লন্ডনে আলতাব আলী দিবস পালিত
আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডন: আলতাব আলীর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রামকে চিহ্নিত করে বার্ষিক আলতাব আলী দিবস পালিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত ৪ মে সন্ধ্যা ৬টায়, যেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, কবিতা পাঠ করা হয় এবং আলতাব আলী এবং বর্ণবাদী সহিংসতার শিকার অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এক মিনিট নীরবতার পর, বাঙালি কমিউনিটি ও বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বাঙালিদের বর্ণবাদ বিরোধী সংগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে এবং সকলকে সমতার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
১৯৭৮ সালের ৪ মে গার্মেন্টস শ্রমিক ২৪ বছরের আলতাব আলীকে হত্যা করা হয়। তিনি তার কাজ শেষ হওয়ার পরে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। হোইটচ্যাপেলের এডলার স্ট্রিটে তাকে তিন বর্ণবাদী যুবক ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। তাকে স্থানীয় হোইটচ্যাপেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত গোষণা করে। এই হত্যাকাণ্ডে পর বাঙালিরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কালচার এন্ড রিক্রিয়েশন লিড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন । “আলতাব আলীর নির্বোধ হত্যাকাণ্ড আমাদের সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছিল কিন্তু এমন একটি আন্দোলনকেও প্রজ্বলিত করেছিল যা স্তব্ধ হবে না,” ইভেন্টের হোস্ট কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন। “আজ আমরা তার স্মৃতি এবং তাদের সাহসকে সম্মান জানাই যারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ‘আর নয়’ বলেছিল।”
উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার জাহেদ চৌধুরী, ইকুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল ইন্ক্লুজন কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ, কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং আলতাব আলী ট্রাস্টের রফিক উল্লাহ, আকলাকুর রহমান ও হালিমা ইদ্রিস, স্ট্যান্ড আপ থেকে শীলা ম্যাকগ্রেগর, জুইশ সোসালিষ্ট গ্রুপের ডেভিড রোজেনবার্গ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরাম থেকে সুফিয়া আলম।
পার্কের অনুষ্ঠানের পর, অংশগ্রহণকারীরা বাঙালি সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্বেষণে একটি প্রদর্শনী দেখার এবং চ্যানেল ৪ এর ডকুমেন্টারি ‘ডিফিয়েন্স’-এর স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্র্যাডি আর্টস সেন্টারে চলে যান। স্বাধীনতা ট্রাস্টের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জুলি বেগম, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং ডিফিয়েন্সের সিরিজ ডিরেক্টর সতীয়েশ মনোহারাজাকে নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । প্যানেলের সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডা. লায়লী উদ্দিন।
লন্ডনে আলতাব আলী দিবস পালিত
আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডন: আলতাব আলীর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রামকে চিহ্নিত করে বার্ষিক আলতাব আলী দিবস পালিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত ৪ মে সন্ধ্যা ৬টায়, যেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, কবিতা পাঠ করা হয় এবং আলতাব আলী এবং বর্ণবাদী সহিংসতার শিকার অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এক মিনিট নীরবতার পর, বাঙালি কমিউনিটি ও বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বাঙালিদের বর্ণবাদ বিরোধী সংগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে এবং সকলকে সমতার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
১৯৭৮ সালের ৪ মে গার্মেন্টস শ্রমিক ২৪ বছরের আলতাব আলীকে হত্যা করা হয়। তিনি তার কাজ শেষ হওয়ার পরে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। হোইটচ্যাপেলের এডলার স্ট্রিটে তাকে তিন বর্ণবাদী যুবক ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। তাকে স্থানীয় হোইটচ্যাপেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত গোষণা করে। এই হত্যাকাণ্ডে পর বাঙালিরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কালচার এন্ড রিক্রিয়েশন লিড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন । “আলতাব আলীর নির্বোধ হত্যাকাণ্ড আমাদের সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছিল কিন্তু এমন একটি আন্দোলনকেও প্রজ্বলিত করেছিল যা স্তব্ধ হবে না,” ইভেন্টের হোস্ট কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন। “আজ আমরা তার স্মৃতি এবং তাদের সাহসকে সম্মান জানাই যারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ‘আর নয়’ বলেছিল।”
উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার জাহেদ চৌধুরী, ইকুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল ইন্ক্লুজন কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ, কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং আলতাব আলী ট্রাস্টের রফিক উল্লাহ, আকলাকুর রহমান ও হালিমা ইদ্রিস, স্ট্যান্ড আপ থেকে শীলা ম্যাকগ্রেগর, জুইশ সোসালিষ্ট গ্রুপের ডেভিড রোজেনবার্গ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরাম থেকে সুফিয়া আলম।
পার্কের অনুষ্ঠানের পর, অংশগ্রহণকারীরা বাঙালি সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্বেষণে একটি প্রদর্শনী দেখার এবং চ্যানেল ৪ এর ডকুমেন্টারি ‘ডিফিয়েন্স’-এর স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্র্যাডি আর্টস সেন্টারে চলে যান। স্বাধীনতা ট্রাস্টের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জুলি বেগম, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং ডিফিয়েন্সের সিরিজ ডিরেক্টর সতীয়েশ মনোহারাজাকে নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । প্যানেলের সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডা. লায়লী উদ্দিন।
মিডল্যান্ডে এফবিসিসিআই’র পরিচালক ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা
লন্ডন অফিস: দক্ষিণ সুরমা মিডল্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জমিরুল ইসলাম সিরাজের উদ্যেগে সিলেট ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)’র পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ইশহাকুল হোসেন সুইটকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার ৭ মে মিডল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ারের ট্যামওয়ার্থের ঐতিহ্যবাহী জালালী রেস্টুরেন্টে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির যুগ্ন আহ্বায়ক কয়েছ চৌধুরী।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপ বঙ্গবন্ধু পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুজিব হোসেন।
সংবর্ধিত অতিথি ইশহাকুল হোসেন সুইট অনুষ্ঠান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সকল প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করেন বলেন, অনেক প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের অর্থনীতি হবে বিশ্বের ১০ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কভেন্টি সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি মকদ্দস আলী, কমিউনিটি নেতা আশিক আলী, সেলিব্রেটি আব্দুস সালাম, সাংবাদিক রায়হান তালুকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ডক্টর মিসবাউর রহমান মিছবাহ, জেএমজি কার্গোর সত্ত্বাধিকারী মনির মিয়া, দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির আহবায়ক আকিকুর রহমান আকিক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, মাসুম ট্রাভেলস এর সত্বাধিকারী তুহিনুর ইসলাম, হাজী মহর্রম আলী, হাজী তাজর আলী, জয়েন্ট সেক্রেটারি বাদশা মিয়া, কমিউনিটি নেতা কফিল উদ্দিন, লাল ভেলি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আবুল মিয়া, শাহজালাল ট্রাভেলসের আনার মিয়া, মোজামিল খান, রইস আলী, কভেন্টি সিটি আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের সৈয়দ কবির আহমদ, মুফতি তাজুল ইসলাম, মৌলানা সাব্বির আহমদ, একাউন্টেন্ট মাসুদ মিয়া, শিক্ষক আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ব্যবসায়ী কাবুল মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরন চৌধুরী, সাহেদা খানম বাবলি ও জীবন আহমেদ।
মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।
তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
দরিয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উপদেষ্টা শেখ হাসিনা সমবায় পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল করতে সারা বাংলাদেশে সমবায় গঠনের ধারণা ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনার দেওয়া ৯ দশমিক ০৫ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দরিয়াকুল সমবায় সমিতি।
প্রধানমন্ত্রী সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সমবায় ব্যবস্থায় জমির মালিকানা পরিবর্তন হবে না এবং ফসলকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি ফসলের একটি অংশ মালিক, কৃষকরা একটি অংশ এবং সমবায়ের কাছে একটি অংশ যায়।
প্রধানমন্ত্রী অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যত জীবনের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কীমের উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন,‘আমরা শুধুমাত্র বর্তমানের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও কাজ করছি। সর্বজনীন পেনশন স্কীমের সুবিধাভোগীদের ভবিষ্যত জীবন সুরক্ষিত করবে।’
শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতাকর্মীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে তাদের নাম সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় তাঁর দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্ষাকালে দলের প্রত্যেক সদস্যকে অন্তত তিনটি করে গাছের চারা লাগানোর আহ্বান জানান।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই শেখ হাসিনা তাঁর বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ তাঁর পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের জন্যও দোয়া করেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নিয়ে যা বললেন শান্ত
প্রেসনোট স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ম্যাচ হাতে রেখে আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে তারা সিকান্দার রাজার দলকে ৫ রানে হারিয়েছে।
তবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টাইগার দলপতি বলেন, ‘হতাশাজনক (উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলা), তামিম ও সৌম্য যেভাবে খেলেছে সেটা ইতিবাচক দিক। উইকেটের দিকটা বললে অবশ্যই সহজ ছিল না। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ভালো করব। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো ছিল, ভালো বোলিংও করেছি। পরের ম্যাচে আমাদের আরও ভালো ব্যাট করতে হবে।’
বল হাতে বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়া সাকিব-মুস্তাফিজের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘আমাদের পেসাররা দারুণ ছিল। সাকিব এবং মুস্তাফিজ দলে ফেরায় আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আশা করছি, আমাদের ব্যাটাররা শিগগিররই রানে ফিরবেন।’
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ-সৌম্য মিলে ১১.২ ওভারে ১০১ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর ধসে পড়ে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। পরের ৪২ রানেই তারা ১০ উইকেট হারায়। এমন পুঁজি নিয়েও স্বাগতিকরা লড়েছে মুস্তাফিজ–সাকিবদের বোলিংয়ের কল্যাণে। সাকিব ৩৫ রানে ৪ উইকেট এবং মুস্তাফিজ মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। সিকান্দার রাজার দল অলআউট হয়ে যায় ১৩৮ রানে।
এর মধ্য দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজে ৪-০ ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগামী ১২ মে। মিরপুর শের-ই বাংলায় ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়।
ট্রাস্টির ফি-তে রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে
লন্ডন অফিস: অতিরিক্ত তিন কোটি সাতাশি লাখ টাকার উপরে জমা হয়েছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র নতুন ট্রাস্টি ফি। এটি এ ট্রাস্টের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল বর্তমান বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্ট কার্যকরী কমিটির শেষ মিটিং। ট্রাস্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে এবারেই সবচেয়ে বেশি নতুন ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে ২৮০ জন ট্রাস্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শেষ মিটিংয়ে ২৭৭ জন নতুন ট্রাস্টি অনুমোদন শেষে বর্তমান ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫৭ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা আমাদের ট্রাস্টের সকল সম্মানিত নতুন গর্বিত ট্রাস্টিবৃন্দকে সংগঠনে যুক্ত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোঃ মতসির খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপার্সন শেখ তাহির উল্লা, কোষাধ্যক্ষ আজম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আখলাকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী মজনু, প্রেস পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোঃ মানিক মিয়া কালচার সেক্রেটারি কদর উদ্দিন, ইসি সদস্য সুপারস্টার আব্দুস শহীদ, শাহ জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মুকিত ও এম আব্দূস সাত্তার।