জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত, বিশেষ মোনাজাত
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় মর্যাদা ও গভীর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজের পর মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ জামাতে ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন যাত্রাবাড়ী তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট আবেগপূর্ণভাবে হাত তুলে দোয়া করেন। তাদের চোখ-মুখে স্পষ্ট ছিল আত্মিক শান্তি ও ঐক্যের ছাপ। এই বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বিশ্বের সব মানুষের কল্যাণ কামনা করা হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম জামাত যথাক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতির দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী।
তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক মুশতাক আহমদ। চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এবং পঞ্চম ও শেষ জামাতে ইমামতির দায়িত্ব পালন করবেন দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।
ঈদ জামাতকে ঘিরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষণীয়।
নামাজের আগে দেওয়া বয়ানে দুর্নীতি প্রতিরোধ করে একটি সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক জীবন গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
১২টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকায় ১২টি দেশের অংশগ্রহণে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মেলার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টোয়াব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টোয়াব সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান।
এ বছর মেলায় পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, চীন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও তুরস্কসহ ১২টি দেশের পর্যটন-সম্পর্কিত সংস্থা, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করবে।
টোয়াব পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তসলিম আমিন শোভন মেলার প্রস্তুতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানান।
শোভন বলেন, এবারের অনুষ্ঠানটি পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর তুলনায় আরো প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, পর্যটন পুলিশ এবং এফবিসিসিআই-এর সহায়তায় এই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
২০টি প্যাভিলিয়নে ২২০টিরও বেশি স্টলে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমান সংস্থা, পর্যটন বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার এবং বিভিন্ন পর্যটন পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শন করা হবে।
এর পাশাপাশি বিটুবি সেশন, সেমিনার এবং দেশীয় উপস্থাপনা পর্ব অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোর ওপর তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে।
বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার অ্যাপের মাধ্যমে মেলায় প্রবেশকারী দর্শনার্থীরা র্যাফেল ড্র-পুরষ্কার জেতার সুযোগ পাবেন এবং মেলার পেমেন্ট পার্টনার বিকাশে ক্যাশব্যাক অফারের মাধ্যমে প্রবেশ ফি পরিশোধ করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টোয়াব সভাপতি বলেন, বিটিটিএফ দেশের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন মেলা এবং এর মূল লক্ষ্য হলো- পর্যটনে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি প্রচার করা।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ বছরের মেলায় ব্যবসা, পর্যটক এবং অংশীদারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উৎসাহ তৈরি হবে, যা পর্যটন খাত এবং জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইএইচজি সাউথ ওয়েস্ট এশিয়ার এরিয়া জেনারেল ম্যানেজার এবং বিটিটিএফ ২০২৫ এর গোল্ড পার্টনার অশ্বিনী নায়ার, হসপিটালিটি পার্টনার রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শহীদ হামিদ এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর সভাপতি মো. তানজিম আনোয়ার।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেলায় প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই যোদ্ধারা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
ঝিনাইদহে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাজারে সমাবেশ শুরু হয়। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল টিটো, মঞ্জুরুল হক খোকাসহ অন্যান্যরা।
কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিমতলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
এর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে। আমরা ধানের শীষের পক্ষে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যিনিই ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, আমরা সবাই তার পক্ষেই ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করবো।
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন করা হয়। ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে। মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন।
এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে (কলাভবনের ৫০৪০ নম্বর কক্ষ) ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে।
মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন। এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level)
দৈনিক প্রেসনোট
জামাল আহমেদ, PGCE, QTS : যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন সংযোজন হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level) যোগ্যতা। এটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের দক্ষতা ও একাডেমিক জ্ঞানকে একত্রিত করে শিক্ষাকে আরও কার্যকর, নমনীয় ও প্রয়োগভিত্তিক করে তুলবে। লেখক জামাল আহমেদ, যিনি যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতিবেদনে ভি-লেভেল যোগ্যতার গুরুত্ব, বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছেন।
ভি-লেভেল: শিক্ষার নতুন দিগন্ত
লেখকের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সঠিক দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত যোগ্যতা শিক্ষার্থীর জীবন পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকে, কিন্তু বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা তাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়।
যখন যুক্তরাজ্যের শিক্ষা সচিব ব্রিজিট ফিলিপসন (Bridget Phillipson) নতুন ভি-লেভেল চালুর ঘোষণা দেন, তখন এটি লেখকের কাছে এক আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিভাত হয়। কারণ এই শিক্ষাপথটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা—দুই ক্ষেত্রকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।
নতুন শিক্ষাপথ ও মূল বৈশিষ্ট্য
২০২৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য সরকার লেভেল–৩ পর্যায়ে ভি-লেভেল নামের এই বৃত্তিমূলক যোগ্যতা চালু করবে। এটি এ-লেভেল (A-Level) এবং টি-লেভেল (T-Level)-এর পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র বিকল্প হিসেবে থাকবে।
ভি-লেভেলের বিশেষত্ব:
-
এটি একাডেমিক শিক্ষা ও বাস্তব দক্ষতার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করবে।
-
শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী শিখতে পারবে।
-
শেখা আরও নমনীয়, প্রায়োগিক এবং পেশাভিত্তিক হবে।
টি-লেভেল ও ভি-লেভেলের পার্থক্য:
যেখানে টি-লেভেল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর জ্ঞান প্রদান করে, সেখানে ভি-লেভেল বিস্তৃত ও অভিযোজ্য শিক্ষার সুযোগ দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা, শিক্ষানবিসতা বা পেশাগত জীবনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে।
ভি-লেভেলের বাস্তব উদাহরণসমূহ
-
রন্ধনশিল্পে আগ্রহী শিক্ষার্থী: রান্নার দক্ষতা ও ব্যবসায়িক শিক্ষা একত্রে শিখে ক্যাফে বা ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারে।
-
প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী: ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা শেখার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
-
স্বাস্থ্য ও সমাজসেবায় আগ্রহী শিক্ষার্থী: বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও তাত্ত্বিক জ্ঞান মিলিয়ে হাসপাতাল, কেয়ার হোম বা সমাজসেবায় কাজের যোগ্যতা অর্জন করবে।
শিক্ষাগত বিশ্লেষণ
লেখক বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও আতিথেয়তা বিষয়ে শিক্ষাদান করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয় তখনই, যখন শেখা বাস্তব জীবনের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি করে তা হলো—
-
শিক্ষায় স্বচ্ছতা ও নমনীয়তা,
-
কর্মসংস্থানযোগ্যতা বৃদ্ধি,
-
এবং উন্নতির বাস্তব সুযোগ।
এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে তাদের জন্য, যারা একাডেমিকভাবে নয় বরং হাতে-কলমে শেখায় বেশি দক্ষ। ভি-লেভেলে এমন ফাউন্ডেশন যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের GCSE গ্রেড ৪ অর্জনের পথে সহায়তা করবে।
সহযোগিতা ও কার্যকারিতা
ভি-লেভেলের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বিদ্যালয়, কলেজ ও নিয়োগকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপর। যখন শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিল্পখাত একত্রে কাজ করবে, তখন শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনের মাধ্যম না থেকে জীবনের প্রস্তুতি হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে—তাদের শেখা অর্থবহ এবং তাদের ভবিষ্যতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস প্রদান করবে, যা দিয়ে তারা শুধু পেশাগত চাহিদা মেটাবে না, বরং নিজের ভবিষ্যতও গঠন করবে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ডিজিটাল মিডিয়া শিক্ষার্থী সফটওয়্যার শেখার পাশাপাশি বাস্তব ক্লায়েন্ট প্রজেক্টে কাজ করবে, পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করবে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে ফ্রিল্যান্স কাজ, নিজস্ব ব্যবসা বা পেশাগত পদে স্থায়িত্ব আনতে।
লেখকের মতে, যখন একজন শিক্ষার্থী নিজের পথ খুঁজে পায় এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করে, তখন তার মধ্যে যে পরিবর্তন আসে তা সত্যিই অনন্য—এটি একজন শিক্ষকের জীবনের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত।
জামাল আহমেদ বিশ্বাস করেন, ভি-লেভেল কেবল একটি নতুন যোগ্যতা নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন—যা তরুণদের দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রাণিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে তারা কেবল নিজেদের জীবনে নয়, সমাজেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
লিখেছেন: জামাল আহমেদ, PGCE, QTS
শিক্ষক, যুক্তরাজ্য

