নাটোরে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: নাটোরে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। আজ বিকেল চারটায় নাটোর জেলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে নাটোর জেলা স্টেডিয়ামকে সচল রাখতে চাই। পাশাপাশি জেলার সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্তত একটি খেলার মাঠ সচল করতে চাই। পড়াশুনার পাশাপাশি ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে, মাদক থেকে দূরে থাকবে।’
টুর্নামেন্টে জেলার সাতটি উপজেলা এবং নাটোর পৌরসভাসহ আটটি দল অংশ নিচ্ছে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টাইব্রেকারে নলডাঙ্গা উপজেলা দল ৫-৪ গোলে হারায় নাটোর পৌরসভা দলকে।
তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: এম এ মালিক


আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করুন। তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, তার জন্যও দোয়া করুন। দেশে একটি সত্যিকারের নির্বাচন দরকার, আর সে লক্ষ্যে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। শনিবার (৪ অক্টোবর) সিলেটের জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এসব কথা বলেন তিনি।
এমএ মালিক বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। ভারতের কারণে আমরা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছি। তাই দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা সিলেটের গর্বের প্রতিষ্ঠান। নেত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সেবা করতে, আমি সেই কাজে নিজেকে নিবেদন করব। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করেছিলেন। আমরা সেই আদর্শে বিশ্বাস করি। দেশের কল্যাণে, মানুষের সেবায়, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকতে চাই। আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও মুহতামিম শায়খ মুহিউল ইসলাম বুরহানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর


লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী সমাবেশ ‘বার্ষিক মেজবান’ আগামী ১৯ অক্টোবর (রবিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার্কিংয়ের ওয়েসিস ব্যাংকুয়েটিং, ৬–৮ থেমস রোড, IG11 0HZ-এ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী নাজিম উদ্দীন। আরও বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার আব্দুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সমিতির ৩০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে প্রকাশিত হবে বিশেষ বর্ষপূর্তি ম্যাগাজিন। এতে থাকবে সমিতির যাত্রাপথের স্মৃতি, অবদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, শিশুদের পরিবেশনা এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার বার্তা।
চেয়ারপার্সন নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের ‘মেজবান’ কেবল ভোজ নয়; এটি উদারতা, শিক্ষা আর একতার জীবন্ত ঐতিহ্য। তিন দশক উদ্যাপনের এই মুহূর্তে আমরা পুনঃনিশ্চিত করছি সেই কাজগুলো, যা আমাদের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বাস্তব সহায়তা, শিক্ষা, স্মৃতি-অনুষঙ্গ এবং সৌহার্দ্য।”
‘মেজবান’ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক আয়োজন, যেখানে বিশেষত মাংসের পদ পরিবেশনের মাধ্যমে বৃহৎ মিলনমেলা হয়। যুক্তরাজ্যে এ আয়োজন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নৃত্য ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীর এক অনন্য সাংস্কৃতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সমিতির এক্সেকিউটিভ কমিটি জানায়, বার্ষিক মেজবান যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্য, সম্পর্কের বন্ধন ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার প্রতীক। তারা বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষসহ বন্ধুদেরও এই আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
যোগাযোগ:
• নাজিম উদ্দিন, চেয়ারম্যান — 07888 698 693
• মৌসুমি চৌধুরী জয়া, সেক্রেটারি — 07990 280 350
• আবদুল মান্নান, ট্রেজারার — 07590 850 430
• সেলিম হোসেন, ভাইস-চেয়ার — 07809 683 908
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর জন্য সর্বাধিক প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ সংগঠনগুলোর একটি। তিন দশক ধরে সংগঠনটি সংস্কৃতি বিকাশ, ঐক্য সুদৃঢ়করণ এবং প্রবাসী সদস্যদের জন্য অভিন্ন পরিমণ্ডল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।
চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৬ অক্টোবর সোমবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টায় ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রিন্ট মিডিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করছে ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে।
ইসি সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ও বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক বাসস’কে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে সংলাপে বসবে ইসি। প্রায় ৪০ জনের বেশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এরআগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর গণমাধ্যম অপরিহার্য। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় গণমাধ্যম যেন সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে, যাতে কোনো ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। শুরু থেকেই সবার কাছে সমস্ত তথ্য যেন পৌঁছায়। নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা জরুরি।
প্রথম দিন ইসির সংলাপে ১৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৫ জন শিক্ষাবিদ অংশ নেন।