প্রথম থেকে নবম শ্রেণি

লটারিতে সুযোগ পেলে ভর্তি বাধ্যতামূলক

এ প্রক্রিয়ায় কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করালে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে -মাউশির পরিচালক

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২ জানুয়ারি, ২০২২ | ৯:১৯ 2009 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২ জানুয়ারি, ২০২২ | ৯:১৯ 2009 ভিউ
Link Copied!

তিন স্তরের (মহানগর, বিভাগ ও জেলা) সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে। কোথাও বেশি বয়সের ধুয়া তুলে লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তি করানো হচ্ছে না। কোথাও আবার মৌখিক পরীক্ষার নামে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এর ফলে লটারিতে চান্স পাওয়ার পরও কেউ কেউ ভর্তি থেকে বাদ পড়ছে। ভুক্তভোগীদের অনেকে কাছে এসব বিষয়ে তথ্যবহুল অভিযোগ করেছেন।

অপরদিকে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পায়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আয়োজনে অনলাইনে আবেদনকারীদের মধ্যেই এমন শিক্ষার্থী আছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। অবশ্য এসব শিক্ষার্থীকে এখন সরাসরি ভর্তির সুযোগ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভর্তির এই সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ভর্তির নামে যুদ্ধাবস্থা দূর করার জন্য সরকার লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নিয়েছে। তাই লটারির বাইরে মূল্যায়ন বা অন্য কোনোভাবে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কিংবা ছাঁটাইয়ের সুযোগ নেই। লটারিতে সুযোগ পেলে ভর্তি বাধ্যতামূলক। কিন্তু যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লটারিতে চান্স পাওয়ার পরও ভর্তি না করার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোদ্দা কথা কেউ ভর্তিবঞ্চিত থাকবে না। যারা লটারিতে চান্স পায়নি কিংবা অনলাইনে আবেদন করতে পারেনি-তাদের সরাসরি ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে এই ভর্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি স্ব স্ব স্কুল সরকারি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করবে।’

বিজ্ঞাপন

ভর্তিতে দুর্নীতি বন্ধে এবার প্রথমবারের মতো বেসরকারি হাইস্কুলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লটারিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জেলা সদর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড় দিয়েছে। অর্থাৎ লটারি না করেও নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি করাতে পারবে। এ ধরনের স্কুলের মধ্যে বিভিন্ন চার্চ পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল ও উত্তরা মডেল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান আছে। যদিও অভিভাবকদের দাবি অনুযায়ী এসব স্কুলে যেহেতু ভর্তি নিয়ে বেশি তদবির হয়, তাই এখানে লটারিতে ভর্তি রাখা জরুরি ছিল।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছিল, মাউশির কমিটির অধীনে এবং কেবল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র ভর্তির অনুমতি পাওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেছে। এক্ষেত্রে কোনোটি লটারির আগে, আবার কোনোটি লটারির পরে মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি এবার কেন্দ্রীয় ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসেনি। নিজেরা আবেদন নিয়ে গত শনিবার তৃতীয় শ্রেণির লটারি আয়োজন করে। রোববার থেকে শিক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাই করে ভর্তি নেওয়ার কথা। কিন্তু ঘোষণার বাইরে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিবঞ্চিত করা হয় অনেককে। ওই অভিভাবক আরও বলেন, তার সন্তানও আছে বঞ্চিতদের ওই তালিকায়। তার সন্তানের ভর্তির তারিখ ছিল সোমবার। তাদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয়। সারাদিন না খেয়ে থাকায় সন্ধ্যায় ছেলে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। পরে দেখে তার ছেলেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ লটারিতে নির্বাচিত কাউকে বাদ দেওয়ার কথা নয়।

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মাউশির পরিচালক অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আলাদা ভর্তির অনুমতি পেলেও কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানেও লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তিতে জটিলতা হয়েছিল। জামালপুর জিলা স্কুলে লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বয়সের জটিলতার কারণে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আন্দোলন করেন। পরে অবশ্য মাউশি নির্দেশনা জারি করে যে, কেবল প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৬ বছর বা এর বেশি বয়স হতে হবে। তবে এর কম হলে হলে ভর্তি করা হবে না। আর অন্য শ্রেণিতে বয়সের কোনো বিধিনিষেধ নেই।

মাউশি সূত্র জানায়, এবার ৪০৫টি সরকারি এবং ২৯৬২টি বেসরকারি স্কুলে সরকারিভাবে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এগুলোর মধ্যে সরকারিতে ৮০ হাজার ১৭টি এবং বেসরকারিতে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি আসন রয়েছে। ৮০ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৩টি। আবেদনকারী বেশি থাকা সত্ত্বেও ৪ হাজার ৪৮ আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। অপরদিকে বেসরকারি আসনের তুলনায় আবেদন কম পড়লেও সবাইকে ভর্তির সুপারিশ করা হয়নি। আবেদনকারীর মধ্যে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন লটারিতে চান্স পেয়েছে। মোট আবেদন করেছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৭ জন। সুপারিশ বঞ্চিত আছে ৯২ হাজারের বেশি। ফলে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও বেসরকারিতেও ভর্তি নিয়ে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আবেদন করে ৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬০ জন। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ভর্তির সুপারিশ পেয়েছে। বাকি সাড়ে ৫ লাখেরই ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তারা এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে এক রকম হন্যে হয়ে ভর্তি করাতে বিভিন্ন স্কুল খুঁজছে। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণিতে আবেদনকারীরা বেশি অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

রাজধানীর মতিঝিলের বাসিন্দা মেহেদী হাসান রাসেল বলেন, ‘তার দুই ছেলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। ছোটটি প্রথম শ্রেণিতে আর বড়টি ষষ্ঠ শ্রেণিতে। কিন্তু ফলাফলে দুই ছেলেই অপেক্ষমাণ তালিকায় আছে। তবে বড়টি নিয়ে ঝামেলা নেই। তাকে হয়তো আগের স্কুলে রাখা যাবে। কিন্তু ছোটটি নিয়ে তিনি বিপদে পড়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘লটারি প্রক্রিয়া না থাকলে তিনি তার ছেলেকে হয়তো পছন্দের ভালো স্কুলে ভর্তি করাতে পারতেন।’

এদিকে মাউশির উপপরিচালক আজিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘ভর্তির জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক আসন আছে। যদিও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন কম। কিন্তু বেসরকারিতে সাড়ে ৯ লাখ আসন আছে। লটারির মাধ্যমে পৌনে ৩ লাখকে সুপারিশ করা হয়েছে। সুতরাং শূন্য আসনে এখন স্কুল না পাওয়া, এমনকি অনলাইনে আবেদন না করা প্রার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। এজন্য এখন সরাসরি ভর্তি করার অনুমতি স্কুলগুলোকে দেওয়া হবে।

মাউশি পরিচালক বেলাল হোসাইন বলেন, ‘মূলত জানুয়ারি মাস ধরেই শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলবে। যারা লটারিতে এসেছে কিংবা আসেনি- সবার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে যে ৪ হাজার আসন শূন্য আছে সেখানে স্কুলগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে দ্বিতীয় তালিকায় শিক্ষার্থী দেওয়া হবে। আর নানান কারণে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যেও কেউ কোথাও ভর্তি না হওয়ায় আসন শূন্য হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করানো হবে। এরপরও আসন খালি থাকলে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা দেওয়া হবে।’

ট্যাগ:

ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২২ 29 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২২ 29 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এয়ারটেল ভারতের গ্রাহকদের কাছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংকের উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে। দুই কম্পানির বরাত দিয়ে এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এয়ারটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ভারতে স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তি। তবে স্পেসএক্সকে ভারতে স্টারলিংক পরিষেবা বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে হবে।

এয়ারটেল ও স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করে এয়ারটেলের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে স্টারলিংকের সরঞ্জাম সরবরাহ, এয়ারটেলের মাধ্যমে ব্যাবসায়িক গ্রাহকদের স্টারলিংক পরিষেবা দেওয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সম্প্রদায়, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারে স্টারলিংক পরিষেবা আনার এই পদক্ষেপ এয়ারটেলের গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ।’

স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, যা বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ইন্টারনেটব্যবস্থা ব্যবহার করে প্রত্যন্ত স্থানেও স্ট্রিমিং, ভিডিও কল, অনলাইন গেমিং, রিমোট ওয়ার্কসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করে।
এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিত্তল বলেছেন, ‘এই অংশীদারি আমাদের ভারতের সর্বদূরবর্তী এলাকাতেও বিশ্বমানের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি, ব্যবসা ও সম্প্রদায় নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সুবিধা পায়। স্টারলিংক এয়ারটেলের পণ্যসম্ভারকে আরো শক্তিশালী করবে, যাতে ভারতের গ্রাহকরা যেখানেই বসবাস বা কাজ করুক না কেন, তারা যেন নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড সুবিধা পেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুইন শটওয়েল বলেছেন, ভারতের টেলিকম শিল্পে এয়ারটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তাই স্পেসএক্সের সরাসরি পরিষেবার পরিপূরক হিসেবে তাদের সঙ্গে কাজ করাটা ব্যাবসায়িকভাবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে ও স্টারলিংকের রূপান্তরকারী প্রভাব ভারতের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উদগ্রীব। আমরা প্রতিনিয়ত বিস্মিত হই যখন দেখি, মানুষ, ব্যবসা ও সংস্থাগুলো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কী কী অসাধারণ ও অনুপ্রেরণামূলক কাজ করছে।’

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও ভারতের ব্রডব্যান্ড বাজারে শীর্ষে রয়েছে, যার এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ওয়্যার্ড ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে। একই সঙ্গে জিওর প্রায় ৫০ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

এয়ারটেলেরও প্রায় ৩০ কোটি ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে।
তবে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগ রয়েছে, দুই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয়ে স্পেকট্রাম কিনেও তারা এখন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের কারণে গ্রাহক হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৮ 10 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৮ 10 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক : এবার দেশে সাদাকাতুল ফিতরা প্রদানের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০ (একশ দশ) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০ (পাঁচশ ত্রিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ (এক হাজার নয়’শ আশি) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৮০৫ (দুই হাজার আটশ পাঁচ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটির: উপ-প্রেসসচিব

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ২:১৫ 36 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ২:১৫ 36 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থান সামান্য উন্নতি হয়েছে; পাঁচদিনের মাথায় তার চোখের পাতায় নড়াচড়াও দেখা গেছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে।

তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

“তবে শ্বাসরোধের কারণে তার মস্তিকে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল, যেটা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তার বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল সেটা দূর করা গেছে। চিকিৎসকরা আশাবাদী দুই-এক দিনের মধ্যে শিশুটির অবস্থার আরও উন্নতি হবে।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ নিয়মিত শিশুটির খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে আজাদ মজুমদার আরও বলেন, “আজও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসা চলছে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে।

বিজ্ঞাপন

মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

গত শনিবার ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে আনা হয়।

রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৪ মার্চ, ২০২৫ | ৬:৪০ 9 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৪ মার্চ, ২০২৫ | ৬:৪০ 9 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি সংস্কার কর্মসূচির প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই। আমরা আপনাদের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। আমরা আপনাদের সর্বোত্তম সফলতা কামনা করি। যেকোনো সহযোগিতা লাগলে আমাদের জানান।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আজ শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে এক বৈঠকে সংস্কার এজেন্ডার প্রতি জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিশ্বব্যাপী ‘সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠী’ রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি চার দিনের সফরে গতকাল ঢাকায় আসেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সংস্কার প্রক্রিয়া একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের একটি ‘বাস্তব রূপান্তর’ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে সংস্কার প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে’।

বিজ্ঞাপন

গুতেরেস বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে তিনি রমজান মাসে বাংলাদেশে এসেছেন।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি’। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে’।

‘মানবিক সহায়তা হ্রাস করা একটি অপরাধ’ উল্লেখ করে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখন প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করছে, কিন্তু তখন আবার বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের ‘অপরিসীম কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যন্ত উদারতা দেখিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি আমার জন্য একটি বিশেষ বিষয়’।

তিনি বলেন, ‘আপনার আসার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারত না। আপনার সফর কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী’।

প্রধান উপদেষ্টা গুতেরেসকে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দলগুলো ছয়টি কমিশনের সুপারিশসমূহের সাথে একবার একমত হলে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পাশাপাশি রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচন সংক্রান্ত, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কারের একটি রূপরেখা হবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে,  তারা যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান, যাতে রোহিঙ্গারা সম্মানের সাথে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে। তিনি বলেন, যতদিন তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে ততদিন পর্যন্ত তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা যেন নিশ্চিত করা যায়।

তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। বিশ্বকে জানতে হবে তারা কতটা কষ্ট পাচ্ছে। তাদের মধ্যে একটা হতাশার অনুভূতি রয়েছে’।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং তাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবেন।

গুতেরেস বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রম ‘অসাধারণ’ এবং বাংলাদেশ ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে রয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন,‘বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।

অধ্যাপক ইউনূসও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদ্যেদের প্রশংসা করে বলেন, এই মিশনে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন,‘শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ’।

বৈঠকে ভূ-রাজনীতি, সার্কের বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী দেশেগুলোর সম্পর্কের বিষয় নিয়েও আলোচনায় হয়। অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে একাধিক বন্দর নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কেও কথা বলেন, যা নেপাল ও ভুটানসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশকে ‘একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও জাপানসহ প্রায় প্রতিটি দেশের সমর্থন পেয়েছে।অর্থনীতি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ভঙ্গুর ব্যাংকিং খাত, সংকোচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে পড়া অবস্থায় পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি এখন সুসংহত হয়েছে। রপ্তানি কয়েক মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ভালো অবস্থানে রয়েছে’।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অর্থনীতি এমনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ।তিনি বলেন,‘আমরা এলডিসি উত্তরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি’। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে লুটপাট হওয়া কয়েকশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত আনার জন্য সরকার চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি তাকে ১৯৭৪ সালের পর্তুগালের বিপ্লবী দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৫ মার্চ, ২০২৫ | ১:৫৬ 27 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৫ মার্চ, ২০২৫ | ১:৫৬ 27 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্ক কার্নি। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

কানাডার নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ফরাসি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই শপথ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের পর তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মার্ক কার্নি।

তিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। ৫৯ বছর বয়সি কার্নি বিজয়ী হওয়ার পর এক বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং বলেছেন যে, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে চান। কিন্তু আমেরিকানদের কোনো ধরনের ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলায় কানাডা যেমন জয়ী হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধেও তারা জয়ী হবে।

প্রায় এক দশক ধরে দায়িত্ব পালনের পর গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর তার উত্তরাধিকার বাছাইয়ে জয়ী হন মার্ক কার্নি।

বিজ্ঞাপন

ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো।

নিয়ম অনুযায়ী যিনি হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। সে হিসেবে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।

শিরোনাম:
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: জিম্মি ১৮২, নিহত ২০ সেনা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞেসাবাদ করবে টাস্কফোর্স দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটির: উপ-প্রেসসচিব শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ: আলী রীয়াজ ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রধারীকে গুলি ধর্ষণকারীর বিচার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতের দাবি সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে ইরানকে ট্রাম্পের চিঠি আগামীকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস ভোটের আগে বিচার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চাই: নাহিদ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি ইইউর ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর পরিকল্পনা যেকারণে অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস তারেক ও মামুন শিক্ষক সমাজকে অবহেলা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: রুহুল কবির রিজভী রংপুর সিএমএইচে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন: সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, গণপরিষদ নয় : সিইসি