গুজব, ক্ষমতার লোভ, তাঁর মৃত্যুদণ্ড

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৩:০৫ 610 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৩:০৫ 610 ভিউ
Link Copied!

সারওয়ার চৌধুরী

বিস্ময়কর এটাও যে, তিনি নিজেকে নাই করে দিয়েছিলেন বলেই যেনবা, দুনিয়ার মানুষ তাঁকে জানে তাঁর বাবার নামে— ‘মনসুর হাল্লাজ’। তাঁর নামে না। মানে, বাবার নামে তিনি আছেন, তাঁর নিজের নামে বিশ্বসমাজে নেই।

তাঁর নাম হোসাইন বিন মনসুর আল হাল্লাজ। মানে তাঁর নাম হোসাইন। পিতার নাম মনসুর, গোত্রের নাম আল হাল্লাজ। বিশ্বের আধ্যাত্মিক চর্চার পরিমণ্ডলে সজ্জনেরা জানেন— মনসুর হাল্লাজ নামে।

বিজ্ঞাপন

মনসুর হাল্লাজ রাহিমাহুল্লাহ নিজেকে নাই করে দিলেন, ছোট করলেন, একেবারে আখেরি দরজার বিনয় প্রকাশ করলেন, একবিন্দু আত্মঅহংকার রাখলেন না। জানালেন— আল্লাহই একমাত্র সত্য, তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য নাই। এ ছিল তাঁর সেই বিশেষ ভাষায় ‘আনা আল হক’ কথাটির ভিতরের মর্ম।
কিন্তু মৃত্যুদন্ডদাতারা ছিল ভাষার বাইরের স্তরের অর্থের পণ্ডিত। সেসব পণ্ডিতদের কথার ধরনে প্রায়শ অহং প্রকাশ পেতে দেখা যায়। মনসুল হাল্লাজকে যে কারণে ‘ধর্মদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, সে-সম্পর্কিত একটা দলিল নিচে-

”This is what is signified by the words Anā l-Ḥaqq, “I am God.” People imagine that it is a presumptuous claim, whereas it is really a presumptuous claim to say Ana ‘l-‘abd, “I am the slave of God”; and Anā l-Ḥaqq, “I am God” is an expression of great humility. The man who says Ana ‘l-‘abd, “I am the servant of God” affirms two existences, his own and God’s, but he that says Anā l-Ḥaqq, “I am God” has made himself non-existent and has given himself up and says “I am God”, that is, “I am naught, He is all; there is no being but God’s.” This is the extreme of humility and self-abasement.”
(Commenting on the famous expression of Mansur al-Hallaj, for which al-Hallaj was executed as a blasphemer, in The Mathnawí of Jalálu’ddín Rúmí, Vol. 4, part 7, edited by Reynold Alleyne Nicholson (1940) p. 248)

মৃত্যুদণ্ডের কারণ

বিজ্ঞাপন

মনসুর হাল্লাজ যে-দিনগুলোতে খোদা সম্পর্কিত তাঁর উপলব্ধির কথা কাব্য ভাষায় প্রকাশ করছিলেন, তখন ইরাক ইরানসহ বিস্তৃত অঞ্চল আব্বাসীয় বংশধারার শাসন চলছিল। তখন শিয়া সুন্নির বিরোধ তো ছিলই, সুন্নির ভিতরের হাম্বালি মাজহাবের অনুসারিদের সাথেও অন্যদের ঝগড়া ছিল।

ওদিকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর আব্বাসীয় শাসকবংশের আল মুক্তাদিরকে শাসকের বয়স না হওয়া সত্বেও খলিফার দায়িত্ব দেয়ায় জনগণের মাঝে ক্ষোভ ছিল। একবার সরিয়ে আবার পূনর্বহাল করা হল।
এরিমাঝে কয়েকবার মনসুর হাল্লাজ হজ্ব করে আসেন। একবার ৪ শ অনুসারীসহ হজ্ব করেন। খোদার নৈকট্য পাওয়ার বিশেষ প্রার্থনা করেন। অথচ মুক্তাদিরের অনুসারীরা গুজব ছড়ায়— কাবা শরীফ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে এবং মুক্তাদির বিরোধীদের সাথে মনসুর হাল্লাজের সম্পর্ক আছে। অথচ তিনি ক্ষমতার লোভের ধারে-কাছে না থেকে গভীরভাবে খোদাকে বুঝবার পথে থাকছিলেন আর আধ্যাত্মিক অর্থসমৃদ্ধ কবিতা ও কথা বলছিলেন।

তারা তাদের গুজবের পক্ষে প্রচার করে মনসুর হাল্লাজের একটি কবিতাংশ, এর ইংরেজি হল— ‘the important thing is to proceed seven times around the Kaaba of one’s heart.’ মানে, ‘গুরুত্বপূর্ণ হল, কেউ তার হৃদয়ের কাবার চৌদিকে সাত বার প্রদক্ষিণ করা’।

খলিফার মা মধ্যস্থতা করে চেয়েছিলেন এ দরবেশ কবির মৃত্যুদণ্ড না হোক। কিন্তু উজিরের চক্রান্তে খলিফা মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে থাকেন। খলিফাকে বোঝানো হল, মনসুর হাল্লাজের অনুসারী দিনে দিনে বাড়ছে, এরা ধর্মীয় সংস্কার চান, এক সময় তাঁর অনুসারী বেড়ে গিয়ে আব্বাসীয় বংশধারার পতন ঘটাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে শাসকের ক্ষোভ প্রজ্বলিত হল।

এর আগে মনসুর হাল্লাজকে শাফেয়ী মাজহাবের বিচারকের কাছে নেয়া হয়েছিল তাঁর আধ্যাত্মিক কথাবার্তার বিচার করতে, যেসব কথা ধর্মবিরোধী মনে হচ্ছিল তাদের কাছে। কিন্তু শাফেয়ী বিচারক বিচার করতে রাজি হন নি। তিনি কারণ বললেন— ‘mystic inspiration was beyond his jurisdiction.’ মানে, আধ্যাত্মিক প্রেরণা তাঁর আইনগত অধিকারের বাইরের বিষয়।’

তারও আগে এক শাফেয়ী জজ মনসুরের ‘খোদার সাথে একাত্ম’ হওয়ার কথা বলায় মাথা কামিয়ে, তলোয়ারের চেপ্টা অংশ দিয়ে বেত মারার মতো মেরে ছেড়ে দেন এবং জানান মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার অপরাধ তিনি করেন নি এবং তাঁর কথা ‘প্রুফ অব ডিসবিলিভ’ বা ‘অবিশ্বাসের প্রমাণ’ হয় না।

অবশেষে আব্বাসীয় আদালত ৯ বছর কারাগারে রেখে ৯২২ খৃষ্টাব্দের ২৬ মার্চ (এ্যানসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা) বাগদাদে টাইগ্রিস নদীপারে হাজার হাজার মানুষের সামনে দিনের বেলায় দরবেশ কবি মনসুর হাল্লাজের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। তাঁকে মুখে ঘুশি মারতে মারতে, লাঠি দিয়ে মারতে মারতে বেহুঁশ করে ফেলে। পরে শিরচ্ছেদ বা ফাঁসি দেয়। আগুনে জ্বালিয়ে ছাই ফেলে দেয়া হয় নদীতে।
তাঁর মৃত্যুভয় ছিল না, তিনিই বলতেন ‘মারো আমাকে।’ মৃত্যুপথযাত্রী তিনি টর্চারের সময় শান্ত অবিচলিত ছিলেন।

সারওয়ার চৌধুরী: নির্বাহী সম্পাদক, অনুপমনিউজটোয়েন্টিফোর

ট্যাগ:

“কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী” জীবনীগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:১৩ 19 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:১৩ 19 ভিউ
Link Copied!

লন্ডন অফিস: বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নাল আবেদীন রচিত “কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী” জীবনীগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৬ অক্টোবর (রবিবার) ভ্যালেন্স রোডের কমিউনিটি হলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও কলামিস্ট শিহাবুজ্জামান কামাল এবং পরিচালনা করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, লেখক সাংবাদিক কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, আজাদী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন ও সিলেট গণভোটে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনীর ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য। তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

বিজ্ঞাপন

 

সভায় মুফতি শায়েখ সালেহ আহমদ, শেখ মো. মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এ. কে. শহীদুর রহমান, কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী, খান জামাল নুরুল ইসলাম, হাজী আবুল বাশার, ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, শফিক মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সভায় আগামী ১৬ বা ২৩ নভেম্বর প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে একটি প্রকাশনা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মালিক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুফতি শায়েখ সালেহ আহমদ, শেখ মো. মফিজুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আবুল লায়েছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. মান্নান, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, অধ্যাপক এ. কে. শহীদুর রহমান ও খান জামাল নুরুল ইসলাম।

সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী, যুগ্ম সদস্য সচিব মিছবাউর রহমান চৌধুরী, অর্থ সচিব কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী, যুগ্ম অর্থ সচিব রুহুল আফসার মোর্শেদ, প্রেস সচিব খালেদ মাসুদ রনি এবং যুগ্ম প্রেস সচিব আমিনুর চৌধুরী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাহিদুর রহমান, হাফেজ সৈয়দ নায়ীম আহমদ, মাওলানা আব্দুল বাছিত, হাফিজ হোসাইন আহমদ, মাওলানা আবুল হাসনাত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, আলহাজ রফিক উল্লাহ, এম. এ. রব, হাজী ফারুক মিয়া, মো. শফিক আহমদ, হাজী সুরুক মিয়া, শফিক মিয়া, নোমান চৌধুরী, ইকবাল হামিদ চৌধুরী, সুহেল হামিদ চৌধুরী, মিফতাহ চৌধুরী, খালেদ চৌধুরী, আবু আনাছ চৌধুরী, আবু আক্কাছ চৌধুরী, রায়হান চৌধুরী, আব্দুল কাদির আদিল চৌধুরী, মোহাম্মদ হেলাল, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, শেখ ফারুক আহমদ, মশাহিদুর রহমান, হারুনুর রশীদ, শামসুল ইসলাম মুরাদ ও রেদওয়ানুর রহমানসহ অনেকে।

ফিলিপাইনের কাছে আসিয়ান-এর সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৯ 18 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৯ 18 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:  মালয়েশিয়া মঙ্গলবার ফিলিপাইনের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। ২০২৬ সালে ম্যানিলা যখন দায়িত্ব নেবে তখন দক্ষিণ চীন সাগরের আঞ্চলিক বিরোধ তাদের এজেন্ডায় প্রাধান্য পাবে। তবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন (আসিয়ান)-এর সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

তিনি কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে প্রতীকীভাবে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিন্যান্দ মার্কোসের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। এএফপি এ খবর জানায়।

আনোয়ার বলেছেন, ‘২০২৬ সালের প্রথম দিনে আসিয়ান একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে’।

বিজ্ঞাপন

ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের সাথে দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে বিতর্কিত দাবিদার চারটি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধের অবসান।

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক রায়ে এই সিদ্ধান্তের কোনো আইনি ভিত্তি নেই, কিন্তু তারপরও চীনের সাথে তাদের বিরোধ তৈরি হয়েছে।

বেইজিং এবং ম্যানিলার মধ্যে উত্তেজনা বিশেষভাবে তীব্র এবং দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত সামুদ্রিক সংঘর্ষ ঘটছে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় একজন কূটনীতিক আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে এএফপি’কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘যখন স্থলভাগে ঘটনাগুলো উত্তপ্ত হয়, দক্ষিণ চীন সাগর তখনই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এবং সেগুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে’।

বিরোধপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আসিয়ান এবং চীন একটি আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করছে, যার লক্ষ্য আগামী বছরের মধ্যে একটি চুক্তি নিশ্চিত করা।

মার্কোস কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা যদি সহযোগিতা এবং অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।’

কিন্তু ম্যানিলা-ভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডন ম্যাকলেইন গিল এএফপি’কে বলেছেন,

ফিলিপাইন সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর জোর দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চীন যে কোনো চুক্তিতে সম্মত হলে সম্ভবত দুর্বলতা থাকবে।

কূটনীতিক এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, ম্যানিলা আরো উত্তেজনা রোধ করতে এবং বেইজিংয়ের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।

সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্র আবহাওয়া, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেইসাথে মাছ ধরার ক্ষেত্রগুলোতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও।

আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে ফিলিপাইন ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারে ব্লকের ভূমিকাও পালন করবে।

সোলারিস স্ট্র্যাটেজিজ সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মুস্তাফা ইজ্জুদ্দিন বলেছেন, ‘ফিলিপাইন সরকারের জন্য দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়টি আসিয়ানের অন্যান্য অগ্রাধিকারকে গ্রাস করতে না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’

২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য মিয়ানমার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, আসিয়ান এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে।

ম্যানিলা একটি সম্মিলিত আসিয়ান অবস্থান তৈরির কাজ করবে। যার মধ্যে অভ্যুত্থানের পর থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা আঞ্চলিক বৈঠকে জান্তা নেতাদের আবার আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা তা অন্তর্ভুক্ত। এটি মিয়ানমারের জন্য একজন স্থায়ী দূত নিয়োগের আলোচনাও তত্ত্বাবধান করবে।

সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সুপারিশ করেছি: আলী রীয়াজ

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২০ 17 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২০ 17 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:  জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তিতে পথ নির্দেশ করার জন্য আমাদের সুপারিশে তিনটি ভাগ রয়েছে এবং সে মোতাবেক বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং তিনি আজ এ কথা বলেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই ভাগগুলোর প্রথমটি হচ্ছে- যে সকল বিষয় সাংবিধানিক বিষয় সংশ্লিষ্ট নয়, সে সব বিষয় সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেগুলো যেন অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবায়ন করা হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে- এর মধ্যে সুপারিশের অনেক কিছুই আছে যেগুলো সরকারি নির্দেশ, এমনকি অফিস অর্ডার দিয়েও বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো যেন সরকার দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে। এ দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনোরকম ভিন্নমত নেই এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে যখনই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সেটা সরকারকে অবহিত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি, সাংবিধানিক বিষয়গুলোতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে, কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত আছে। এই সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রদান এবং বাস্তবায়নের পথ নির্দেশ করার জন্য আমরা আমাদের তৃতীয় সুপারিশে কীভাবে এগুলোকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়, সে বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা আজ হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

ঝিনাইদহে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৩ 20 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৩ 20 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাজারে সমাবেশ শুরু হয়। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।

বিজ্ঞাপন

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল টিটো, মঞ্জুরুল হক খোকাসহ অন্যান্যরা।

কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিমতলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।

এর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে। আমরা ধানের শীষের পক্ষে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যিনিই ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, আমরা সবাই তার পক্ষেই ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করবো।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৬ 19 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৬ 19 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:  বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন করা হয়। ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।

মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে। মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন।

এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে (কলাভবনের ৫০৪০ নম্বর কক্ষ) ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে।

মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন। এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।

মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

শিরোনাম:
ফিলিপাইনের কাছে আসিয়ান-এর সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন ঝিনাইদহে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ১২টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সুপারিশ করেছি: আলী রীয়াজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈঠক পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিসিক শরৎ মেলা-২০২৫’ শুরু রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না: সিইসি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যেকর্মী নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত হামাস সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন কলকাতায় ভারী বৃষ্টির জেরে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ মহড়া সমাপ্ত ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন কমনওয়েলথ বিচ হ্যান্ডবলে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি সন্দেহে ব্রিটেনে তিনজনকে গ্রেফতার ২০২৬ সালের একুশে বইমেলা চলতি বছর ১৭ ডিসেম্বর