বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৭ জুলাই, ২০২৫ | ৭:২৬ 71 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১৭ জুলাই, ২০২৫ | ৭:২৬ 71 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশ তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি খাতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত দেশের তৈরি পোশাকের দেশ ভিত্তিক রপ্তানি হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ খাতের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে অবস্থান করছে। ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানি হয়েছে ১৯.৭১ বিলিয়ন ডলার। যা দেশে মোট আরএমজি রপ্তানির ৫০.১০ শতাংশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার (১৯.১৮ শতাংশ)। কানাডা ও যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে ১.৩০ বিলিয়ন ডলার (৩.৩১ শতাংশ) এবং ৪.৩৫ বিলিয়ন ডলার (১১.০৫ শতাংশ)।

বিজ্ঞাপন

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৯.১০ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ১৩.৭৯ শতাংশ এবং কানাডায় ১২.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যুক্তরাজ্যে রপ্তানিতে ৩.৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইউরোপের মধ্যে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার, যেখানে রপ্তানি হয়েছে ৪.৯৫ বিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছে স্পেন (৩.৪০ বিলিয়ন ডলার), ফ্রান্স (২.১৬ বিলিয়ন ডলার), নেদারল্যান্ডস (২.০৯ বিলিয়ন ডলার), পোল্যান্ড (১.৭০ বিলিয়ন ডলার), ইতালি (১.৫৪ বিলিয়ন ডলার) এবং ডেনমার্ক (১.০৪ বিলিয়ন ডলার)।

কিছু ইউরোপীয় দেশে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যেমন নেদারল্যান্ডসে ২১.২১ শতাংশ, সুইডেনে ১৬.৪১ শতাংশ, পোল্যান্ডে ৯.৭৭ শতাংশ এবং জার্মানিতে ৯.৪৭ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারে বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানি ৫.৬১ শতাংশ বেড়ে ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৬.৩৬ শতাংশ। এই বাজারে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। তুরস্কে রপ্তানি ২৫.৬২ শতাংশ, ভারতে ১৭.৩৯ শতাংশ এবং জাপানে ৯.১৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।

আরএমজি শিল্পে নিটওয়্যার খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৭৩ শতাংশ এবং ওভেন খাতে ৭.৮২ শতাংশ।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাজারের চাহিদা ও বাস্তবতা দ্রুত বদলে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

ট্র্যাডিশনাল বাজারগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি এখনও শক্ত অবস্থানে রয়েছে, যেখানে মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৮৪ শতাংশই এই বাজার থেকে আসে। তবে, নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারের অংশীদারিত্ব এখনো তুলনামূলক কম, যা মাত্র ১৬ শতাংশ।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারের আকার ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারের আকার ছিল প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারে ৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব ধরে রেখেছে, যেখানে আরও বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৪ সালে জাপানের মোট পোশাক আমদানির ৫.৫০ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মোট আমদানির ১১.৫৩ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশ থেকে। যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

বাসস’র সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাজারে টিকে থাকতে হলে নতুন বাজার ও নতুন পণ্যের দিকে মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নতুন বাজারে প্রবেশ এবং উদ্ভাবন শুধু কৌশলগত বিষয় নয়, এটি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি অপরিহার্যতা। আমাদের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাজার বৈচিত্র্য এবং সম্প্রসারণের দিকে এগোতে হবে।’

তিনি আরও বলেন,‘বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতা শুধু দামের ওপর নির্ভর করে না। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে শুধু দাম যথেষ্ট নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় নিজস্ব সুবিধা তৈরি করতে হবে, যাতে ক্রেতারা বারবার বাংলাদেশেই ফিরে আসে।

ট্যাগ:

পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৬ 6 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩৬ 6 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।

ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।

১৯ অক্টোবর ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩২ 15 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩২ 15 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট ডেস্ক রিপোর্ট: চ্যাডওয়েল হীথের মে ফেয়ার হলে আগামী ১৯ অক্টোবর, রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা। সকাল ১২টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।

বইমেলায় থাকবে বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের বই ও বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বিভিন্ন প্রকাশনা। পাশাপাশি থাকছে নানা ধরনের স্টল, খাবারের স্টল এবং শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন—নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়াপাঠের অনুষ্ঠান। মহিলাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গতকাল ব্রাডি আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বইমেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উদীচি যুক্তরাজ্যের সভাপতি ও বইমেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা। তিনি বইমেলাকে সফল করার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যরা—মিছবাহ জামাল, গোলাম কবির, মুজিবুল হক মনি, তৌফিক রহমান, মলি ফূয়াদ, সাহেল জাহান শিবলী, সেলিনা চৌধুরী শেলী, রুমা জাফর, ফারহানা ইসলাম মাধবী, মনজু আরা খাতুন, আরমান আলি, হীরা কান্চন হীরক, কিশোয়ার মুনিয়া, ফজলুল হক, মনির হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল দেওয়ানসহ অনেকে। তারা সবাই বইমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিজ্ঞাপন

আয়োজক গোলাম মোস্তফা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে মঞ্চে উঠবেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মৌসুমি ভৌমিক।

বইমেলা সমন্বয় কমিটি এই অনন্য আয়োজনকে সফল করতে উপস্থিত থাকার জন্যে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যেকর্মী নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০:৫১ 10 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০:৫১ 10 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আজ সোমবার রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে।  এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসন ব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরব সরকারের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই ও স্বীকৃতি সংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিক থেকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ, আধা-দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা যাচাই, নিরাপদ অভিবাসন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও কর্মীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক, আকামা নবায়ন, এবং সময়মতো এক্সিট ভিসা প্রদানের বিষয়গুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, আকামা নবায়নের দায়িত্ব নিয়োগকর্তারা যথাযথভাবে পালন করে এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী প্রেরণের আগে আমরা প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এর মাধ্যমে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।’

জবাবে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি শুধু নিয়োগ নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।’

তিনি কর্মী কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মন্ত্রণালয়কে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, কর্মী নিয়োগে ডিজিটাল যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু, নারী কর্মীদের সুরক্ষা এবং অবৈধ দালাল চক্র দমনে যৌথ মনিটরিং সিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশন উপপ্রধান এস. এম. নাজমুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী, সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, যারা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।

চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভালো বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি যৌথ অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যেখানে নিয়োগ ও কর্মচুক্তির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দক্ষ কর্মী রপ্তানি শুধু রেমিট্যান্স বাড়াবে না, এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।’

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৪১ 9 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৪১ 9 ভিউ
Link Copied!

হামাস শুক্রবার বলেছে, তারা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমর্থন করেছেন। প্রায় দুই বছরব্যাপী এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতিতে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হামাস  তার প্রতিক্রিয়ায় কিছু বলেনি।

পরিকল্পনাটিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী ‘গাজার শাসনে কোনও ভূমিকা থাকবে না’, বরং এই অঞ্চলের প্রশাসনের দায়িত্ব একটি টেকনোক্র্যাটিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হবে, যার তত্ত্বাবধান করবে একটি যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প নিজে।

বিজ্ঞাপন

হামাসের মুখপাত্র তাহের আল-নুনু এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজার ওপর ইসরাইলি বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান উৎসাহজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামাস বন্দী বিনিময়, যুদ্ধের অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরাইলি) সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘ইসরাইল ‘ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম পর্বের জন্য বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’

বিজ্ঞাপন

নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমরা প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাব, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।’

এএফপি’র এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকার উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিতে জানান, হামাসের প্রতিক্রিয়া শোনার পর গাজার শরণার্থী শিবির থেকে উল্লাসধ্বনি শুনতে পাওয়া গেছে।

গাজা সিটির একজন ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ আবু হাতাব বলেন, ‘হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং নতুন আলোচনার দরজা খোলার জন্য আমি খুবই খুশি।’

তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আশা করি, মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায়, যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে  এবং আমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।’

ট্রাম্প এটিকে ‘একটি বিশেষ দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এক সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে আরও বলেছেন, গাজা আলোচনায় সকল পক্ষের সঙ্গে  ‘ন্যায্য আচরণ’ করা হবে।

রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩০ 6 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩০ 6 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:  প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।

এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।

চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শিরোনাম:
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যেকর্মী নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন কলকাতায় ভারী বৃষ্টির জেরে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ মহড়া সমাপ্ত ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন কমনওয়েলথ বিচ হ্যান্ডবলে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি সন্দেহে ব্রিটেনে তিনজনকে গ্রেফতার ২০২৬ সালের একুশে বইমেলা চলতি বছর ১৭ ডিসেম্বর শপথ নিলেন জাকসু’র নবনির্বাচিত নেতারা প্রবাসীদের ভোট: পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ চালু করবে ইসি একনেক সভায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ, জ্বরের দ্বিতীয় দিন ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু