বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ মহড়া সমাপ্ত


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ছয় দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শীর্ষক যৌথ অনুশীলন মহড়া সমাপ্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এ মহড়া সমাপ্ত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান সমাপনী বক্তব্য দেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।
ওই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিরা, যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ মহড়া রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এ শুরু হয়েছিল।
আইএসপিআর আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছরই নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপৎকালীন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ মূলত আপৎকালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এম আই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমান বাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি প্রদান করবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এটাই জনগণের প্রত্যাশা। তারা ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই নতুন কোন ইস্যু তৈরি করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে জনগণের কাছে ধরা পড়বেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভোটে তালা ঝুলিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছেন। গরু-বাছুরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে, কিন্তু ভোটারদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দিনের ভোট রাতে পরিণত হয়েছে। র্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকানো হয়েছে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারই নিশ্চিত করবে জনগণের ভোটাধিকার। কারণ এই সরকার নিরপেক্ষ থাকবে।
তবে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশেষ একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সমর্থক আমলাদের বসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে বলছি, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিন যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা দলীয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ব্যবহার করে দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তাই জনগণ নতুন আরেকটি ফ্যাসিবাদের শাসন দেখতে চায় না।
জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারাবাহিকতা স্মরণ ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে একদলীয় দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করেছে।
এরপর বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর ৫ আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান জাতিকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরা নানা চক্রান্ত করছে। তা বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যানও চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সব অন্ধকার দূর করে জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখবে।
দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বছরও হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে মণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এটাই আমাদের সম্প্রীতির ঐতিহ্য।
ভারতে ড. ইউনূসের মুখাবয়বের আদলে তৈরি অসুরের মূর্তির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এটি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় ও অপসংস্কৃতির প্রকাশ। মোদি সরকার যদি ভারতে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নামিয়ে আনেন আমরা সেটি গ্রহণ করবো না। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করা যাবে না। তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো।
যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর


লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর (রবিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার্কিংয়ের ওয়েসিস ব্যাংকুয়েটিং, ৬–৮ থেমস রোড, IG11 0HZ-এ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী নাজিম উদ্দীন। আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার আব্দুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সমিতির ৩০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে প্রকাশিত হবে বিশেষ বর্ষপূর্তি ম্যাগাজিন। এতে থাকবে সমিতির যাত্রাপথের স্মৃতি, অবদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, শিশুদের পরিবেশনা এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার বার্তা।
চেয়ারপার্সন নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের ‘মেজবান’ কেবল ভোজ নয়; এটি উদারতা, শিক্ষা আর একতার জীবন্ত ঐতিহ্য। তিন দশক উদ্যাপনের এই মুহূর্তে আমরা পুনঃনিশ্চিত করছি সেই কাজগুলো, যা আমাদের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বাস্তব সহায়তা, শিক্ষা, স্মৃতি-অনুষঙ্গ এবং সৌহার্দ্য।”
‘মেজবান’ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক আয়োজন, যেখানে বিশেষত মাংসের পদ পরিবেশনের মাধ্যমে বৃহৎ মিলনমেলা হয়। যুক্তরাজ্যে এ আয়োজন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নৃত্য ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীর এক অনন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সমিতির এক্সেকিউটিভ কমিটি জানায়, বার্ষিক মেজবান যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্য, সম্পর্কের বন্ধন ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার প্রতীক। তারা বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষসহ বন্ধুদেরও এই আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
যোগাযোগ:
• নাজিম উদ্দিন, চেয়ারম্যান — 07888 698 693
• মৌসুমি চৌধুরী জয়া, সেক্রেটারি — 07990 280 350
• আবদুল মান্নান, ট্রেজারার — 07590 850 430
• সেলিম হোসেন, ভাইস-চেয়ার — 07809 683 908
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর জন্য সর্বাধিক প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনগুলোর একটি। তিন দশক ধরে সংগঠনটি সংস্কৃতি বিকাশ, ঐক্য সুদৃঢ়করণ এবং প্রবাসী সদস্যদের জন্য অভিন্ন পরিমণ্ডল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: এম এ মালিক


আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করুন। তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, তার জন্যও দোয়া করুন। দেশে একটি সত্যিকারের নির্বাচন দরকার, আর সে লক্ষ্যে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। শনিবার (৪ অক্টোবর) সিলেটের জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এসব কথা বলেন তিনি।
এমএ মালিক বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। ভারতের কারণে আমরা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছি। তাই দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা সিলেটের গর্বের প্রতিষ্ঠান। নেত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সেবা করতে, আমি সেই কাজে নিজেকে নিবেদন করব। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করেছিলেন। আমরা সেই আদর্শে বিশ্বাস করি। দেশের কল্যাণে, মানুষের সেবায়, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকতে চাই। আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও মুহতামিম শায়খ মুহিউল ইসলাম বুরহানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১৯ অক্টোবর ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: চ্যাডওয়েল হীথের মে ফেয়ার হলে আগামী ১৯ অক্টোবর, রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা। সকাল ১২টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
বইমেলায় থাকবে বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের বই ও বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বিভিন্ন প্রকাশনা। পাশাপাশি থাকছে নানা ধরনের স্টল, খাবারের স্টল এবং শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন—নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়াপাঠের অনুষ্ঠান। মহিলাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গতকাল ব্রাডি আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বইমেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উদীচি যুক্তরাজ্যের সভাপতি ও বইমেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা। তিনি বইমেলাকে সফল করার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যরা—মিছবাহ জামাল, গোলাম কবির, মুজিবুল হক মনি, তৌফিক রহমান, মলি ফূয়াদ, সাহেল জাহান শিবলী, সেলিনা চৌধুরী শেলী, রুমা জাফর, ফারহানা ইসলাম মাধবী, মনজু আরা খাতুন, আরমান আলি, হীরা কান্চন হীরক, কিশোয়ার মুনিয়া, ফজলুল হক, মনির হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল দেওয়ানসহ অনেকে। তারা সবাই বইমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আয়োজক গোলাম মোস্তফা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে মঞ্চে উঠবেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মৌসুমি ভৌমিক।
বইমেলা সমন্বয় কমিটি এই অনন্য আয়োজনকে সফল করতে উপস্থিত থাকার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।
চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।