সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ২ জুলাই


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি আগামী ২ জুলাই নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও অ্যামিকাস কিউরি (অর্থাৎ আদালতের বন্ধু) এ ওয়াই মশিউজ্জামানের সময় চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।
এদিকে, আদালত অবমাননার এই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীর দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অ্যাডভোকেট আমিনুল গনি টিটু। তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুক একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, যার কারণে তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নৈতিক ও পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রাইব্যুনাল তার পরিবর্তে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট আমির হোসেনকে নতুন আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্যরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়। সেখানে শেখ হাসিনার কণ্ঠে বলতে শোনা যায় হয়, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’
পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অডিওটির ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত করে।
এরপর ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে প্রসিকিউশন।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়। তবে নির্ধারিত সময়ে জবাব না দেওয়ায় অভিযুক্তদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিনও তারা হাজির না হওয়ায় আদালত প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বহুল প্রচারিত দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর নির্দেশ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এ এস এম রুহুল ইমরান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি ২৬ মে ‘যুগান্তর’ ও ‘নিউ এজ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে অভিযুক্তদের ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা বা জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও শেখ হাসিনা ও অপর অভিযুক্ত ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি। ফলে বিচারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল) হিসেবে অ্যাডভোকেট আমিনুল গনি টিটুকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সাহায্যে লন্ডনে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত


লন্ডন অফিস: বাংলাদেশে তিনটি হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অন্যতম একটি হচ্ছে সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল। সম্প্রতি সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় দুটি হার্ট রিলেটেড মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ফ্রেন্ডস অফ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্য কমিটির মাধ্যমে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেছে। এই বিষয়ে ৭ জুলাই লন্ডনের ব্যাকসলী মহারাজা রেস্টুরেন্টে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান আহমেদ উস সমাদ চৌধুরী জেপি এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খানের সঞ্চালনায় বিশেষ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন শহর থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন।
সভার শুরুতেই মহাগ্রন্ত কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের রিলিজিয়াস সেক্রেটারি শেখ ফারুক আহমদ।
স্বাগত বক্তব্যে আহমেদ উস সমাদ চৌধুরী হাসপাতালের কার্যক্রম ও বিগত দিনে সকলের সহযোগিতা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এবং হার্টের রোগীদের বিশেষ কাজে ব্যবহার হওয়ার দুটি মেশিন কিনতে সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সহ-সভাপতি ও সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিছবাহ জামাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এস আই আজাদ আলী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ আলাউদ্দিন এতে বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে একটি অভিন্ন কথা উঠে এসেছে, সেটি হল, বাংলাদেশে হার্টের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট শহরে অবস্থিত হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিদিন বহু মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু কিছু মেশিন না থাকায় জটিল রোগীদের ঢাকায় প্রেরণ করতে হয়। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ক্রয় করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এ দুটি মেশিন ক্রয়ে আর্থিক সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় উপদেষ্টা যথাক্রমে এম শামসুদ্দিন, এম এ মুনিম ওবিই বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী খছরু খান, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, আলহাজ্ব এনামুর রহমান, জাকির চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, আব্দুল নূর, শেরওয়ান কামালি, কামাল আহমেদ ও ইউনুস আলী, টিপু চৌধুরী, শাহ মোস্তাকিম, এমএ সাত্তার নূর।
সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আশিক চৌধুরী, মোঃ আব্দাল মিয়া, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, গোলাম রব্বানী আহাদ রুহি, ডাক্তার সাঈদ মাসুক আহমদ, মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন, রেজাউল করিম মৃধা, মতিউর রহমান খোকন, মুহি আহাদ, রফিকুল হায়দার, চ্যানেল এস’র হেড ওফ প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খান, কামরুজ্জামান ইসহাক জিতু, আব্দুল মোহিত চৌধুরী।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথি ও সদস্যবৃন্দ এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করার জন্য এগিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনকে সম্পৃক্ত করার কথা উল্লেখ করেন।
বিশেষ এ সভায় তাৎক্ষণিকভাবে অনেকেই পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার এবং সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। সভায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে এ ধরনের সভা আয়োজনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিশেষ এ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা এবং সদস্যপদ গ্রহণ এবং স্থায়ী ডোনার হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মুহিব উদ্দিন চৌধুরী।
সবশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ল’ রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে দেশবাসী আইন অঙ্গন সম্পর্কে জানতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা তা- ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারাদেশ জানতে পারছে।
আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইন অঙ্গন এমনভাবে তুলে ধরছে যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট প্রতিনিধি ছিলাম ঢাকা কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আপনারা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকরা ল’ রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করবো। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখবো।
সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি হাসান জাবেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্য সচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, ফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো: মাকসুদ উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে: ইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলব এটাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।
আরএফইডি সভাপতি এমাদ উদ্দীনের (জেবেল) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমি মনে করি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অর্ধেক পথ এগিয়ে গেছি। যেদিন ভোটাররা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে এবং বিনাবাধায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বুথ থেকে বের হতে পারবে, সেই দিনই আমরা বলব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনও কিন্তু এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন সমালোচনা করে বলে যে, রাতে ভোট দিয়েছে এবং জালিয়াতি করেছে। আমি তখন খুবই কষ্ট পাই। এই অপবাদ সবাইকে নিতে হচ্ছে কেন। ভোটের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের কাছে আমার একটি আবেদন থাকবে। সেই আবেদন হল আমরা সবাই মিলে ১৯৯১ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়েছি। এখন কেন পারব না। আমাদের পারতেই হবে। ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব কর্মকর্তাদের বলব এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হল সুযোগ।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে, পজিটিভ ক্যাপশন দিলে কেউ পড়তে চায় না। নেগেটিভ কিছু একটা লিখলে সেটার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। আমি অনেক সময় দেখেছি সংবাদের ভেতরের লেখা ঠিকই লিখেছেন কিন্তু বোল্ড করে ক্যাপশন যেটা আছে সেটা নেগেটিভ ম্যাসেজ দিচ্ছে। এজন্য যারা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন তারা একটু বিবেচনার সাথে ক্যাপশন দিবেন। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। এছাড়া টিভি স্ক্রল যারা দেবেন তাদের প্রতিও অনুরোধ, আমরা যেটা ভালো বলছি সেখান থেকে ক্যাপশন দেবেন। দয়া করে ক্যাপশন এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:: খুলনা নগরীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)।
৮ জুলাই দুপুরে কেএমপির সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত ১০ মাসে কেএমপি এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দু’টি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ওই দু’টি হত্যাকাণ্ডের মামলা নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪ টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামিদের আটক করা হয়েছে। বাকি দু’টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্তকাজে অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদক বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে, তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেনো সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবকসহ সবাইকে নজর দিতে হবে।
পুলিশ কমিশনার জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশিত হবে। ফলাফল শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইটে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষাবোর্ড সিলেক্ট করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া যে কোন মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha ১২৩৪৫৬ ২০২৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষরের ক্ষেত্রে Mad এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জন্য ঞবপ লিখতে হবে।
ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবারের মত এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন। খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
শুধু টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে উক্ত ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করার নিয়ম- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে, যেমন-১০১,১০২,১০৩। প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি হবে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা।
গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠানসংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।