লন্ডনে জমকালো আয়োজনে সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিওর ৩১ বছর পূর্তি
দৈনিক প্রেসনোট
লন্ডন অফিস: জমকালো আয়োজনে সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানের ৩১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান ১৫ জুলাই লন্ডনের পামট্রি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ও টিভির চীফ পেট্রন বিবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট সাঈদুর রহমান রেনু জেপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রেডিও টিভি ফাউন্ডার মিছবাহ জামাল ও চানেল এস সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টোর ও এডিটর রুপি আমিন।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বরা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার কাউন্সিলার সলুক আহমদ।
অনুষ্ঠানে বৃটেনের বাংগালী কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ৩৫ গুনীজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
রেডিও ও টিভির পক্ষে সকলকে সম্মাননা সাটিফিকেট তুলে দেন স্পীকার কাউন্সিলার সলুক আহমেদ, চানেল এস চেয়ারমান আহমদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও রেডিও টিভির চীফ এডভাইজার মহিব চৌধুরী, সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ও টিভির চীফ পেট্রন বিবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট সাঈদুর রহমান রেনু জেপি ও মিছবাহ জামাল।
অনুষ্ঠানে যাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয় তারা হলেন- পেট্রন আলহাজ্ব মানিক মিয়া, উইন্ডসর বরোর সাবেক কাউন্সিলার শামসুল ইসলাম সেলিম, হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেটের ইউকে কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ আলাউদ্দিন আহমেদ ও মিসেস মাহবুবা আহমেদ, রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাষ্টের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন, হারো কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলার সেলিম চৌধুরী, হান্সলো বরো কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র জুনু মিয়া, লুটন বরো কাউন্সিলের প্রথম বাংগালি ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার শাহানারা নাসের, টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, ওয়ার্দিং কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলার ফেরদৌসী হেনা চৌধুরী, বাংলাদেশ কাটারার্স এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট অলি খান এমবিই, বিবিসিএ প্রেসিডেন্ট তোফাজ্জল মিয়া, বিবিসিআই ডিরেক্টর ডঃ শাহানুর খান, সাফোক বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের ফাউন্ডার চেয়ারপার্সন মানিক মিয়া, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আলাউর রহমান।
বৃটেনে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সিনিয়র সাংবাদিক লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কারী লাইফ এডিটর সৈয়দ নাহাস পাশা, বিশিষ্ট রেডিও বাক্তিত্ব সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মিলন, বিশিষ্ট কবি ছড়াকার দিলু নাসের, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মুনিম জাহেদি কারল, সিনিয়র টিভি নিউজ প্রেজেন্টার রুপি আমিন, অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর সম্পাদক ও প্রকাশক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের প্রথম বাংলাদেশি অনলাইন টিভি চ্যানেল এলবি২৪ এর ফাউন্ডার শাহ ইউসুফ, নতুন দিন অনলাইন এডিটর ও লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ইসি মেম্বার পলি রহমান।
আরো যাদের সম্মাননা প্রদান করা হয় তারা হলেন- নাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের ইন্টারনাশনাল রিলেশন সেক্রেটারি এস আই আজাদ আলি, সাংবাদিক কবি গীতিকার আব্দুল মুকিত মুকতার, কানেক্টিং কমিউনিটি চেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত চৌধুরী, মিডিয়া বাক্তিত্ব আলি সাদেক শিপু, গোলাপগঞ্জ সসিয়েল এন্ড কালচারাল ট্রাষ্ট ইউকে সভাপতি মোঃ দিলওয়ার হোসেন, বিটিএ ট্রেজারার প্রফেসর মিসবাহ কামাল, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রেজারার রফিকুল হায়দার, প্রবাসী কলান পরিষদের ট্রেজারার ডঃ সৈয়দ মাসুক আহমদ, বিশিষ্ট বাবসায়ী গুলজার খান, বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত, তোফাজ্জল আলম এম এ কাদির, বাবসায়ী শাহিন আহমেদ উজ্জল, ডঃ মোহাম্মদ ওমর শাফি, বিশিষ্ট সমাজসেবী আব্দুল বাসিত চৌধুরী, মদরিস আলি মোফাজ্জিল, আংগুর আলি।
অতিথিদের মাঝে উপস্হিত ছিলেন বারিষ্টার মাসুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সেন্টারের জেনারেল সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, সালমা বেগম, কবি মুজিবুল হক মনি, সুফি সোহেল আহমদ, নাসিম আহমদ, সুহেল আহমেদ, আলিন উদ্দিন, শাহিদ সাদি, নাহিদা খানম, বাবলি আহমেদ, মেঘনা মিনারা উদ্দিন, মিসেস সুফিয়া খানম উদ্দিন, সুমাইয়া উদ্দিন, শায়েকা মিছবাহ, নাহমাদ মিছবাহ, শাহিরা লাবিবা মিছবাহ, সাকিয়া মুকিত, এনায়েত খান, আখলাছুর রহমান খান, শেখ শামিম আহমেদ, ফখর আহমদ, জয়নুল ইসলাম চৌধুরী, নিয়াজ চৌধুরী সুভন, গোলাম রব্বানী রুহি আহাদ, গোলাম রসুল মুহি আহাদ, শাহিন আহমদ উজ্জল, নাদির মজুমদার, লিসা চৌধুরী, মেহেদী চৌধুরী, ফারুক মিয়া, মতিউর রহমান খোকন, মোহাম্মদ ওয়ারিছ আলী, বিশিষ্ট রেডিও টিভি উপস্হাপক তোফায়েল আহমেদ, কাজল চৌধুরী, সালমা বেগম, এখলাছুর রহমান পাক্কু, শামসুল জাকি স্বপন, গোলাম আকবর মুক্তা, আশরাফ গাজি, আব্দুল মুকিত, নাসিম আহমদ, মোঃ হেলাল, সিনিয়র সাংবাদিক দর্পনণ সম্পাদক রহমত আলি, চানেল এস চীফ রিপোর্টার রেজাউল করিম মৃধা, সাংবাদিক আলাউর রাহমান খান শাহিন, রেডিও টিভি প্রেজেন্টার হেনা বেগম, এলবি২৪ টিভির অপারেশন ডিরেক্টর শাহ রোকসানা তারিন, নিউজ প্রেজেন্টোর সৈয়দা তামান্না ইকবাল, হেড অব প্রডাকশন্স মাহবুবুল হক হ্রদয়, দিলরুবা, ইয়াসমিন রুহি, তামান্না মিয়া, শওকত ফারাজি, তানিয়া ফারাজি হাসি খান ও ফারুক উদ্দিন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা ওয়াহিদ সিরাজী।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানের প্যাট্রনদের সহযোগিতায় দুঃস্হ মানুষের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে “পীস হোম” PEACE HOME কার্যক্রমের জন্য ফান্ড রেইজিং পর্ব পরিচালনা করেন পীস হোম ফান্ড রেইজিং কমিটির চেয়ার আব্দুল মুহিত চৌধুরী।
প্রস্তাবিত জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ সৈয়দ মাসুক আহমদ, ট্রেজারার গোলাম রব্বানী রুহি আহাদ, মুহি আহাদ সহ পীস হোমের প্যাট্রনরা।
পীস হোম কার্যক্রমে ১০০০ পাউন্ড করে দান করায় ১৩ জনকে সংগঠনের প্যাট্রন হিসেবে মনোনীত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন করা হয়। ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে। মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন।
এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে (কলাভবনের ৫০৪০ নম্বর কক্ষ) ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে।
মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন। এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level)
দৈনিক প্রেসনোট
জামাল আহমেদ, PGCE, QTS : যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন সংযোজন হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level) যোগ্যতা। এটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের দক্ষতা ও একাডেমিক জ্ঞানকে একত্রিত করে শিক্ষাকে আরও কার্যকর, নমনীয় ও প্রয়োগভিত্তিক করে তুলবে। লেখক জামাল আহমেদ, যিনি যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতিবেদনে ভি-লেভেল যোগ্যতার গুরুত্ব, বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছেন।
ভি-লেভেল: শিক্ষার নতুন দিগন্ত
লেখকের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সঠিক দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত যোগ্যতা শিক্ষার্থীর জীবন পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকে, কিন্তু বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা তাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়।
যখন যুক্তরাজ্যের শিক্ষা সচিব ব্রিজিট ফিলিপসন (Bridget Phillipson) নতুন ভি-লেভেল চালুর ঘোষণা দেন, তখন এটি লেখকের কাছে এক আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিভাত হয়। কারণ এই শিক্ষাপথটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা—দুই ক্ষেত্রকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।
নতুন শিক্ষাপথ ও মূল বৈশিষ্ট্য
২০২৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য সরকার লেভেল–৩ পর্যায়ে ভি-লেভেল নামের এই বৃত্তিমূলক যোগ্যতা চালু করবে। এটি এ-লেভেল (A-Level) এবং টি-লেভেল (T-Level)-এর পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র বিকল্প হিসেবে থাকবে।
ভি-লেভেলের বিশেষত্ব:
-
এটি একাডেমিক শিক্ষা ও বাস্তব দক্ষতার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করবে।
-
শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী শিখতে পারবে।
-
শেখা আরও নমনীয়, প্রায়োগিক এবং পেশাভিত্তিক হবে।
টি-লেভেল ও ভি-লেভেলের পার্থক্য:
যেখানে টি-লেভেল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর জ্ঞান প্রদান করে, সেখানে ভি-লেভেল বিস্তৃত ও অভিযোজ্য শিক্ষার সুযোগ দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা, শিক্ষানবিসতা বা পেশাগত জীবনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে।
ভি-লেভেলের বাস্তব উদাহরণসমূহ
-
রন্ধনশিল্পে আগ্রহী শিক্ষার্থী: রান্নার দক্ষতা ও ব্যবসায়িক শিক্ষা একত্রে শিখে ক্যাফে বা ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারে।
-
প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী: ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা শেখার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
-
স্বাস্থ্য ও সমাজসেবায় আগ্রহী শিক্ষার্থী: বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও তাত্ত্বিক জ্ঞান মিলিয়ে হাসপাতাল, কেয়ার হোম বা সমাজসেবায় কাজের যোগ্যতা অর্জন করবে।
শিক্ষাগত বিশ্লেষণ
লেখক বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও আতিথেয়তা বিষয়ে শিক্ষাদান করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয় তখনই, যখন শেখা বাস্তব জীবনের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি করে তা হলো—
-
শিক্ষায় স্বচ্ছতা ও নমনীয়তা,
-
কর্মসংস্থানযোগ্যতা বৃদ্ধি,
-
এবং উন্নতির বাস্তব সুযোগ।
এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে তাদের জন্য, যারা একাডেমিকভাবে নয় বরং হাতে-কলমে শেখায় বেশি দক্ষ। ভি-লেভেলে এমন ফাউন্ডেশন যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের GCSE গ্রেড ৪ অর্জনের পথে সহায়তা করবে।
সহযোগিতা ও কার্যকারিতা
ভি-লেভেলের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বিদ্যালয়, কলেজ ও নিয়োগকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপর। যখন শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিল্পখাত একত্রে কাজ করবে, তখন শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনের মাধ্যম না থেকে জীবনের প্রস্তুতি হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে—তাদের শেখা অর্থবহ এবং তাদের ভবিষ্যতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস প্রদান করবে, যা দিয়ে তারা শুধু পেশাগত চাহিদা মেটাবে না, বরং নিজের ভবিষ্যতও গঠন করবে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ডিজিটাল মিডিয়া শিক্ষার্থী সফটওয়্যার শেখার পাশাপাশি বাস্তব ক্লায়েন্ট প্রজেক্টে কাজ করবে, পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করবে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে ফ্রিল্যান্স কাজ, নিজস্ব ব্যবসা বা পেশাগত পদে স্থায়িত্ব আনতে।
লেখকের মতে, যখন একজন শিক্ষার্থী নিজের পথ খুঁজে পায় এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করে, তখন তার মধ্যে যে পরিবর্তন আসে তা সত্যিই অনন্য—এটি একজন শিক্ষকের জীবনের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত।
জামাল আহমেদ বিশ্বাস করেন, ভি-লেভেল কেবল একটি নতুন যোগ্যতা নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন—যা তরুণদের দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রাণিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে তারা কেবল নিজেদের জীবনে নয়, সমাজেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
লিখেছেন: জামাল আহমেদ, PGCE, QTS
শিক্ষক, যুক্তরাজ্য
লন্ডন বাংলা বইমেলা সমন্বয় কমিটির মেলা-পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত
দৈনিক প্রেসনোট
লন্ডন অফিস: লন্ডন বাংলা বইমেলা সমন্বয় কমিটির আয়োজনে এবং উদীচী যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় ১৬তম লন্ডন বাংলা বইমেলা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ২৬ অক্টোবর (রোববার) বিকাল ৪টায় লন্ডনে উদীচী অফিসে মেলা-পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও উদীচী যুক্তরাজ্যের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করায় সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সদস্য সচিব, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ও টিভির প্রতিষ্ঠাতা মিছবাহ জামাল।
পরে বিশিষ্ট লেখক, কবি ও সংগঠক গোলাম কবির মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং ভবিষ্যতে মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজনের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মেলার আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মো. আরমান আলি, তাঁকে সহায়তা করেন উদীচী যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান তরফদার।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যবৃন্দ— কুদরতে খোদা, সাম চৌধুরী, আতিয়া বেগম ঝর্ণা, রুমা জাফর, শওকাত জাহান শিবলী, হীরা কান্চন হীরক, শাহিদ আহমদ, রওশন আরা পলি, জয়িতা চৌধুরী, ড. দেবা চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল শিল্পী, কলাকুশলী ও অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয় বাংলাদেশ থেকে আগত কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সংগীতশিল্পী মনোয়ার হোসেন টুটুল, চন্দন দও, তন্ময়, দীপু, দীপ, পিয়াশ, ওলিভার উইকস, বেন হার্টল্যান্ড, রসালিন্ড এক্টন, কলকাতার শিল্পী মৌসুমি ভৌমিক, উপস্থাপক শম্পা রেজা, নিশাত খুশবু, এরিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা, কিশওয়ার মুনিয়া, এবং সাউন্ড ও মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় শামসুল জাকি স্বপন ও গোলাম আকবর মুক্তাকে।
এছাড়া সমন্বয় কমিটির জয়েন্ট কনভেনার কবি মুজিবুল হক মনি, কো-অর্ডিনেটর তৌফিকুর রহমান তরফদার, ড. শামল চৌধুরী, রুপি আমিন, হীরা কান্চন হীরক, কবি ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, সালমা বেগম, শামসুল আরেফিন, তানিয়া রহমান, খুরশিদা লিপি, মলি মল্লিকা, শাহিদ আহমদ, শ্রীপর্ণা দেব সরকার, নাজমুন্নাহার তন্নি, গোলাম হায়দার রাসেল, শর্মিষ্ঠা পণ্ডিত, মাহবুবা রুহি, মেহেদী হাসান, শিখা বোস, মাইশা, রাকিব, আতিয়া বেগম ঝর্ণা, আশরাফুন হোসেন, ফামিয়া খান, আজিজা সুমি, ফারহানা লিমন, সেলিনা চৌধুরী শেলি, পপি কর, জয়তি, এস এম আসাদুল্লাহ, মনজু আরা মনি, ফারজানা ইসলাম মাধবী, জুবের আহমেদ, কামরান, আরিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা, জুবাইর আহমেদ, কে.পি. মোস্তফা নিরা, সালমা, কানিজ ফাতেমা কেয়া, ফুয়াদ, কুদরতে খোদা লাকিসহ সকল সদস্যদের নাম উচ্চারণ করা হয় কৃতজ্ঞতার সাথে।
শেষে ড. দেবব্রত চৌধুরী ও জয়িতা চৌধুরীর আনা কেক কেটে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সদস্য সচিব মিছবাহ জামাল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈঠক
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: : ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
বৈঠকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাজারে সমাবেশ শুরু হয়। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল টিটো, মঞ্জুরুল হক খোকাসহ অন্যান্যরা।
কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিমতলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
এর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে। আমরা ধানের শীষের পক্ষে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যিনিই ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, আমরা সবাই তার পক্ষেই ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করবো।

