৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল ২৯ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে পবিত্র জিলহজ মাস গণনা করা হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ৭ জুন (শনিবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় তথ্য অধিদফতর-এর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. আয়াতুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের উপ-সচিব শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নূরুল করিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন, চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ ফারুক, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল হক, জমিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষে পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: উত্তর গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষে পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এদিকে কাতারে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সময় পাঁচ সৈন্য নিহত এবং দুজন গুরুতর আহত হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আহত সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের সর্বশেষ দফায় গত রোববার দোহায় আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিরা একই ভবনের বিভিন্ন কক্ষে আলোচনায় বসেছিলেন।
আলোচনার সাথে যুক্ত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, সোমবারের আলোচনা ‘কোনও অগ্রগতি ছাড়াই’ শেষ হয়েছে।
হামাস এবং ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় তাদের সাথে যোগ দেওয়ার কথা।
সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সাহায্যে লন্ডনে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত


লন্ডন অফিস: বাংলাদেশে তিনটি হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অন্যতম একটি হচ্ছে সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল। সম্প্রতি সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় দুটি হার্ট রিলেটেড মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ফ্রেন্ডস অফ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্য কমিটির মাধ্যমে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেছে। এই বিষয়ে ৭ জুলাই লন্ডনের ব্যাকসলী মহারাজা রেস্টুরেন্টে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান আহমেদ উস সমাদ চৌধুরী জেপি এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খানের সঞ্চালনায় বিশেষ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন শহর থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন।
সভার শুরুতেই মহাগ্রন্ত কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের রিলিজিয়াস সেক্রেটারি শেখ ফারুক আহমদ।
স্বাগত বক্তব্যে আহমেদ উস সমাদ চৌধুরী হাসপাতালের কার্যক্রম ও বিগত দিনে সকলের সহযোগিতা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এবং হার্টের রোগীদের বিশেষ কাজে ব্যবহার হওয়ার দুটি মেশিন কিনতে সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সহ-সভাপতি ও সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিছবাহ জামাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এস আই আজাদ আলী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ আলাউদ্দিন এতে বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে একটি অভিন্ন কথা উঠে এসেছে, সেটি হল, বাংলাদেশে হার্টের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট শহরে অবস্থিত হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিদিন বহু মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু কিছু মেশিন না থাকায় জটিল রোগীদের ঢাকায় প্রেরণ করতে হয়। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ক্রয় করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এ দুটি মেশিন ক্রয়ে আর্থিক সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় উপদেষ্টা যথাক্রমে এম শামসুদ্দিন, এম এ মুনিম ওবিই বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী খছরু খান, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, আলহাজ্ব এনামুর রহমান, জাকির চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, আব্দুল নূর, শেরওয়ান কামালি, কামাল আহমেদ ও ইউনুস আলী, টিপু চৌধুরী, শাহ মোস্তাকিম, এমএ সাত্তার নূর।
সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আশিক চৌধুরী, মোঃ আব্দাল মিয়া, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, গোলাম রব্বানী আহাদ রুহি, ডাক্তার সাঈদ মাসুক আহমদ, মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন, রেজাউল করিম মৃধা, মতিউর রহমান খোকন, মুহি আহাদ, রফিকুল হায়দার, চ্যানেল এস’র হেড ওফ প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খান, কামরুজ্জামান ইসহাক জিতু, আব্দুল মোহিত চৌধুরী।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথি ও সদস্যবৃন্দ এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করার জন্য এগিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনকে সম্পৃক্ত করার কথা উল্লেখ করেন।
বিশেষ এ সভায় তাৎক্ষণিকভাবে অনেকেই পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার এবং সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। সভায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে এ ধরনের সভা আয়োজনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিশেষ এ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা এবং সদস্যপদ গ্রহণ এবং স্থায়ী ডোনার হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মুহিব উদ্দিন চৌধুরী।
সবশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রামে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকায় হোটেল ও ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে পচা ডিমের ব্যবহার, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহর নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান জানান, পঁচা ডিম ব্যবহার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুতের অভিযোগে গুলিস্তান হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, তেলাপোকার উপদ্রব ও অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরের পরিবেশ পাওয়ায় আজাদী হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা, শিল্প লবণ ব্যবহার ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে গণি হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে কাদের ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা এবং ঔষধের গায়ে দাম কেটে অধিক দামে বিক্রি করার অপরাধে শফি ইনানী ফার্মেসিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
অভিযান চলাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, মো. আনিছুর রহমান ও মাহমুদা আক্তার।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূতের


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ভুটানকে যে সকল অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করছে, তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য এখনো উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত দর্জি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা অধ্যাপক ইউনূসের কাছে পৌঁছে দেন।
দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বিদ্যমান চমৎকার সহযোগিতার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত দর্জি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভুটানকে বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষা এবং বাংলাদেশে একটি ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের যুবসমাজের একে অপরের দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পারস্পরিক সংস্কৃতি বোঝা ও বন্ধন সুদৃঢ় করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ সার্কের চেতনাকে ধরে রাখতে ও চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে তাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার কার্যকালীন সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে: ইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলব এটাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।
আরএফইডি সভাপতি এমাদ উদ্দীনের (জেবেল) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমি মনে করি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অর্ধেক পথ এগিয়ে গেছি। যেদিন ভোটাররা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে এবং বিনাবাধায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বুথ থেকে বের হতে পারবে, সেই দিনই আমরা বলব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনও কিন্তু এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন সমালোচনা করে বলে যে, রাতে ভোট দিয়েছে এবং জালিয়াতি করেছে। আমি তখন খুবই কষ্ট পাই। এই অপবাদ সবাইকে নিতে হচ্ছে কেন। ভোটের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের কাছে আমার একটি আবেদন থাকবে। সেই আবেদন হল আমরা সবাই মিলে ১৯৯১ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়েছি। এখন কেন পারব না। আমাদের পারতেই হবে। ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব কর্মকর্তাদের বলব এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হল সুযোগ।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে, পজিটিভ ক্যাপশন দিলে কেউ পড়তে চায় না। নেগেটিভ কিছু একটা লিখলে সেটার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। আমি অনেক সময় দেখেছি সংবাদের ভেতরের লেখা ঠিকই লিখেছেন কিন্তু বোল্ড করে ক্যাপশন যেটা আছে সেটা নেগেটিভ ম্যাসেজ দিচ্ছে। এজন্য যারা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন তারা একটু বিবেচনার সাথে ক্যাপশন দিবেন। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। এছাড়া টিভি স্ক্রল যারা দেবেন তাদের প্রতিও অনুরোধ, আমরা যেটা ভালো বলছি সেখান থেকে ক্যাপশন দেবেন। দয়া করে ক্যাপশন এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।’