সিলেট: ভোলাগঞ্জ এখন লুটের রাজ্য!


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশরা সিলেটের ভোলাগঞ্জকে বলতো ‘ইডেন গার্ডেন অফ প্যারাডাইস’—সেই ভোলাগঞ্জ এখন পরিণত হয়েছে লুটের রাজ্যে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি ও শাহ আরেফিন টিলা এলাকা থেকে প্রতিদিন লুট হচ্ছে কোটি টাকার পাথর ও বালু। সংরক্ষিত বাংকার এলাকাও রেহাই পাচ্ছে না এই লুটপাট থেকে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সুযোগ নিয়ে একটি চক্র এ কাজ করছে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর সংশ্লিষ্টরা শোনাচ্ছেন লুট বন্ধে নানা কর্মকাণ্ডের কথা।
ইতিহাস বলছে ব্রিটিশরা ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলন করা শেষে এই এলাকাকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্রাউন্ড লেন্ড হিসেবে ঘোষণা করে। ১৭০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই এলাকায় ব্রিটিশরা তাদের পরিবার নিয়ে অবসর সময় কাটাতে আসতেন। তখন এই এলাকাকে বলা হতো ইডেন গার্ডেন অফ প্যারাডাইস। বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোর একটি এই ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর।
জানা যায়, বিগত দিনগুলোতে সীমিত পরিসরে উত্তোলন করা হলেও ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা এলাকা থেকে নির্বিচারে উত্তোলন হচ্ছে পাথর ও বালু। কর্তৃপক্ষ না থাকায় সংরক্ষিত বাংকার এলাকার পাথর উত্তোলন করছেন তারা। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান করলেও অভিযান শেষে আবারও উত্তোলন শুরু করছেন। ফলে হুমকির মুখে দেশের একমাত্র রোপওয়ে বাংকারের স্থাপনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ—কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় লুট চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বারকি শ্রমিকরা। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ মহল। প্রশাসন চাইলে একটি পাথরও কেই নিয়ে যেতে পারবে না। লুট বন্ধে প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।
কোম্পানিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহার বলেন, লুট ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত আছে। কিছুদিন পর পর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে জব্দ করা হচ্ছে অবৈধ মেশিন, ধ্বংস করা হচ্ছে বারকি নৌকা। অনেক সময় করা হচ্ছে জেল-জরিমানা। এতো কিছুর পরও বন্ধ করা যাচ্ছে না লুটের এই ভয়াবহতা। লুট বন্ধে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির সঙ্গে জীবিকা জড়িত কয়েক লাখ শ্রমিক। তাই প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে কোয়ারি চালু রাখার সাথে সাথে সংরক্ষিত এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে: ইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলব এটাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।
আরএফইডি সভাপতি এমাদ উদ্দীনের (জেবেল) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমি মনে করি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অর্ধেক পথ এগিয়ে গেছি। যেদিন ভোটাররা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে এবং বিনাবাধায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বুথ থেকে বের হতে পারবে, সেই দিনই আমরা বলব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনও কিন্তু এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন সমালোচনা করে বলে যে, রাতে ভোট দিয়েছে এবং জালিয়াতি করেছে। আমি তখন খুবই কষ্ট পাই। এই অপবাদ সবাইকে নিতে হচ্ছে কেন। ভোটের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের কাছে আমার একটি আবেদন থাকবে। সেই আবেদন হল আমরা সবাই মিলে ১৯৯১ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়েছি। এখন কেন পারব না। আমাদের পারতেই হবে। ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব কর্মকর্তাদের বলব এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হল সুযোগ।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে, পজিটিভ ক্যাপশন দিলে কেউ পড়তে চায় না। নেগেটিভ কিছু একটা লিখলে সেটার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। আমি অনেক সময় দেখেছি সংবাদের ভেতরের লেখা ঠিকই লিখেছেন কিন্তু বোল্ড করে ক্যাপশন যেটা আছে সেটা নেগেটিভ ম্যাসেজ দিচ্ছে। এজন্য যারা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন তারা একটু বিবেচনার সাথে ক্যাপশন দিবেন। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। এছাড়া টিভি স্ক্রল যারা দেবেন তাদের প্রতিও অনুরোধ, আমরা যেটা ভালো বলছি সেখান থেকে ক্যাপশন দেবেন। দয়া করে ক্যাপশন এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।’
উত্তর গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষে পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: উত্তর গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষে পাঁচ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এদিকে কাতারে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সময় পাঁচ সৈন্য নিহত এবং দুজন গুরুতর আহত হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আহত সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের সর্বশেষ দফায় গত রোববার দোহায় আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিরা একই ভবনের বিভিন্ন কক্ষে আলোচনায় বসেছিলেন।
আলোচনার সাথে যুক্ত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, সোমবারের আলোচনা ‘কোনও অগ্রগতি ছাড়াই’ শেষ হয়েছে।
হামাস এবং ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় তাদের সাথে যোগ দেওয়ার কথা।
ল’ রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে দেশবাসী আইন অঙ্গন সম্পর্কে জানতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা তা- ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারাদেশ জানতে পারছে।
আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইন অঙ্গন এমনভাবে তুলে ধরছে যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট প্রতিনিধি ছিলাম ঢাকা কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আপনারা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকরা ল’ রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করবো। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখবো।
সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি হাসান জাবেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্য সচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, ফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো: মাকসুদ উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তেহরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ৩২ জন বাংলাদেশি আজ ঢাকা পৌঁছেছেন


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইসরাইল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তেহরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ৩২ জন বাংলাদেশি আজ ঢাকা পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তারা তেহরান থেকে সড়কপথে মাশহাদ গিয়ে সেখানকার বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ হয়ে ঢাকা পৌঁছেছেন।
ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাস এসব নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। এর আগে, সংঘাত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরেন।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশিত হবে। ফলাফল শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইটে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষাবোর্ড সিলেক্ট করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া যে কোন মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha ১২৩৪৫৬ ২০২৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষরের ক্ষেত্রে Mad এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জন্য ঞবপ লিখতে হবে।
ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবারের মত এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন। খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
শুধু টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে উক্ত ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করার নিয়ম- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে, যেমন-১০১,১০২,১০৩। প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি হবে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা।
গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠানসংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।