অভিনেত্রী নুসরাত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া ।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।
কামিশপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাগারে নুসরাত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র এসে পৌঁছায়। পরে যাচাই বাছাই শেষে, তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এর আগে, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।
নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে: ইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলব এটাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।
আরএফইডি সভাপতি এমাদ উদ্দীনের (জেবেল) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমি মনে করি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অর্ধেক পথ এগিয়ে গেছি। যেদিন ভোটাররা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে এবং বিনাবাধায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বুথ থেকে বের হতে পারবে, সেই দিনই আমরা বলব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনও কিন্তু এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন সমালোচনা করে বলে যে, রাতে ভোট দিয়েছে এবং জালিয়াতি করেছে। আমি তখন খুবই কষ্ট পাই। এই অপবাদ সবাইকে নিতে হচ্ছে কেন। ভোটের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের কাছে আমার একটি আবেদন থাকবে। সেই আবেদন হল আমরা সবাই মিলে ১৯৯১ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়েছি। এখন কেন পারব না। আমাদের পারতেই হবে। ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব কর্মকর্তাদের বলব এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হল সুযোগ।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে, পজিটিভ ক্যাপশন দিলে কেউ পড়তে চায় না। নেগেটিভ কিছু একটা লিখলে সেটার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। আমি অনেক সময় দেখেছি সংবাদের ভেতরের লেখা ঠিকই লিখেছেন কিন্তু বোল্ড করে ক্যাপশন যেটা আছে সেটা নেগেটিভ ম্যাসেজ দিচ্ছে। এজন্য যারা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন তারা একটু বিবেচনার সাথে ক্যাপশন দিবেন। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। এছাড়া টিভি স্ক্রল যারা দেবেন তাদের প্রতিও অনুরোধ, আমরা যেটা ভালো বলছি সেখান থেকে ক্যাপশন দেবেন। দয়া করে ক্যাপশন এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:: খুলনা নগরীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)।
৮ জুলাই দুপুরে কেএমপির সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত ১০ মাসে কেএমপি এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দু’টি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ওই দু’টি হত্যাকাণ্ডের মামলা নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪ টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামিদের আটক করা হয়েছে। বাকি দু’টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্তকাজে অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদক বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে, তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেনো সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবকসহ সবাইকে নজর দিতে হবে।
পুলিশ কমিশনার জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তেহরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ৩২ জন বাংলাদেশি আজ ঢাকা পৌঁছেছেন


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইসরাইল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তেহরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ৩২ জন বাংলাদেশি আজ ঢাকা পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তারা তেহরান থেকে সড়কপথে মাশহাদ গিয়ে সেখানকার বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ হয়ে ঢাকা পৌঁছেছেন।
ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাস এসব নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। এর আগে, সংঘাত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরেন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২৬টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার পরিবার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ২৬টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এসব অ্যাকাউন্টে ৫৭৬ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩০ টাকা রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক তানজিল আহমেদ এ তথ্য জানান।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার পরিবার এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিও হিসাবসমূহ নগদায়নসহ অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর/হস্তান্তর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। তার বিও হিসাবসমূহ নগদায়ন বা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর/স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমগ্র ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে বিও হিসাবসমূহ নগদায়ন বা অর্থ উত্তোলন বন্ধ করার জন্য অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূতের


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ভুটানকে যে সকল অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করছে, তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য এখনো উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত দর্জি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা অধ্যাপক ইউনূসের কাছে পৌঁছে দেন।
দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বিদ্যমান চমৎকার সহযোগিতার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত দর্জি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভুটানকে বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষা এবং বাংলাদেশে একটি ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের যুবসমাজের একে অপরের দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পারস্পরিক সংস্কৃতি বোঝা ও বন্ধন সুদৃঢ় করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ সার্কের চেতনাকে ধরে রাখতে ও চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে তাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার কার্যকালীন সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।