মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমা নির্মাণ নিয়ে কেন বিতর্ক?
দৈনিক প্রেসনোট
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি কাহিনী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপট নামের এক অভিযানে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জে একযোগে গেরিলা অপারেশন চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে পাকিস্তান ও অন্য আরও কয়েকটি দেশ থেকে অস্ত্র, খাদ্য ও তেল নিয়ে আসা ২৬টি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা।
সেই ঘটনা নিয়ে বিশাল বাজেটে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তবে কয়েকজন নির্মাতা অভিযোগ করেছেন, যেভাবে দরপত্রের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজটি দেয়া হয়েছে, তা যথাযথ হয়নি।
যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level)
দৈনিক প্রেসনোট
জামাল আহমেদ, PGCE, QTS : যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন সংযোজন হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level) যোগ্যতা। এটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের দক্ষতা ও একাডেমিক জ্ঞানকে একত্রিত করে শিক্ষাকে আরও কার্যকর, নমনীয় ও প্রয়োগভিত্তিক করে তুলবে। লেখক জামাল আহমেদ, যিনি যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতিবেদনে ভি-লেভেল যোগ্যতার গুরুত্ব, বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছেন।
ভি-লেভেল: শিক্ষার নতুন দিগন্ত
লেখকের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সঠিক দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত যোগ্যতা শিক্ষার্থীর জীবন পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকে, কিন্তু বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা তাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়।
যখন যুক্তরাজ্যের শিক্ষা সচিব ব্রিজিট ফিলিপসন (Bridget Phillipson) নতুন ভি-লেভেল চালুর ঘোষণা দেন, তখন এটি লেখকের কাছে এক আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিভাত হয়। কারণ এই শিক্ষাপথটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা—দুই ক্ষেত্রকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।
নতুন শিক্ষাপথ ও মূল বৈশিষ্ট্য
২০২৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য সরকার লেভেল–৩ পর্যায়ে ভি-লেভেল নামের এই বৃত্তিমূলক যোগ্যতা চালু করবে। এটি এ-লেভেল (A-Level) এবং টি-লেভেল (T-Level)-এর পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র বিকল্প হিসেবে থাকবে।
ভি-লেভেলের বিশেষত্ব:
-
এটি একাডেমিক শিক্ষা ও বাস্তব দক্ষতার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করবে।
-
শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী শিখতে পারবে।
-
শেখা আরও নমনীয়, প্রায়োগিক এবং পেশাভিত্তিক হবে।
টি-লেভেল ও ভি-লেভেলের পার্থক্য:
যেখানে টি-লেভেল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর জ্ঞান প্রদান করে, সেখানে ভি-লেভেল বিস্তৃত ও অভিযোজ্য শিক্ষার সুযোগ দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা, শিক্ষানবিসতা বা পেশাগত জীবনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে।
ভি-লেভেলের বাস্তব উদাহরণসমূহ
-
রন্ধনশিল্পে আগ্রহী শিক্ষার্থী: রান্নার দক্ষতা ও ব্যবসায়িক শিক্ষা একত্রে শিখে ক্যাফে বা ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারে।
-
প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী: ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা শেখার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
-
স্বাস্থ্য ও সমাজসেবায় আগ্রহী শিক্ষার্থী: বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও তাত্ত্বিক জ্ঞান মিলিয়ে হাসপাতাল, কেয়ার হোম বা সমাজসেবায় কাজের যোগ্যতা অর্জন করবে।
শিক্ষাগত বিশ্লেষণ
লেখক বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও আতিথেয়তা বিষয়ে শিক্ষাদান করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয় তখনই, যখন শেখা বাস্তব জীবনের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি করে তা হলো—
-
শিক্ষায় স্বচ্ছতা ও নমনীয়তা,
-
কর্মসংস্থানযোগ্যতা বৃদ্ধি,
-
এবং উন্নতির বাস্তব সুযোগ।
এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে তাদের জন্য, যারা একাডেমিকভাবে নয় বরং হাতে-কলমে শেখায় বেশি দক্ষ। ভি-লেভেলে এমন ফাউন্ডেশন যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের GCSE গ্রেড ৪ অর্জনের পথে সহায়তা করবে।
সহযোগিতা ও কার্যকারিতা
ভি-লেভেলের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বিদ্যালয়, কলেজ ও নিয়োগকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপর। যখন শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিল্পখাত একত্রে কাজ করবে, তখন শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনের মাধ্যম না থেকে জীবনের প্রস্তুতি হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে—তাদের শেখা অর্থবহ এবং তাদের ভবিষ্যতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস প্রদান করবে, যা দিয়ে তারা শুধু পেশাগত চাহিদা মেটাবে না, বরং নিজের ভবিষ্যতও গঠন করবে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ডিজিটাল মিডিয়া শিক্ষার্থী সফটওয়্যার শেখার পাশাপাশি বাস্তব ক্লায়েন্ট প্রজেক্টে কাজ করবে, পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করবে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে ফ্রিল্যান্স কাজ, নিজস্ব ব্যবসা বা পেশাগত পদে স্থায়িত্ব আনতে।
লেখকের মতে, যখন একজন শিক্ষার্থী নিজের পথ খুঁজে পায় এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করে, তখন তার মধ্যে যে পরিবর্তন আসে তা সত্যিই অনন্য—এটি একজন শিক্ষকের জীবনের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত।
জামাল আহমেদ বিশ্বাস করেন, ভি-লেভেল কেবল একটি নতুন যোগ্যতা নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন—যা তরুণদের দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রাণিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে তারা কেবল নিজেদের জীবনে নয়, সমাজেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
লিখেছেন: জামাল আহমেদ, PGCE, QTS
শিক্ষক, যুক্তরাজ্য
“কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী” জীবনীগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
দৈনিক প্রেসনোট
লন্ডন অফিস: বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নাল আবেদীন রচিত “কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী” জীবনীগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ অক্টোবর (রবিবার) ভ্যালেন্স রোডের কমিউনিটি হলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও কলামিস্ট শিহাবুজ্জামান কামাল এবং পরিচালনা করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, লেখক সাংবাদিক কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, আজাদী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন ও সিলেট গণভোটে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনীর ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য। তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
সভায় মুফতি শায়েখ সালেহ আহমদ, শেখ মো. মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এ. কে. শহীদুর রহমান, কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী, খান জামাল নুরুল ইসলাম, হাজী আবুল বাশার, ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, শফিক মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় আগামী ১৬ বা ২৩ নভেম্বর প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে একটি প্রকাশনা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মালিক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুফতি শায়েখ সালেহ আহমদ, শেখ মো. মফিজুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আবুল লায়েছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. মান্নান, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, অধ্যাপক এ. কে. শহীদুর রহমান ও খান জামাল নুরুল ইসলাম।
সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী, যুগ্ম সদস্য সচিব মিছবাউর রহমান চৌধুরী, অর্থ সচিব কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী, যুগ্ম অর্থ সচিব রুহুল আফসার মোর্শেদ, প্রেস সচিব খালেদ মাসুদ রনি এবং যুগ্ম প্রেস সচিব আমিনুর চৌধুরী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাহিদুর রহমান, হাফেজ সৈয়দ নায়ীম আহমদ, মাওলানা আব্দুল বাছিত, হাফিজ হোসাইন আহমদ, মাওলানা আবুল হাসনাত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, আলহাজ রফিক উল্লাহ, এম. এ. রব, হাজী ফারুক মিয়া, মো. শফিক আহমদ, হাজী সুরুক মিয়া, শফিক মিয়া, নোমান চৌধুরী, ইকবাল হামিদ চৌধুরী, সুহেল হামিদ চৌধুরী, মিফতাহ চৌধুরী, খালেদ চৌধুরী, আবু আনাছ চৌধুরী, আবু আক্কাছ চৌধুরী, রায়হান চৌধুরী, আব্দুল কাদির আদিল চৌধুরী, মোহাম্মদ হেলাল, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, শেখ ফারুক আহমদ, মশাহিদুর রহমান, হারুনুর রশীদ, শামসুল ইসলাম মুরাদ ও রেদওয়ানুর রহমানসহ অনেকে।
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।
লন্ডন বাংলা বইমেলা সমন্বয় কমিটির মেলা-পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত
দৈনিক প্রেসনোট
লন্ডন অফিস: লন্ডন বাংলা বইমেলা সমন্বয় কমিটির আয়োজনে এবং উদীচী যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ২৬ অক্টোবর (রোববার) বিকাল ৪টায় লন্ডনে উদীচী অফিসে মেলা-পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও উদীচী যুক্তরাজ্যের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করায় সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সদস্য সচিব, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ও টিভির প্রতিষ্ঠাতা মিছবাহ জামাল।
পরে বিশিষ্ট লেখক, কবি ও সংগঠক গোলাম কবির মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং ভবিষ্যতে মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজনের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মেলার আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মো. আরমান আলি, তাঁকে সহায়তা করেন উদীচী যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান তরফদার।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যবৃন্দ— কুদরতে খোদা, সাম চৌধুরী, আতিয়া বেগম ঝর্ণা, রুমা জাফর, শওকাত জাহান শিবলী, হীরা কান্চন হীরক, শাহিদ আহমদ, রওশন আরা পলি, জয়িতা চৌধুরী, ড. দেবা চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল শিল্পী, কলাকুশলী ও অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয় বাংলাদেশ থেকে আগত কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সংগীতশিল্পী মনোয়ার হোসেন টুটুল, চন্দন দও, তন্ময়, দীপু, দীপ, পিয়াশ, ওলিভার উইকস, বেন হার্টল্যান্ড, রসালিন্ড এক্টন, কলকাতার শিল্পী মৌসুমি ভৌমিক, উপস্থাপক শম্পা রেজা, নিশাত খুশবু, এরিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা, কিশওয়ার মুনিয়া, এবং সাউন্ড ও মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় শামসুল জাকি স্বপন ও গোলাম আকবর মুক্তাকে।
এছাড়া সমন্বয় কমিটির জয়েন্ট কনভেনার কবি মুজিবুল হক মনি, কো-অর্ডিনেটর তৌফিকুর রহমান তরফদার, ড. শামল চৌধুরী, রুপি আমিন, হীরা কান্চন হীরক, কবি ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, সালমা বেগম, শামসুল আরেফিন, তানিয়া রহমান, খুরশিদা লিপি, মলি মল্লিকা, শাহিদ আহমদ, শ্রীপর্ণা দেব সরকার, নাজমুন্নাহার তন্নি, গোলাম হায়দার রাসেল, শর্মিষ্ঠা পণ্ডিত, মাহবুবা রুহি, মেহেদী হাসান, শিখা বোস, মাইশা, রাকিব, আতিয়া বেগম ঝর্ণা, আশরাফুন হোসেন, ফামিয়া খান, আজিজা সুমি, ফারহানা লিমন, সেলিনা চৌধুরী শেলি, পপি কর, জয়তি, এস এম আসাদুল্লাহ, মনজু আরা মনি, ফারজানা ইসলাম মাধবী, জুবের আহমেদ, কামরান, আরিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা, জুবাইর আহমেদ, কে.পি. মোস্তফা নিরা, সালমা, কানিজ ফাতেমা কেয়া, ফুয়াদ, কুদরতে খোদা লাকিসহ সকল সদস্যদের নাম উচ্চারণ করা হয় কৃতজ্ঞতার সাথে।
শেষে ড. দেবব্রত চৌধুরী ও জয়িতা চৌধুরীর আনা কেক কেটে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সদস্য সচিব মিছবাহ জামাল।
সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সুপারিশ করেছি: আলী রীয়াজ
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তিতে পথ নির্দেশ করার জন্য আমাদের সুপারিশে তিনটি ভাগ রয়েছে এবং সে মোতাবেক বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং তিনি আজ এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই ভাগগুলোর প্রথমটি হচ্ছে- যে সকল বিষয় সাংবিধানিক বিষয় সংশ্লিষ্ট নয়, সে সব বিষয় সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেগুলো যেন অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবায়ন করা হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে- এর মধ্যে সুপারিশের অনেক কিছুই আছে যেগুলো সরকারি নির্দেশ, এমনকি অফিস অর্ডার দিয়েও বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো যেন সরকার দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে। এ দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনোরকম ভিন্নমত নেই এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে যখনই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সেটা সরকারকে অবহিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি, সাংবিধানিক বিষয়গুলোতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে, কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত আছে। এই সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রদান এবং বাস্তবায়নের পথ নির্দেশ করার জন্য আমরা আমাদের তৃতীয় সুপারিশে কীভাবে এগুলোকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়, সে বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করেছি।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা আজ হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

