দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৮ জুলাই, ২০২৫ | ১০:২০ 55 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৮ জুলাই, ২০২৫ | ১০:২০ 55 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ সেখ বলেছেন, দেশের আমূল সংস্কার না হলে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। প্রশাসন, আইন ও নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। তা না হলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে না।

অধিকাংশ দল পিআর চাইলেও একটি দল পিআর চাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যের কারণে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতায়ই দায়ী।’

শুক্রবার ১৮ জুলাই বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম উত্তর গেইটে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপর হামলা, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মো. মাছউদুর রহমান, যুবনেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন ও ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান।

মাওলানা ইউনুস আহমদ আরো বলেন, জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখনও যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাইনি, আহতরা সুচিকিৎসার অভাবে এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায়, পরিবহন ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। রিকসা-ভ্যান অটো চাঁদা ছাড়া রাস্তায় চলতে পারে না। এমন দেশের জন্য ছাত্র-জনতা জীবনবাজি রেখে লড়াই করেনি।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ:

রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩০ 6 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩০ 6 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:  প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।

এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।

চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৭ 13 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৭ 13 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এটাই জনগণের প্রত্যাশা। তারা ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই নতুন কোন ইস্যু তৈরি করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে জনগণের কাছে ধরা পড়বেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা ভোটে তালা ঝুলিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছেন। গরু-বাছুরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে, কিন্তু ভোটারদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দিনের ভোট রাতে পরিণত হয়েছে। র‌্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারই নিশ্চিত করবে জনগণের ভোটাধিকার। কারণ এই সরকার নিরপেক্ষ থাকবে।

তবে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশেষ একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সমর্থক আমলাদের বসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে বলছি, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিন যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা দলীয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ব্যবহার করে দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তাই জনগণ নতুন আরেকটি ফ্যাসিবাদের শাসন দেখতে চায় না।

জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারাবাহিকতা স্মরণ ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে একদলীয় দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করেছে।

এরপর বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর ৫ আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান জাতিকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছেন।’

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরা নানা চক্রান্ত করছে। তা বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যানও চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সব অন্ধকার দূর করে জাতীয়তাবাদের পতাকা উঁচু রাখবে।

দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বছরও হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে মণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এটাই আমাদের সম্প্রীতির ঐতিহ্য।

ভারতে ড. ইউনূসের মুখাবয়বের আদলে তৈরি অসুরের মূর্তির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এটি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় ও অপসংস্কৃতির প্রকাশ। মোদি সরকার যদি ভারতে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নামিয়ে আনেন আমরা সেটি গ্রহণ করবো না। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করা যাবে না। তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো।

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৪ 12 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৪ 12 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৬ অক্টোবর সোমবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টায় ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রিন্ট মিডিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করছে ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে।

ইসি সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ও বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক বাসস’কে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে সংলাপে বসবে ইসি। প্রায় ৪০ জনের বেশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এরআগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর গণমাধ্যম অপরিহার্য। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় গণমাধ্যম যেন সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে, যাতে কোনো ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। শুরু থেকেই সবার কাছে সমস্ত তথ্য যেন পৌঁছায়। নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা জরুরি।

বিজ্ঞাপন

প্রথম দিন ইসির সংলাপে ১৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৫ জন শিক্ষাবিদ অংশ নেন।

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৪১ 9 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৪১ 9 ভিউ
Link Copied!

হামাস শুক্রবার বলেছে, তারা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমর্থন করেছেন। প্রায় দুই বছরব্যাপী এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতিতে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হামাস  তার প্রতিক্রিয়ায় কিছু বলেনি।

পরিকল্পনাটিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ‘গাজার শাসনে কোনও ভূমিকা থাকবে না’, বরং এই অঞ্চলের প্রশাসনের দায়িত্ব একটি টেকনোক্র্যাটিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হবে, যার তত্ত্বাবধান করবে একটি যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প নিজে।

বিজ্ঞাপন

হামাসের মুখপাত্র তাহের আল-নুনু এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজার ওপর ইসরাইলি বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান উৎসাহজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামাস বন্দী বিনিময়, যুদ্ধের অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরাইলি) সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘ইসরাইল ‘ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম পর্বের জন্য বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’

বিজ্ঞাপন

নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমরা প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাব, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।’

এএফপি’র এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকার উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিতে জানান, হামাসের প্রতিক্রিয়া শোনার পর গাজার শরণার্থী শিবির থেকে উল্লাসধ্বনি শুনতে পাওয়া গেছে।

গাজা সিটির একজন ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ আবু হাতাব বলেন, ‘হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং নতুন আলোচনার দরজা খোলার জন্য আমি খুবই খুশি।’

তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আশা করি, মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায়, যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে  এবং আমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।’

ট্রাম্প এটিকে ‘একটি বিশেষ দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এক সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে আরও বলেছেন, গাজা আলোচনায় সকল পক্ষের সঙ্গে  ‘ন্যায্য আচরণ’ করা হবে।

পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৬ 6 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৬ 6 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।

ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।

শিরোনাম:
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যেকর্মী নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন কলকাতায় ভারী বৃষ্টির জেরে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ মহড়া সমাপ্ত ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন কমনওয়েলথ বিচ হ্যান্ডবলে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি সন্দেহে ব্রিটেনে তিনজনকে গ্রেফতার ২০২৬ সালের একুশে বইমেলা চলতি বছর ১৭ ডিসেম্বর শপথ নিলেন জাকসু’র নবনির্বাচিত নেতারা প্রবাসীদের ভোট: পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ চালু করবে ইসি একনেক সভায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ, জ্বরের দ্বিতীয় দিন ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু