কোপেনহেগেন অগ্নিকাণ্ড: ছাই হলো সবার সামনে ৪০০ বছরের ঐতিহ্য
জাবের আহমেদ, কোপেনহেগেন : ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের পুরনো স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটির চূড়া পুড়ে ছাদের ওপর ধসে পড়ে। সংস্কারের সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। চূড়াটি দেখতে চারটি ড্রাগনের প্যাচানো লেজের মতো ছিল।
১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বোরসেন হল নামে পরিচিত ভবনটি শহরের প্রাচীনতম ভবনগুলোর একটি, যা সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ শর্টসার্কিট অথবা সংস্কারকর্মীদের সিগারেটের আগুন থেকে হতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ভবনটির আইকনিক চূড়া আগুনে ধসে পড়েছে। তবে ভবনের ভেতরের সবাই নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পেরেছে। এছাড়া ভেতরে থাকা কিছু ঐতিহাসিক পেইন্টিং উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ডেনমার্কের সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাকব এঙ্গেল-শ্মিড জানান, ৪০০ বছরের ডেনমার্কের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আগুনে পুড়ে গেছে। ১৬২৫ সালে তৈরি এ ভবনটি ডেনমার্কের পার্লামেন্ট এবং রাজকীয় প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার হত।
স্থানীয় কারিগর হেনরিক গ্রেজ বলেন, এটি একটি দুঃখজনক দিন। ২০১৯ সালে প্যারিসে ক্যাথেড্রালের ছাদ এবং চূড়াকে গ্রাসকারী আগুনের সঙ্গে এর তুলনা করা যায়। এটি আমাদের নটরডেম।
ডাচ রেনেসাঁ শৈলীর এই ভবনটিতে এখন আর ডেনিশ স্টক এক্সচেঞ্জ নেই। তবে ডেনিশ চেম্বার অব কমার্সের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চেম্বার অব কমার্স জানিয়েছে, আমরা একটি ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছি। এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন লেগেছে। কোপেনহেগেনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এ মুহূর্তে অজানা। কিন্তু জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ভবনটির বেশিরভাগ অংশ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন টাওয়ারের চারপাশে সবচেয়ে তীব্র ছিল।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় যে, মানুষ আগুনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে ছুটোছুটি করছেন। অনেকের হাতে পেইন্টিং ছিল। কাউকে আইফোন ছুঁড়ে ফেলতে দেখা যায়।
সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাকব এঙ্গেল-শ্মিড বলেছেন, ৪০০ বছরের ডেনমার্কের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটি সবার চোখের সামনে আগুনে ভস্ম হয়ে গেছে।
জরুরী পরিষেবার প্রধান জ্যাকব ভেদস্টেড অ্যান্ডারসেন বলেছেন, পুরানো তামার ছাদের নীচে এলাকায় প্রবেশ করা অগ্নিনির্বাপকদের প্রায় অসম্ভব কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
একজন দর্শক ডেনিশ মিডিয়াকে বলেছেন, আমি সম্পূর্ণ বাকরুদ্ধ- এটি একটি অতুলনীয় হৃদয়বিদারক ঘটনা।
ফেঞ্চুগঞ্জ: মোহাম্মদিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় বিশেষ সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভুমিদাতা পরিবারের সদস্য, শুভেচ্ছা ফ্লোরের সমন্বয়কারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনসুর আহমদ খানের দেশে আগমন উপলক্ষে এক বিশেষ সভা ও দোয়া মাহফিল ৯ মে বেলা এগারটায় মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আতহার এতে সভাপতিত্ব করেন। এ মাদ্রাসার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ আবু সাঈদ মোঃ সেলিম সভা সঞ্চালনা করেন।
দোয়াপূর্ব মাদ্রাসা পরিচালনা নির্বাহী কমিটির সভায় চলতি বছরের রমজানে ইফতার-সেহরি আয়োজনে দেশ বিদেশ থেকে আসা অনুদান ও ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় লন্ডন প্রবাসী মনসুর আহমদ খান জানান শুভেচ্ছা ফ্লোরের জন্যে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে আরও সামান্য কম ৫ লক্ষ টাকা।
দোয়াপূর্ব আলোচনায় অংশ নেন হাফিজ তরিকুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজি আবুল কাশেম জবুল, শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খান, সৈয়দ বদরুজ্জামান খিজির, সবুর আহমদ, মাওলানা, মাহবুব আহমদ খান, এনটিভি ইউরোপ-র প্রতিনিধি সাংবাদিক দেলওয়ার হোসেন পাপ্পু এবং অতিথি বিশিষ্ট গবেষক ও অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসা তুলনামুলক অতি অল্প দিনেই মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিকভাবে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে দ্বীনি এ মাদ্রাসার অগ্রগতির জন্যে দেশের ও বিদেশের অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। বক্তারা এ অঞ্চলের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুম ইন্তজির খানের বহুমূখী কৃতিত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একইসাথে হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার অগ্রগতিতে অবদান রেখে প্রয়াত হয়েছেন যারা, তাদের কথাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। বিশেষত হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অর্থ যোগানদাতা মরহুম ইন্তাজির খানের সুযোগ্য পুত্র লন্ডন প্রবাসী শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খানের আন্তরিক প্রয়াসের কথা সভায় তুলে ধরা হয়।
বক্তারা বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার অসামান্য সাফল্যের পেছনে অনেকেই এমন আছেন যারা তাদের নাম প্রচার করতে চান না, নীরবে সহযোগিতা করে আসছেন। আলোচনায় গুরুত্বসহকারে জানানো হয় এ মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্র শুভাকাঙ্খী সকলের ঐকান্তিক চেষ্টার কথা।
আলোচনা শেষে লন্ডন প্রবাসী শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খান শুভেচ্ছা ফ্লোরের জন্যে প্রায় ৫ লক্ষ (৪,৯৩,২৬৮) টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আতহারের কাছে। পরে সভাপতির দোয়ার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।
বিশ্বনাথের ইসমাইল ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলার নির্বাচিত
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে মাত্র ১৯ বছর বয়সে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর ব্রিটিশ বাংলাদেশি, সিলেটের বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান ইসমাইল উদ্দীন নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন।
শুক্রবার (৪ মে) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বড় দুটি রাজনৈতিক দল লেবার কনজারভেটিভসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পেছনে ফেলে ইসমাইল অন্যতম এলাকা ব্রাডফোর্ডের বৌলিং অ্যান্ড বারকারন্ড ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন তিনি।
বিজয়ী হওয়ার পর ইসমাইল উদ্দীন বলেন, ব্রিটেনে বয়সে কনিষ্ঠ স্বতন্ত্র কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পেরে আমি ভোটার, তার পরিবার এবং আল্লাহপাকের কাছে কৃতজ্ঞ।
ইসমাইল উদ্দিন ২০০৪ সালের জুলাইতে ব্রাডফোর্ড শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধাবী। ব্রাডফোর্ড হ্যানসন একাডেমীতে মাধ্যমিক শিক্ষার সময় ছিলেন স্কুল ক্যাপ্টেন এবং ব্রাডফোর্ড ডিকসন কলেজের ষ্টুডেন্টস ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে তিনি লীডস ইউনিভার্সিটিতে পলিটিক্যাল সায়েন্স এ অধ্যয়নরত। সেখানকার মুসলিম ষ্টুডেন্ট ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ইসমাইল। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ পৌরসভার কারিকোনা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন ও গৃহিনী আসমা বেগমের এর ১ম পুত্র। ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সে ২য়। ইসমাইল উদ্দিন এর দাদা মরহুম হাজী ছনই মিয়া ছিলেন বিশ্বনাথের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী।
লন্ডনে আলতাব আলী দিবস পালিত
আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডন: আলতাব আলীর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রামকে চিহ্নিত করে বার্ষিক আলতাব আলী দিবস পালিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত ৪ মে সন্ধ্যা ৬টায়, যেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, কবিতা পাঠ করা হয় এবং আলতাব আলী এবং বর্ণবাদী সহিংসতার শিকার অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এক মিনিট নীরবতার পর, বাঙালি কমিউনিটি ও বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বাঙালিদের বর্ণবাদ বিরোধী সংগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে এবং সকলকে সমতার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
১৯৭৮ সালের ৪ মে গার্মেন্টস শ্রমিক ২৪ বছরের আলতাব আলীকে হত্যা করা হয়। তিনি তার কাজ শেষ হওয়ার পরে বিকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। হোইটচ্যাপেলের এডলার স্ট্রিটে তাকে তিন বর্ণবাদী যুবক ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। তাকে স্থানীয় হোইটচ্যাপেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত গোষণা করে। এই হত্যাকাণ্ডে পর বাঙালিরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কালচার এন্ড রিক্রিয়েশন লিড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন । “আলতাব আলীর নির্বোধ হত্যাকাণ্ড আমাদের সম্প্রদায়কে নাড়া দিয়েছিল কিন্তু এমন একটি আন্দোলনকেও প্রজ্বলিত করেছিল যা স্তব্ধ হবে না,” ইভেন্টের হোস্ট কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন। “আজ আমরা তার স্মৃতি এবং তাদের সাহসকে সম্মান জানাই যারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ‘আর নয়’ বলেছিল।”
উল্লেখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার জাহেদ চৌধুরী, ইকুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল ইন্ক্লুজন কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ, কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং আলতাব আলী ট্রাস্টের রফিক উল্লাহ, আকলাকুর রহমান ও হালিমা ইদ্রিস, স্ট্যান্ড আপ থেকে শীলা ম্যাকগ্রেগর, জুইশ সোসালিষ্ট গ্রুপের ডেভিড রোজেনবার্গ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরাম থেকে সুফিয়া আলম।
পার্কের অনুষ্ঠানের পর, অংশগ্রহণকারীরা বাঙালি সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্বেষণে একটি প্রদর্শনী দেখার এবং চ্যানেল ৪ এর ডকুমেন্টারি ‘ডিফিয়েন্স’-এর স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্র্যাডি আর্টস সেন্টারে চলে যান। স্বাধীনতা ট্রাস্টের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জুলি বেগম, আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের আকিকুর রহমান এবং ডিফিয়েন্সের সিরিজ ডিরেক্টর সতীয়েশ মনোহারাজাকে নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় । প্যানেলের সভাপতিত্ব করেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডা. লায়লী উদ্দিন।
মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।
তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
দরিয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির উপদেষ্টা শেখ হাসিনা সমবায় পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল করতে সারা বাংলাদেশে সমবায় গঠনের ধারণা ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনার দেওয়া ৯ দশমিক ০৫ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দরিয়াকুল সমবায় সমিতি।
প্রধানমন্ত্রী সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সমবায় ব্যবস্থায় জমির মালিকানা পরিবর্তন হবে না এবং ফসলকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি ফসলের একটি অংশ মালিক, কৃষকরা একটি অংশ এবং সমবায়ের কাছে একটি অংশ যায়।
প্রধানমন্ত্রী অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যত জীবনের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কীমের উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন,‘আমরা শুধুমাত্র বর্তমানের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও কাজ করছি। সর্বজনীন পেনশন স্কীমের সুবিধাভোগীদের ভবিষ্যত জীবন সুরক্ষিত করবে।’
শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতাকর্মীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে তাদের নাম সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় তাঁর দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্ষাকালে দলের প্রত্যেক সদস্যকে অন্তত তিনটি করে গাছের চারা লাগানোর আহ্বান জানান।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই শেখ হাসিনা তাঁর বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ তাঁর পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের জন্যও দোয়া করেন।
ট্রাস্টির ফি-তে রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে
লন্ডন অফিস: অতিরিক্ত তিন কোটি সাতাশি লাখ টাকার উপরে জমা হয়েছে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র নতুন ট্রাস্টি ফি। এটি এ ট্রাস্টের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল বর্তমান বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্ট কার্যকরী কমিটির শেষ মিটিং। ট্রাস্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে এবারেই সবচেয়ে বেশি নতুন ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুতে ২৮০ জন ট্রাস্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শেষ মিটিংয়ে ২৭৭ জন নতুন ট্রাস্টি অনুমোদন শেষে বর্তমান ট্রাস্টি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫৭ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা আমাদের ট্রাস্টের সকল সম্মানিত নতুন গর্বিত ট্রাস্টিবৃন্দকে সংগঠনে যুক্ত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন মোঃ মতসির খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপার্সন শেখ তাহির উল্লা, কোষাধ্যক্ষ আজম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আখলাকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী মজনু, প্রেস পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোঃ মানিক মিয়া কালচার সেক্রেটারি কদর উদ্দিন, ইসি সদস্য সুপারস্টার আব্দুস শহীদ, শাহ জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মুকিত ও এম আব্দূস সাত্তার।