সিলেটে নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সিলেটে নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। সুরমা-কুশিয়ারাসহ আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গোয়াইনঘাট-রাধানগর উপজেলা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে, আজ শনিবার দুপুর থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অতিবৃষ্টির ফলে সিলেট নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ও বাসাবাড়ির আঙিনা তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও সেবা প্রত্যাশীরা।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। খোলা হয়েছে একটি বিশেষ জরুরি কন্ট্রোল রুম। সিসিক সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় (কক্ষ নম্বর ২০৫) কন্ট্রোল রুমটি স্থাপন করা হয়েছে।
জরুরি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা: তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, যোগাযোগ: ০১৭১১৯০৬৬৪৭, সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, মোবাইল: ০১৭১৩৩১১৫২৬, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন, মোবাইল: ০১৭৬৯০০৫৮৫৬ সিসিকের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে পরিস্থিতি সরাসরি পরিদর্শন করবেন এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ এই ভারী বৃষ্টিতে নগরীর জিন্দাবাজার, ক্বিন ব্রিজ এলাকা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, উপশহর, লালদিঘীরপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুপানি জমে যায়। অনেক বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও পুনর্বাসন কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। বিকেল তিনটা পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইন ও সারি নদীসহ সবকটি নদ-নদীর পানি সমতলে মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি আজ বিকেল তিনটা পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ মিটার। এই পয়েন্টে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানি প্রবাহ ছিল ৮ দশমিক ২৯ মিটার। দুই দিনে বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৭ মিটার। বর্তমানে বিপৎসীমার এক দশমিক ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে সমানে পানি বাড়ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমার এক দশমিক ৪৯ মিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুই দিনে পানি বেড়েছে ২ দশমিক ০৮ মিটার। বর্তমানে ৯ দশমিক ৩১ মিটার সমতলে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ মিটার।
সীমান্তের পাহাড়ি নদীগুলোতেও দ্রুত পানি বাড়ছে। এর মধ্যে কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ০৫ মিটার সমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জৈন্তাপুরের সারি নদীর পানি ১১ দশমিক ৫২ মিটার সমানে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর ডাউকি পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭০ মিটার সমতলে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ মিটার। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন পয়েন্টে ১০ দশমিক ০৬ মিটার সমমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮২ মিটার এবং কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুরে ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৯ দশমিক ১৭ মিটারে পৌঁছেছে।
কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জে অমলসিদ পয়েন্টে বিকেল তিনটায় পানির প্রবাহ পৌঁছায় ১২ দশমিক ৯৩ মিটারে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। শেওলা পয়েন্টে ১০ দশমিক ৪০ মিটার সমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ মিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিকেল তিনটায় পানি প্রবাহ পৌঁছায় ৮ দশমিক ৩৪ মিটারে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিস জানিয়েছে, আজ শনিবার দুপুর থেকে সিলেটে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এই তিন ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। এর আগে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত ৮ মিলিমিটার এবং গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩২ মিলিমিটার। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে ভারী বর্ষণ ও দমকা হওয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১০ মিলিমিটার এবং এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেদেশের আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাতের এই তথ্য রেকর্ড করেছে। ফলে উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সকল নদ-নদীতে পানি বাড়ছে।
পাকিস্তান আফগানিস্তান সংঘর্ষ: ২০০ জন নিহত
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ রোববার জানিয়েছে, রাতভর সীমান্ত সংঘর্ষে আফগানিস্তানের তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসময় নিজেদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও স্বীকার করে পাকিস্তান।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান শিবির, চেকপোস্ট এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবর্ষণ এবং হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসময় আমাদের ২৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। অন্যদিকে, তালেবান ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২ শতাধিক ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়েছে।
সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সুপারিশ করেছি: আলী রীয়াজ
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তিতে পথ নির্দেশ করার জন্য আমাদের সুপারিশে তিনটি ভাগ রয়েছে এবং সে মোতাবেক বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং তিনি আজ এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই ভাগগুলোর প্রথমটি হচ্ছে- যে সকল বিষয় সাংবিধানিক বিষয় সংশ্লিষ্ট নয়, সে সব বিষয় সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেগুলো যেন অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবায়ন করা হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে- এর মধ্যে সুপারিশের অনেক কিছুই আছে যেগুলো সরকারি নির্দেশ, এমনকি অফিস অর্ডার দিয়েও বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো যেন সরকার দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে। এ দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনোরকম ভিন্নমত নেই এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে যখনই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সেটা সরকারকে অবহিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি, সাংবিধানিক বিষয়গুলোতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে, কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত আছে। এই সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রদান এবং বাস্তবায়নের পথ নির্দেশ করার জন্য আমরা আমাদের তৃতীয় সুপারিশে কীভাবে এগুলোকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়, সে বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করেছি।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা আজ হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level)
দৈনিক প্রেসনোট
জামাল আহমেদ, PGCE, QTS : যুক্তরাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন সংযোজন হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে ভি-লেভেল (V-Level) যোগ্যতা। এটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের দক্ষতা ও একাডেমিক জ্ঞানকে একত্রিত করে শিক্ষাকে আরও কার্যকর, নমনীয় ও প্রয়োগভিত্তিক করে তুলবে। লেখক জামাল আহমেদ, যিনি যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতিবেদনে ভি-লেভেল যোগ্যতার গুরুত্ব, বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছেন।
ভি-লেভেল: শিক্ষার নতুন দিগন্ত
লেখকের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সঠিক দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত যোগ্যতা শিক্ষার্থীর জীবন পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকে, কিন্তু বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা তাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়।
যখন যুক্তরাজ্যের শিক্ষা সচিব ব্রিজিট ফিলিপসন (Bridget Phillipson) নতুন ভি-লেভেল চালুর ঘোষণা দেন, তখন এটি লেখকের কাছে এক আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিভাত হয়। কারণ এই শিক্ষাপথটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা—দুই ক্ষেত্রকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।
নতুন শিক্ষাপথ ও মূল বৈশিষ্ট্য
২০২৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য সরকার লেভেল–৩ পর্যায়ে ভি-লেভেল নামের এই বৃত্তিমূলক যোগ্যতা চালু করবে। এটি এ-লেভেল (A-Level) এবং টি-লেভেল (T-Level)-এর পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র বিকল্প হিসেবে থাকবে।
ভি-লেভেলের বিশেষত্ব:
-
এটি একাডেমিক শিক্ষা ও বাস্তব দক্ষতার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করবে।
-
শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী শিখতে পারবে।
-
শেখা আরও নমনীয়, প্রায়োগিক এবং পেশাভিত্তিক হবে।
টি-লেভেল ও ভি-লেভেলের পার্থক্য:
যেখানে টি-লেভেল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর জ্ঞান প্রদান করে, সেখানে ভি-লেভেল বিস্তৃত ও অভিযোজ্য শিক্ষার সুযোগ দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা, শিক্ষানবিসতা বা পেশাগত জীবনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে।
ভি-লেভেলের বাস্তব উদাহরণসমূহ
-
রন্ধনশিল্পে আগ্রহী শিক্ষার্থী: রান্নার দক্ষতা ও ব্যবসায়িক শিক্ষা একত্রে শিখে ক্যাফে বা ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারে।
-
প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী: ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা শেখার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
-
স্বাস্থ্য ও সমাজসেবায় আগ্রহী শিক্ষার্থী: বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও তাত্ত্বিক জ্ঞান মিলিয়ে হাসপাতাল, কেয়ার হোম বা সমাজসেবায় কাজের যোগ্যতা অর্জন করবে।
শিক্ষাগত বিশ্লেষণ
লেখক বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও আতিথেয়তা বিষয়ে শিক্ষাদান করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয় তখনই, যখন শেখা বাস্তব জীবনের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি করে তা হলো—
-
শিক্ষায় স্বচ্ছতা ও নমনীয়তা,
-
কর্মসংস্থানযোগ্যতা বৃদ্ধি,
-
এবং উন্নতির বাস্তব সুযোগ।
এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে তাদের জন্য, যারা একাডেমিকভাবে নয় বরং হাতে-কলমে শেখায় বেশি দক্ষ। ভি-লেভেলে এমন ফাউন্ডেশন যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের GCSE গ্রেড ৪ অর্জনের পথে সহায়তা করবে।
সহযোগিতা ও কার্যকারিতা
ভি-লেভেলের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বিদ্যালয়, কলেজ ও নিয়োগকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপর। যখন শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিল্পখাত একত্রে কাজ করবে, তখন শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনের মাধ্যম না থেকে জীবনের প্রস্তুতি হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে—তাদের শেখা অর্থবহ এবং তাদের ভবিষ্যতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি
ভি-লেভেল শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস প্রদান করবে, যা দিয়ে তারা শুধু পেশাগত চাহিদা মেটাবে না, বরং নিজের ভবিষ্যতও গঠন করবে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ডিজিটাল মিডিয়া শিক্ষার্থী সফটওয়্যার শেখার পাশাপাশি বাস্তব ক্লায়েন্ট প্রজেক্টে কাজ করবে, পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করবে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে ফ্রিল্যান্স কাজ, নিজস্ব ব্যবসা বা পেশাগত পদে স্থায়িত্ব আনতে।
লেখকের মতে, যখন একজন শিক্ষার্থী নিজের পথ খুঁজে পায় এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করে, তখন তার মধ্যে যে পরিবর্তন আসে তা সত্যিই অনন্য—এটি একজন শিক্ষকের জীবনের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত।
জামাল আহমেদ বিশ্বাস করেন, ভি-লেভেল কেবল একটি নতুন যোগ্যতা নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন—যা তরুণদের দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রাণিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে তারা কেবল নিজেদের জীবনে নয়, সমাজেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
লিখেছেন: জামাল আহমেদ, PGCE, QTS
শিক্ষক, যুক্তরাজ্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন করা হয়। ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে। মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন।
এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে (কলাভবনের ৫০৪০ নম্বর কক্ষ) ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে।
মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন। এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
ঝিনাইদহে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাজারে সমাবেশ শুরু হয়। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দিন পিয়াল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল টিটো, মঞ্জুরুল হক খোকাসহ অন্যান্যরা।
কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিমতলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
এর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, ভেদাভেদ ভুলে সবাই যেন ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে। আমরা ধানের শীষের পক্ষে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যিনিই ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, আমরা সবাই তার পক্ষেই ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করবো।

