ডা. আমিনুর রহমান লস্কর এবং ডা. আলতাফুর রহমানকে লন্ডনে সংবর্ধনা


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্য সফরত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের জেনারেল সেক্রেটারি প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আমিনুর রহমান লস্কর এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. আলতাফুর রহমানকে ফ্রেন্ডস অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেট (এফএনএইচএফ) ইউকের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ২১ জুলাই ইস্ট লন্ডনের সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি চ্যানেল এস টিভির চেয়ারম্যান ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউকে কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মনসুর আহমদ খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্থ কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আশরাফ চৌধুরী জাহান।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের পরিচয় এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউকে কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি, সেন্ট্রেল কমিটির এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও সানরাইজ স্পেক্ট্রাম বাংলার রেডিওর ফাউন্ডার মিছবাহ জামাল।
অতিথিদ্বয়কে সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ডা. আমিনুর রহমান লস্কর হাসপাতালের সূচনালগ্ন থেকে প্রবাসীদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ২০০৫ সালে মাত্র ৪ লাখ টাকায় শাহি ঈদগাহে ১০০ ডেসিমেল জমি অধিগ্রহণ এবং ভবন নির্মাণে প্রবাসীদের অবদান স্মরণীয়।
তিনি জানান, সরকার এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং বেসরকারি অনুদানের মাধ্যমে ৯তলা ভবনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে প্রবাসীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সংবর্ধিত অতিথি ডাক্তার আলতাফুর রহমান অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ইউক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান এবং হাসপাতালের সকল দাতাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
সংগঠনের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, ইউকে কমিটির সক্রিয় সহযোগিতায় প্রায় ৮০ লাখ টাকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অর্থ ফান্ড রেইজিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব। এবং এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে নেটওয়ার্কিং সভা করার কথা উল্লেখ করেন।
সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সেন্ট্রাল কমিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন সেক্রেটারি এস আই আজাদ আলী, প্রধান উপদেষ্টা এম শামসুদ্দিন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ এমবিই, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ আলাউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মানিক মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, আবদাল মিয়া, রফিক মিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারি লেখক সাংবাদিক আব্দুল মুনিম জাহেদি কারল, প্রেস পাবলিসিটি সেক্রেটারি অনুপম টোয়েন্টিফোর সম্পাদক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, ওমেন্স সেক্রেটারি নতুনদিন টিভির এক্সিকিউটিভ পলি রহমান, মেম্বারশিপ সেক্রেটারি ডাঃ সৈয়দ মাসুক আহমদ, রিলিজিয়াস সেক্রেটারি শেখ ফারুক আহমেদ, ইসি মেম্বার ও বৃটেনের পার্লামেন্টে সম্ভাব্য লিবডেম দলীয় এমপি প্রার্থী মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন।
ইসি মেম্বার ও বৃটেনের পার্লামেন্টে সম্ভাব্য লিবডেম দলীয় এমপি প্রার্থী মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে বলেন, বৃটেনের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যাতে তাদের পূর্ব পুরুষদের চিনতে পারে বুঝতে পারে তাই পার্মানেন্ট ডোনার বোর্ডে আগামিতে ডোনার মেম্বারদের ইউকের পাশাপাশি তাদের পিতার নাম ও দেশের গ্রাম ও উপজেলার নাম বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করলে তাদেরকে হাসপাতালের সাথে একটি যুগসুএ স্হাপন করা যেতে পারে।
সংবর্ধনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসি মেম্বার ইব্রাহিম আলি খন্দকার, ইসি মেম্বার গোলাম রসুল মুহি আহাদ, মোঃ দিলওয়ার হোসেন, মতিউর রহমান খোকন, মুকিত চৌধুরী, পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার ও দর্পণ সম্পাদক রহমত আলি, বারিষ্টার মাসুদ চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়ারিছ আলী।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন নতুন ডোনার মেম্বার অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন। তাদের মধ্যে আংগুর আলি, গ্রাম বাংলা রেষ্টুরেন্টের ডাইরেক্টর গুলজার খান, বিবিসিসিআই লন্ডন রিজিওয়নের প্রেসিডেন্ট জেএমজির মনির আহমদ, সোনারগাঁও রেষ্টুরেন্টের ডাইরেক্টর তোফাজ্জল আলম, বিশিষ্ট বাবসায়ী সিরাজ উদ্দিন, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল হাই, বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুল মুকিত।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চানেল এস সিনিয়র রিপোর্টার লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, সময় টিভির ইউকে প্রধান সাংবাদিক সুয়েব কবির, সাংবাদিক আলাউর রাহমান খান শাহিন, নতুনদিন টিভির কামেরাপার্সন নাদির মজুমদার।
পুরাতন ডোনারদের মধ্যে ইব্রাহিম আলী খন্দকার, সম্পাদক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, সম্পাদক পলি রহমান, গোলাম রসুল মুহি আহাদ, অনুদান প্রদান ও সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশেষ এ সংবর্ধনা সভায় লন্ডন সহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা অতিথি এবং সদস্যপদ গ্রহণ এবং স্থায়ী ডোনার হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি সাংবাদিক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী।
এ সংবর্ধনা সভায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।
চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৬ অক্টোবর সোমবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টায় ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রিন্ট মিডিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করছে ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে।
ইসি সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ও বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক বাসস’কে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে সংলাপে বসবে ইসি। প্রায় ৪০ জনের বেশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এরআগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর গণমাধ্যম অপরিহার্য। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় গণমাধ্যম যেন সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে, যাতে কোনো ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। শুরু থেকেই সবার কাছে সমস্ত তথ্য যেন পৌঁছায়। নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা জরুরি।
প্রথম দিন ইসির সংলাপে ১৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৫ জন শিক্ষাবিদ অংশ নেন।
১৯ অক্টোবর ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা


প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: চ্যাডওয়েল হীথের মে ফেয়ার হলে আগামী ১৯ অক্টোবর, রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা। সকাল ১২টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
বইমেলায় থাকবে বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের বই ও বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বিভিন্ন প্রকাশনা। পাশাপাশি থাকছে নানা ধরনের স্টল, খাবারের স্টল এবং শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন—নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়াপাঠের অনুষ্ঠান। মহিলাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গতকাল ব্রাডি আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বইমেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উদীচি যুক্তরাজ্যের সভাপতি ও বইমেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা। তিনি বইমেলাকে সফল করার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যরা—মিছবাহ জামাল, গোলাম কবির, মুজিবুল হক মনি, তৌফিক রহমান, মলি ফূয়াদ, সাহেল জাহান শিবলী, সেলিনা চৌধুরী শেলী, রুমা জাফর, ফারহানা ইসলাম মাধবী, মনজু আরা খাতুন, আরমান আলি, হীরা কান্চন হীরক, কিশোয়ার মুনিয়া, ফজলুল হক, মনির হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল দেওয়ানসহ অনেকে। তারা সবাই বইমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আয়োজক গোলাম মোস্তফা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে মঞ্চে উঠবেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মৌসুমি ভৌমিক।
বইমেলা সমন্বয় কমিটি এই অনন্য আয়োজনকে সফল করতে উপস্থিত থাকার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস


হামাস শুক্রবার বলেছে, তারা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমর্থন করেছেন। প্রায় দুই বছরব্যাপী এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতিতে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হামাস তার প্রতিক্রিয়ায় কিছু বলেনি।
পরিকল্পনাটিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ‘গাজার শাসনে কোনও ভূমিকা থাকবে না’, বরং এই অঞ্চলের প্রশাসনের দায়িত্ব একটি টেকনোক্র্যাটিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হবে, যার তত্ত্বাবধান করবে একটি যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প নিজে।
হামাসের মুখপাত্র তাহের আল-নুনু এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজার ওপর ইসরাইলি বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান উৎসাহজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামাস বন্দী বিনিময়, যুদ্ধের অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরাইলি) সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘ইসরাইল ‘ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম পর্বের জন্য বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমরা প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাব, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।’
এএফপি’র এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকার উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিতে জানান, হামাসের প্রতিক্রিয়া শোনার পর গাজার শরণার্থী শিবির থেকে উল্লাসধ্বনি শুনতে পাওয়া গেছে।
গাজা সিটির একজন ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ আবু হাতাব বলেন, ‘হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং নতুন আলোচনার দরজা খোলার জন্য আমি খুবই খুশি।’
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আশা করি, মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায়, যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে এবং আমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।’
ট্রাম্প এটিকে ‘একটি বিশেষ দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এক সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে আরও বলেছেন, গাজা আলোচনায় সকল পক্ষের সঙ্গে ‘ন্যায্য আচরণ’ করা হবে।