ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন এবং জুলাইয়ের জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটির নেতাকর্মীরা। এর আগে রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন কৃষ্ণচূড়া চত্বরে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আমীর কামরুল আহসান এমরুল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. সামিউল হক ফারুকী, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিমসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দেশে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা অভিযোগ করেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন মানে দিনের ভোট রাতে করার প্রস্তুতি, যা জনগণ আর কখনও মেনে নেবে না।
জামায়াতের ৫ দফা দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর


লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর (রবিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার্কিংয়ের ওয়েসিস ব্যাংকুয়েটিং, ৬–৮ থেমস রোড, IG11 0HZ-এ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী নাজিম উদ্দীন। আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার আব্দুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সমিতির ৩০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে প্রকাশিত হবে বিশেষ বর্ষপূর্তি ম্যাগাজিন। এতে থাকবে সমিতির যাত্রাপথের স্মৃতি, অবদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, শিশুদের পরিবেশনা এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার বার্তা।
চেয়ারপার্সন নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের ‘মেজবান’ কেবল ভোজ নয়; এটি উদারতা, শিক্ষা আর একতার জীবন্ত ঐতিহ্য। তিন দশক উদ্যাপনের এই মুহূর্তে আমরা পুনঃনিশ্চিত করছি সেই কাজগুলো, যা আমাদের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বাস্তব সহায়তা, শিক্ষা, স্মৃতি-অনুষঙ্গ এবং সৌহার্দ্য।”
‘মেজবান’ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক আয়োজন, যেখানে বিশেষত মাংসের পদ পরিবেশনের মাধ্যমে বৃহৎ মিলনমেলা হয়। যুক্তরাজ্যে এ আয়োজন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নৃত্য ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীর এক অনন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সমিতির এক্সেকিউটিভ কমিটি জানায়, বার্ষিক মেজবান যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্য, সম্পর্কের বন্ধন ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার প্রতীক। তারা বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষসহ বন্ধুদেরও এই আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
যোগাযোগ:
• নাজিম উদ্দিন, চেয়ারম্যান — 07888 698 693
• মৌসুমি চৌধুরী জয়া, সেক্রেটারি — 07990 280 350
• আবদুল মান্নান, ট্রেজারার — 07590 850 430
• সেলিম হোসেন, ভাইস-চেয়ার — 07809 683 908
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর জন্য সর্বাধিক প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনগুলোর একটি। তিন দশক ধরে সংগঠনটি সংস্কৃতি বিকাশ, ঐক্য সুদৃঢ়করণ এবং প্রবাসী সদস্যদের জন্য অভিন্ন পরিমণ্ডল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস


হামাস শুক্রবার বলেছে, তারা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমর্থন করেছেন। প্রায় দুই বছরব্যাপী এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতিতে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হামাস তার প্রতিক্রিয়ায় কিছু বলেনি।
পরিকল্পনাটিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ‘গাজার শাসনে কোনও ভূমিকা থাকবে না’, বরং এই অঞ্চলের প্রশাসনের দায়িত্ব একটি টেকনোক্র্যাটিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হবে, যার তত্ত্বাবধান করবে একটি যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প নিজে।
হামাসের মুখপাত্র তাহের আল-নুনু এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজার ওপর ইসরাইলি বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান উৎসাহজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামাস বন্দী বিনিময়, যুদ্ধের অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরাইলি) সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘ইসরাইল ‘ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম পর্বের জন্য বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমরা প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাব, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।’
এএফপি’র এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকার উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিতে জানান, হামাসের প্রতিক্রিয়া শোনার পর গাজার শরণার্থী শিবির থেকে উল্লাসধ্বনি শুনতে পাওয়া গেছে।
গাজা সিটির একজন ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ আবু হাতাব বলেন, ‘হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং নতুন আলোচনার দরজা খোলার জন্য আমি খুবই খুশি।’
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আশা করি, মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায়, যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে এবং আমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।’
ট্রাম্প এটিকে ‘একটি বিশেষ দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এক সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে আরও বলেছেন, গাজা আলোচনায় সকল পক্ষের সঙ্গে ‘ন্যায্য আচরণ’ করা হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এটাই জনগণের প্রত্যাশা। তারা ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই নতুন কোন ইস্যু তৈরি করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে জনগণের কাছে ধরা পড়বেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভোটে তালা ঝুলিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছেন। গরু-বাছুরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে, কিন্তু ভোটারদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দিনের ভোট রাতে পরিণত হয়েছে। র্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকানো হয়েছে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারই নিশ্চিত করবে জনগণের ভোটাধিকার। কারণ এই সরকার নিরপেক্ষ থাকবে।
তবে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশেষ একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সমর্থক আমলাদের বসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে বলছি, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিন যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা দলীয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ব্যবহার করে দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তাই জনগণ নতুন আরেকটি ফ্যাসিবাদের শাসন দেখতে চায় না।
জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারাবাহিকতা স্মরণ ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে একদলীয় দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করেছে।
এরপর বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর ৫ আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান জাতিকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরা নানা চক্রান্ত করছে। তা বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যানও চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সব অন্ধকার দূর করে জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখবে।
দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বছরও হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে মণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এটাই আমাদের সম্প্রীতির ঐতিহ্য।
ভারতে ড. ইউনূসের মুখাবয়বের আদলে তৈরি অসুরের মূর্তির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এটি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় ও অপসংস্কৃতির প্রকাশ। মোদি সরকার যদি ভারতে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নামিয়ে আনেন আমরা সেটি গ্রহণ করবো না। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করা যাবে না। তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো।
পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যসামগ্রীর পরিচিতি, বিপণন এবং বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) কার্যালয়ে ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিসিক ভবনে পাঁচ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এ মেলায় কোন প্রবেশ ফি নেই। ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের সমারোহে রঙিন হয়ে উঠেছে মেলায় পুরো প্রাঙ্গণ। বস্ত্র, মৃৎ, পাট, পুতুল, ব্লক, বাটিক, চামড়া, গহনা, সূচি, বাঁশ-বেতসহ নানান হস্ত ও কুটির শিল্পপণ্যের মোট ৪৩টি স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের জন্য ৪০টি, বিসিক নকশা কেন্দ্রের জন্য ২টি এবং নকশা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের জন্য ১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিসিক নকশা কেন্দ্র ও বিসিকের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যসামগ্রীর পরিচিতি, বিপণন এবং বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিবছরই বিসিক এ ধরনের মেলার আয়োজন করে থাকে।