শেষ মিটিংয়ে ২৭৭ জন নতুন ট্রাস্টি অনুমোদন শেষে বর্তমান ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫৭ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা আমাদের ট্রাস্টের সকল সম্মানিত নতুন গর্বিত ট্রাস্টিবৃন্দকে সংগঠনে যুক্ত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোঃ মতসির খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপার্সন শেখ তাহির উল্লা, কোষাধ্যক্ষ আজম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আখলাকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী মজনু, প্রেস পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোঃ মানিক মিয়া কালচার সেক্রেটারি কদর উদ্দিন, ইসি সদস্য সুপারস্টার আব্দুস শহীদ, শাহ জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মুকিত ও এম আব্দূস সাত্তার।
ভারতে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি
ভারতে জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, ‘ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ শে এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আগামীকাল
প্রেসনোট রিপোর্ট: আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এই ধাপে ১৪১ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮জন প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন।
হাতিয়া,মুন্সিগঞ্জসদর,বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর এই পাঁচটি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এই পাঁচ উপজেলায় কোনো পদেই ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।
ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে স্বাভাবিক এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৭জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
ভোট গ্রহণের সাত দিন আগে ও ভোট গ্রহণের পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরা অস্ত্রসহ চলাচল না করতে কিংবা বহন ও প্রদর্শন না করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করেছে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষ ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
লন্ডনে আলতাব আলী দিবস পালিত
আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডন: আলতাব আলীর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রামকে চিহ্নিত করে বার্ষিক আলতাব আলী দিবস পালিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত ৪ মে সন্ধ্যা ৬টায়, যেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, কবিতা পাঠ করা হয় এবং আলতাব আলী এবং বর্ণবাদী সহিংসতার শিকার অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এক মিনিট নীরবতার পর, বাঙালি কমিউনিটি ও বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বাঙালিদের বর্ণবাদ বিরোধী সংগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে এবং সকলকে সমতার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
১৯৭৮ সালের ৪ মে গার্মেন্টস শ্রমিক ২৪ বছরের আলতাব আলীকে হত্যা করা হয়। তিনি তার কাজ শেষ হওয়ার পরে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। হোইটচ্যাপেলের এডলার স্ট্রিটে তাকে তিন বর্ণবাদী যুবক ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। তাকে স্থানীয় হোইটচ্যাপেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত গোষণা করে। এই হত্যাকাণ্ডে পর বাঙালিরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কালচার এন্ড রিক্রিয়েশন লিড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন । “আলতাব আলীর নির্বোধ হত্যাকাণ্ড আমাদের সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছিল কিন্তু এমন একটি আন্দোলনকেও প্রজ্বলিত করেছিল যা স্তব্ধ হবে না,” ইভেন্টের হোস্ট কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন। “আজ আমরা তার স্মৃতি এবং তাদের সাহসকে সম্মান জানাই যারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ‘আর নয়’ বলেছিল।”
উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার জাহেদ চৌধুরী, ইকুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল ইন্ক্লুজন কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ, কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং আলতাব আলী ট্রাস্টের রফিক উল্লাহ, আকলাকুর রহমান ও হালিমা ইদ্রিস, স্ট্যান্ড আপ থেকে শীলা ম্যাকগ্রেগর, জুইশ সোসালিষ্ট গ্রুপের ডেভিড রোজেনবার্গ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরাম থেকে সুফিয়া আলম।
পার্কের অনুষ্ঠানের পর, অংশগ্রহণকারীরা বাঙালি সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্বেষণে একটি প্রদর্শনী দেখার এবং চ্যানেল ৪ এর ডকুমেন্টারি ‘ডিফিয়েন্স’-এর স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্র্যাডি আর্টস সেন্টারে চলে যান। স্বাধীনতা ট্রাস্টের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জুলি বেগম, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং ডিফিয়েন্সের সিরিজ ডিরেক্টর সতীয়েশ মনোহারাজাকে নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । প্যানেলের সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডা. লায়লী উদ্দিন।
মিডল্যান্ডে এফবিসিসিআই’র পরিচালক ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা
লন্ডন অফিস: দক্ষিণ সুরমা মিডল্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জমিরুল ইসলাম সিরাজের উদ্যেগে সিলেট ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)’র পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার ৭ মে মিডল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ারের ট্যামওয়ার্থের ঐতিহ্যবাহী জালালী রেস্টুরেন্টে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির যুগ্ন আহ্বায়ক কয়েছ চৌধুরী।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপ বঙ্গবন্ধু পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুজিব হোসেন।
সংবর্ধিত অতিথি ইশহাকুল হোসেন সুইট অনুষ্ঠান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সকল প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করেন বলেন, অনেক প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের অর্থনীতি হবে বিশ্বের ১০ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কভেন্টি সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি মকদ্দস আলী, কমিউনিটি নেতা আশিক আলী, সেলিব্রেটি আব্দুস সালাম, সাংবাদিক রায়হান তালুকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ডক্টর মিসবাউর রহমান মিছবাহ, জেএমজি কার্গোর সত্ত্বাধিকারী মনির মিয়া, দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির আহবায়ক আকিকুর রহমান আকিক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, মাসুম ট্রাভেলস এর সত্বাধিকারী তুহিনুর ইসলাম, হাজী মহর্রম আলী, হাজী তাজর আলী, জয়েন্ট সেক্রেটারি বাদশা মিয়া, কমিউনিটি নেতা কফিল উদ্দিন, লাল ভেলি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আবুল মিয়া, শাহজালাল ট্রাভেলসের আনার মিয়া, মোজামিল খান, রইস আলী, কভেন্টি সিটি আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের সৈয়দ কবির আহমদ, মুফতি তাজুল ইসলাম, মৌলানা সাব্বির আহমদ, একাউন্টেন্ট মাসুদ মিয়া, শিক্ষক আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ব্যবসায়ী কাবুল মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরন চৌধুরী, সাহেদা খানম বাবলি ও জীবন আহমেদ।