২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের নতুন ভবনের বহির্বিভাগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য মনির হায়দারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি সচিব মো. কামাল উদ্দিন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফিরোজ সরকার, ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত (স্বাস্থ্য) পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ইনজামামুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আবু সাঈদ, জেলা বিএনপির সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কামরুল হাসান, জেলা জামায়াতের আমির তাজ উদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, এনসিপির জেলা সমন্বয়কারী শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
১৯ অক্টোবর ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: চ্যাডওয়েল হীথের মে ফেয়ার হলে আগামী ১৯ অক্টোবর, রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা। সকাল ১২টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
বইমেলায় থাকবে বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের বই ও বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বিভিন্ন প্রকাশনা। পাশাপাশি থাকছে নানা ধরনের স্টল, খাবারের স্টল এবং শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন—নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়াপাঠের অনুষ্ঠান। মহিলাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গতকাল ব্রাডি আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বইমেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উদীচি যুক্তরাজ্যের সভাপতি ও বইমেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা। তিনি বইমেলাকে সফল করার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যরা—মিছবাহ জামাল, গোলাম কবির, মুজিবুল হক মনি, তৌফিক রহমান, মলি ফূয়াদ, সাহেল জাহান শিবলী, সেলিনা চৌধুরী শেলী, রুমা জাফর, ফারহানা ইসলাম মাধবী, মনজু আরা খাতুন, আরমান আলি, হীরা কান্চন হীরক, কিশোয়ার মুনিয়া, ফজলুল হক, মনির হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল দেওয়ানসহ অনেকে। তারা সবাই বইমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আয়োজক গোলাম মোস্তফা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে মঞ্চে উঠবেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মৌসুমি ভৌমিক।
বইমেলা সমন্বয় কমিটি এই অনন্য আয়োজনকে সফল করতে উপস্থিত থাকার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যেকর্মী নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসন ব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরব সরকারের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
এর আগে, ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই ও স্বীকৃতি সংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিক থেকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ, আধা-দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা যাচাই, নিরাপদ অভিবাসন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও কর্মীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক, আকামা নবায়ন, এবং সময়মতো এক্সিট ভিসা প্রদানের বিষয়গুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, আকামা নবায়নের দায়িত্ব নিয়োগকর্তারা যথাযথভাবে পালন করে এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী প্রেরণের আগে আমরা প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এর মাধ্যমে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।’
জবাবে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি শুধু নিয়োগ নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।’
তিনি কর্মী কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মন্ত্রণালয়কে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, কর্মী নিয়োগে ডিজিটাল যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু, নারী কর্মীদের সুরক্ষা এবং অবৈধ দালাল চক্র দমনে যৌথ মনিটরিং সিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশন উপপ্রধান এস. এম. নাজমুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী, সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, যারা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভালো বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি যৌথ অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যেখানে নিয়োগ ও কর্মচুক্তির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দক্ষ কর্মী রপ্তানি শুধু রেমিট্যান্স বাড়াবে না, এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।’
যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর


লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর (রবিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার্কিংয়ের ওয়েসিস ব্যাংকুয়েটিং, ৬–৮ থেমস রোড, IG11 0HZ-এ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী নাজিম উদ্দীন। আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার আব্দুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সমিতির ৩০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে প্রকাশিত হবে বিশেষ বর্ষপূর্তি ম্যাগাজিন। এতে থাকবে সমিতির যাত্রাপথের স্মৃতি, অবদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, শিশুদের পরিবেশনা এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার বার্তা।
চেয়ারপার্সন নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের ‘মেজবান’ কেবল ভোজ নয়; এটি উদারতা, শিক্ষা আর একতার জীবন্ত ঐতিহ্য। তিন দশক উদ্যাপনের এই মুহূর্তে আমরা পুনঃনিশ্চিত করছি সেই কাজগুলো, যা আমাদের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বাস্তব সহায়তা, শিক্ষা, স্মৃতি-অনুষঙ্গ এবং সৌহার্দ্য।”
‘মেজবান’ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক আয়োজন, যেখানে বিশেষত মাংসের পদ পরিবেশনের মাধ্যমে বৃহৎ মিলনমেলা হয়। যুক্তরাজ্যে এ আয়োজন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নৃত্য ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীর এক অনন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সমিতির এক্সেকিউটিভ কমিটি জানায়, বার্ষিক মেজবান যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্য, সম্পর্কের বন্ধন ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার প্রতীক। তারা বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষসহ বন্ধুদেরও এই আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
যোগাযোগ:
• নাজিম উদ্দিন, চেয়ারম্যান — 07888 698 693
• মৌসুমি চৌধুরী জয়া, সেক্রেটারি — 07990 280 350
• আবদুল মান্নান, ট্রেজারার — 07590 850 430
• সেলিম হোসেন, ভাইস-চেয়ার — 07809 683 908
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর জন্য সর্বাধিক প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনগুলোর একটি। তিন দশক ধরে সংগঠনটি সংস্কৃতি বিকাশ, ঐক্য সুদৃঢ়করণ এবং প্রবাসী সদস্যদের জন্য অভিন্ন পরিমণ্ডল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যসামগ্রীর পরিচিতি, বিপণন এবং বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) কার্যালয়ে ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিসিক ভবনে পাঁচ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এ মেলায় কোন প্রবেশ ফি নেই। ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের সমারোহে রঙিন হয়ে উঠেছে মেলায় পুরো প্রাঙ্গণ। বস্ত্র, মৃৎ, পাট, পুতুল, ব্লক, বাটিক, চামড়া, গহনা, সূচি, বাঁশ-বেতসহ নানান হস্ত ও কুটির শিল্পপণ্যের মোট ৪৩টি স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের জন্য ৪০টি, বিসিক নকশা কেন্দ্রের জন্য ২টি এবং নকশা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের জন্য ১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিসিক নকশা কেন্দ্র ও বিসিকের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যসামগ্রীর পরিচিতি, বিপণন এবং বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিবছরই বিসিক এ ধরনের মেলার আয়োজন করে থাকে।
তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: এম এ মালিক


আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করুন। তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, তার জন্যও দোয়া করুন। দেশে একটি সত্যিকারের নির্বাচন দরকার, আর সে লক্ষ্যে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। শনিবার (৪ অক্টোবর) সিলেটের জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এসব কথা বলেন তিনি।
এমএ মালিক বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। ভারতের কারণে আমরা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছি। তাই দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা সিলেটের গর্বের প্রতিষ্ঠান। নেত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সেবা করতে, আমি সেই কাজে নিজেকে নিবেদন করব। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করেছিলেন। আমরা সেই আদর্শে বিশ্বাস করি। দেশের কল্যাণে, মানুষের সেবায়, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকতে চাই। আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও মুহতামিম শায়খ মুহিউল ইসলাম বুরহানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।