দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইউকের উদ্যোগে রমজানের ফুড প্যাকেট বিতরণ
দৈনিক প্রেসনোট
লন্ডন অফিস: প্রতিবারের ন্যায় ধারাবাহিকভাবে এবারও দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইউকের সৌজন্যে দক্ষিণ সুরমার ৮টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সহস্রাধিক পরবিবারে মধ্যে রমজান মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার জালালপুর কলেজে ফুড প্যাকেট বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশিষ্ট মুরব্বি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সুইন্ডন কাউন্সিলের সাবের মেয়র কাউন্সিলর জুনাব আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপদেষ্টা আব্দুল আহাদ, সিনিয়র সদস্য আব্দুল হক আবু, ক্রীড়া সম্পাদক শিবলী আহমদ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ফাহিম আহমদ এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আল মারজান।
সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সুপারিশ করেছি: আলী রীয়াজ
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তিতে পথ নির্দেশ করার জন্য আমাদের সুপারিশে তিনটি ভাগ রয়েছে এবং সে মোতাবেক বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং তিনি আজ এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই ভাগগুলোর প্রথমটি হচ্ছে- যে সকল বিষয় সাংবিধানিক বিষয় সংশ্লিষ্ট নয়, সে সব বিষয় সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারেন, সেগুলো যেন অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবায়ন করা হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে- এর মধ্যে সুপারিশের অনেক কিছুই আছে যেগুলো সরকারি নির্দেশ, এমনকি অফিস অর্ডার দিয়েও বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো যেন সরকার দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে। এ দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনোরকম ভিন্নমত নেই এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে যখনই ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সেটা সরকারকে অবহিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি, সাংবিধানিক বিষয়গুলোতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে, কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত আছে। এই সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রদান এবং বাস্তবায়নের পথ নির্দেশ করার জন্য আমরা আমাদের তৃতীয় সুপারিশে কীভাবে এগুলোকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়, সে বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করেছি।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা আজ হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১২টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকায় ১২টি দেশের অংশগ্রহণে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মেলার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টোয়াব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টোয়াব সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান।
এ বছর মেলায় পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, চীন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও তুরস্কসহ ১২টি দেশের পর্যটন-সম্পর্কিত সংস্থা, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করবে।
টোয়াব পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তসলিম আমিন শোভন মেলার প্রস্তুতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানান।
শোভন বলেন, এবারের অনুষ্ঠানটি পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর তুলনায় আরো প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, পর্যটন পুলিশ এবং এফবিসিসিআই-এর সহায়তায় এই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
২০টি প্যাভিলিয়নে ২২০টিরও বেশি স্টলে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমান সংস্থা, পর্যটন বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার এবং বিভিন্ন পর্যটন পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শন করা হবে।
এর পাশাপাশি বিটুবি সেশন, সেমিনার এবং দেশীয় উপস্থাপনা পর্ব অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোর ওপর তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে।
বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার অ্যাপের মাধ্যমে মেলায় প্রবেশকারী দর্শনার্থীরা র্যাফেল ড্র-পুরষ্কার জেতার সুযোগ পাবেন এবং মেলার পেমেন্ট পার্টনার বিকাশে ক্যাশব্যাক অফারের মাধ্যমে প্রবেশ ফি পরিশোধ করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টোয়াব সভাপতি বলেন, বিটিটিএফ দেশের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন মেলা এবং এর মূল লক্ষ্য হলো- পর্যটনে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি প্রচার করা।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ বছরের মেলায় ব্যবসা, পর্যটক এবং অংশীদারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উৎসাহ তৈরি হবে, যা পর্যটন খাত এবং জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইএইচজি সাউথ ওয়েস্ট এশিয়ার এরিয়া জেনারেল ম্যানেজার এবং বিটিটিএফ ২০২৫ এর গোল্ড পার্টনার অশ্বিনী নায়ার, হসপিটালিটি পার্টনার রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শহীদ হামিদ এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর সভাপতি মো. তানজিম আনোয়ার।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেলায় প্রবেশ টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই যোদ্ধারা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য মেলার আয়োজন করা হয়। ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে। মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন।
এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে (কলাভবনের ৫০৪০ নম্বর কক্ষ) ‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
‘দুর্যোগ ও সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।
মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, টিএসসি, ডাকসু, হলপাড়া এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স হলে।
মেলায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এম.এস., এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি. পর্যায়ের গবেষকরা বিভাগীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেন। এদিন প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারীকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
মেলায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রধান দুটি বাধা হলো- সামাজিক কুসংস্কার (স্টিগমা) এবং সেবার অপ্রতুলতা। এই বাধা দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি ১৯৯৭ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
ফিলিপাইনের কাছে আসিয়ান-এর সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর
দৈনিক প্রেসনোট
প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়া মঙ্গলবার ফিলিপাইনের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। ২০২৬ সালে ম্যানিলা যখন দায়িত্ব নেবে তখন দক্ষিণ চীন সাগরের আঞ্চলিক বিরোধ তাদের এজেন্ডায় প্রাধান্য পাবে। তবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন (আসিয়ান)-এর সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
তিনি কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে প্রতীকীভাবে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিন্যান্দ মার্কোসের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। এএফপি এ খবর জানায়।
আনোয়ার বলেছেন, ‘২০২৬ সালের প্রথম দিনে আসিয়ান একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে’।
ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের সাথে দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে বিতর্কিত দাবিদার চারটি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধের অবসান।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক রায়ে এই সিদ্ধান্তের কোনো আইনি ভিত্তি নেই, কিন্তু তারপরও চীনের সাথে তাদের বিরোধ তৈরি হয়েছে।
বেইজিং এবং ম্যানিলার মধ্যে উত্তেজনা বিশেষভাবে তীব্র এবং দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত সামুদ্রিক সংঘর্ষ ঘটছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় একজন কূটনীতিক আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে এএফপি’কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘যখন স্থলভাগে ঘটনাগুলো উত্তপ্ত হয়, দক্ষিণ চীন সাগর তখনই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এবং সেগুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে’।
বিরোধপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আসিয়ান এবং চীন একটি আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করছে, যার লক্ষ্য আগামী বছরের মধ্যে একটি চুক্তি নিশ্চিত করা।
মার্কোস কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা যদি সহযোগিতা এবং অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।’
কিন্তু ম্যানিলা-ভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডন ম্যাকলেইন গিল এএফপি’কে বলেছেন,
ফিলিপাইন সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর জোর দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চীন যে কোনো চুক্তিতে সম্মত হলে সম্ভবত দুর্বলতা থাকবে।
কূটনীতিক এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, ম্যানিলা আরো উত্তেজনা রোধ করতে এবং বেইজিংয়ের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।
সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্র আবহাওয়া, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেইসাথে মাছ ধরার ক্ষেত্রগুলোতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও।
আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে ফিলিপাইন ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারে ব্লকের ভূমিকাও পালন করবে।
সোলারিস স্ট্র্যাটেজিজ সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মুস্তাফা ইজ্জুদ্দিন বলেছেন, ‘ফিলিপাইন সরকারের জন্য দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়টি আসিয়ানের অন্যান্য অগ্রাধিকারকে গ্রাস করতে না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য মিয়ানমার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, আসিয়ান এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে।
ম্যানিলা একটি সম্মিলিত আসিয়ান অবস্থান তৈরির কাজ করবে। যার মধ্যে অভ্যুত্থানের পর থেকে তাদের নিষিদ্ধ করা আঞ্চলিক বৈঠকে জান্তা নেতাদের আবার আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা তা অন্তর্ভুক্ত। এটি মিয়ানমারের জন্য একজন স্থায়ী দূত নিয়োগের আলোচনাও তত্ত্বাবধান করবে।
“কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী” জীবনীগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
দৈনিক প্রেসনোট
লন্ডন অফিস: বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নাল আবেদীন রচিত “কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী” জীবনীগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ অক্টোবর (রবিবার) ভ্যালেন্স রোডের কমিউনিটি হলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও কলামিস্ট শিহাবুজ্জামান কামাল এবং পরিচালনা করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, লেখক সাংবাদিক কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, আজাদী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন ও সিলেট গণভোটে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনীর ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য। তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
সভায় মুফতি শায়েখ সালেহ আহমদ, শেখ মো. মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এ. কে. শহীদুর রহমান, কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী, খান জামাল নুরুল ইসলাম, হাজী আবুল বাশার, ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, শফিক মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় আগামী ১৬ বা ২৩ নভেম্বর প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে একটি প্রকাশনা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মালিক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুফতি শায়েখ সালেহ আহমদ, শেখ মো. মফিজুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আবুল লায়েছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. মান্নান, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, অধ্যাপক এ. কে. শহীদুর রহমান ও খান জামাল নুরুল ইসলাম।
সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী, যুগ্ম সদস্য সচিব মিছবাউর রহমান চৌধুরী, অর্থ সচিব কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী, যুগ্ম অর্থ সচিব রুহুল আফসার মোর্শেদ, প্রেস সচিব খালেদ মাসুদ রনি এবং যুগ্ম প্রেস সচিব আমিনুর চৌধুরী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাহিদুর রহমান, হাফেজ সৈয়দ নায়ীম আহমদ, মাওলানা আব্দুল বাছিত, হাফিজ হোসাইন আহমদ, মাওলানা আবুল হাসনাত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, আলহাজ রফিক উল্লাহ, এম. এ. রব, হাজী ফারুক মিয়া, মো. শফিক আহমদ, হাজী সুরুক মিয়া, শফিক মিয়া, নোমান চৌধুরী, ইকবাল হামিদ চৌধুরী, সুহেল হামিদ চৌধুরী, মিফতাহ চৌধুরী, খালেদ চৌধুরী, আবু আনাছ চৌধুরী, আবু আক্কাছ চৌধুরী, রায়হান চৌধুরী, আব্দুল কাদির আদিল চৌধুরী, মোহাম্মদ হেলাল, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, শেখ ফারুক আহমদ, মশাহিদুর রহমান, হারুনুর রশীদ, শামসুল ইসলাম মুরাদ ও রেদওয়ানুর রহমানসহ অনেকে।

