সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২


সিলেট অফিস: সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বলাউড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, বলাউড়া বাজার এলাকার কসরপুর গ্রামের মৃত্যু জমির আলীর ছেলে রুহেল আহমেদ ও একই গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুল মালেক।
পুলিশ সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মামুন পরিবহনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী রুহেল ও মালেক গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত্যু ঘোষণা করেন।
জালালাবাদ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক : এবার দেশে সাদাকাতুল ফিতরা প্রদানের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০ (একশ দশ) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০ (পাঁচশ ত্রিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ (এক হাজার নয়’শ আশি) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৮০৫ (দুই হাজার আটশ পাঁচ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি সংস্কার কর্মসূচির প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই। আমরা আপনাদের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। আমরা আপনাদের সর্বোত্তম সফলতা কামনা করি। যেকোনো সহযোগিতা লাগলে আমাদের জানান।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আজ শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে এক বৈঠকে সংস্কার এজেন্ডার প্রতি জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিশ্বব্যাপী ‘সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠী’ রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি চার দিনের সফরে গতকাল ঢাকায় আসেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সংস্কার প্রক্রিয়া একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের একটি ‘বাস্তব রূপান্তর’ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে সংস্কার প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে’।
গুতেরেস বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে তিনি রমজান মাসে বাংলাদেশে এসেছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাস নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীতে এতটা বৈষম্যের শিকার অন্য কোনো জনগোষ্ঠী আমি দেখিনি’। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলতে বসেছে’।
‘মানবিক সহায়তা হ্রাস করা একটি অপরাধ’ উল্লেখ করে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এখন প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করছে, কিন্তু তখন আবার বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের ‘অপরিসীম কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যন্ত উদারতা দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি আমার জন্য একটি বিশেষ বিষয়’।
তিনি বলেন, ‘আপনার আসার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারত না। আপনার সফর কেবল রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী’।
প্রধান উপদেষ্টা গুতেরেসকে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দলগুলো ছয়টি কমিশনের সুপারিশসমূহের সাথে একবার একমত হলে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পাশাপাশি রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচন সংক্রান্ত, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কারের একটি রূপরেখা হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে, তারা যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান, যাতে রোহিঙ্গারা সম্মানের সাথে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে। তিনি বলেন, যতদিন তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে ততদিন পর্যন্ত তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা যেন নিশ্চিত করা যায়।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। বিশ্বকে জানতে হবে তারা কতটা কষ্ট পাচ্ছে। তাদের মধ্যে একটা হতাশার অনুভূতি রয়েছে’।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং তাদের জন্য সহায়তা সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবেন।
গুতেরেস বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রম ‘অসাধারণ’ এবং বাংলাদেশ ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে রয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন,‘বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
অধ্যাপক ইউনূসও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদ্যেদের প্রশংসা করে বলেন, এই মিশনে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন,‘শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ’।
বৈঠকে ভূ-রাজনীতি, সার্কের বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী দেশেগুলোর সম্পর্কের বিষয় নিয়েও আলোচনায় হয়। অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে একাধিক বন্দর নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কেও কথা বলেন, যা নেপাল ও ভুটানসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশকে ‘একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও জাপানসহ প্রায় প্রতিটি দেশের সমর্থন পেয়েছে।অর্থনীতি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ভঙ্গুর ব্যাংকিং খাত, সংকোচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে পড়া অবস্থায় পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি এখন সুসংহত হয়েছে। রপ্তানি কয়েক মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ভালো অবস্থানে রয়েছে’।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অর্থনীতি এমনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ।তিনি বলেন,‘আমরা এলডিসি উত্তরণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি’। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে লুটপাট হওয়া কয়েকশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত আনার জন্য সরকার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি তাকে ১৯৭৪ সালের পর্তুগালের বিপ্লবী দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইউকের উদ্যোগে রমজানের ফুড প্যাকেট বিতরণ


লন্ডন অফিস: প্রতিবারের ন্যায় ধারাবাহিকভাবে এবারও দক্ষিণ সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইউকের সৌজন্যে দক্ষিণ সুরমার ৮টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সহস্রাধিক পরবিবারে মধ্যে রমজান মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার জালালপুর কলেজে ফুড প্যাকেট বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশিষ্ট মুরব্বি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সুইন্ডন কাউন্সিলের সাবের মেয়র কাউন্সিলর জুনাব আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপদেষ্টা আব্দুল আহাদ, সিনিয়র সদস্য আব্দুল হক আবু, ক্রীড়া সম্পাদক শিবলী আহমদ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ফাহিম আহমদ এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আল মারজান।
লন্ডনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সেমিনার


লন্ডন অফিস: ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকে পূর্ব লন্ডনের (E1 5HU) ব্রেইডি সেন্টারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ, বিইএম।
সেমিনারটির আলোচ্য বিষয় ছিল, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী ইউকের স্নাতক ডিগ্রীর সমতুল্য হওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ ও সম্ভাব্য সমাধানের পন্থা ও প্রস্তাবনা”।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের শিক্ষা ও গবেক্ষণা সম্পাদক এবং সেমিনারের সঞ্চালক এরিনা সিদ্দিকী এ সেমিনার অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। শুরুতে তিনি প্রচণ্ড ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে এতে যোগ দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আর মূল বক্তা ও দুই আলোচককে মঞ্চে আসন গ্রহনের জন্যে অনুরোধ জানান এবং প্রতিপাদ্য বিষয়টি সবার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে অতিথি প্রধান বক্তা ও দু’জন আলোচককে পরিচয় করিয়ে দেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ্ উদ্দিন ইকো শুরুতে উপস্থিত সকল সদস্য ও অন্যান্য অতিথিকে স্বাগত জানান।
এতে আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এসেক্স বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক প্রফেসর রাশেদুর চৌধুরী এবং আলোচনায় অংশ নেন সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শোয়াইব আহমেদ ও গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীনিচ বিজনেস স্কুলের উর্ধ্বতন প্রভাষক ডক্টর বি এম রাজ্জাক।
রাশেদুর চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশে যথার্থ অগ্রগতির অভাবের বিদ্যমানতা এবং প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানব তথা বুদ্ধিজীবী তৈরীর জন্য যে পরিমান পড়াশুনা বা জানা ও শেখার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা যথেষ্ট কি না তা নিয়ে তাঁর সংশয়ের কথা বলেছেন। এর জন্যে শিক্ষাক্রম ও এর কাঠামোগত ঘাটতি বা অপ্রতুলতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। তাঁর মতে পাঠ্যক্রম তৈরীতে একটা স্নাতকের সনদের গ্রহণযোগ্যতাকে নিশ্চিতের লক্ষ্যে কতটুকু জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন সেটাকে পর্যাপ্ত বা যথা পরিমান, মানসম্মত, বাস্তবসম্মত ও আকর্ষণীয় করাটা অত্যাবশ্যক। এমনটি নিরূপণে, পাঠ্যক্রম (কারিক্কুলাম) বা পাঠ্যসূচী (সিলেবাস) প্রণয়ন ও পাঠ নির্দিষ্টকরণ (স্পেসিফিকেশন) এবং বাস্তবায়নে একটি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে উত্তরণ, উন্নতি ও প্রগতিতে আশা-আকাঙ্খা, প্রয়োজনীয়তা, বিদ্যমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কাঠামোগত সুযোগসুবিধা, নানামুখী শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকতা, ব্যপস্থাপনা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতার প্রকৃত ও যুগোপযোগী টেকসই সন্নিবেশ ঘটানো অপরিহার্য। পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীতা নির্ণয়ে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেবা গ্রহন বা প্রদানের লক্ষ্যে শেখার মানদন্ড নির্ধারণ ও এর বাস্তবায়নে সঠিক পন্থা ও নির্দেশনা স্থির করেই তবে কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে উপনীত হওয়া সম্ভব।
ডক্টর শোয়াইব আহমেদ তাঁর আলোচনায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা বা যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়া কিংবা খামখেয়ালীপনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে প্রধানতঃ তুলনামূলক ভাল শিক্ষক নিয়োগ, যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীর শেখার পরিমাণ, কতটুকু শেখা হলো তা মূল্যায়নের পদ্ধতি ও মানে ঘাটতি ইত্যাদির প্রতি জোর দিয়েছেন। তিনি কাঠামোগত ও মানের গ্রহনযোগ্যতার বিচারে যুগোপযোগী ও মানসম্মত অথচ যুতসই পাঠ্যক্রমের মানচিত্র বা কাঠামো সুচারুরূপে প্রণয়নের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন, যার মধ্যে বিশ্বায়ন বা আন্তর্জাতিকতাকে যাতে ধর্তব্যের মধ্যে গন্য করা হয়। বিদ্যার্থীদের জ্ঞানার্জন সম্প্রসারণে পাঠ্যক্রম বিষয়ক সিদ্ধান্ত সর্বত্র জ্ঞানভিত্তিক ও ডেইটা চালিত বা সমর্থিত হওয়া উচিত আর শিক্ষকদের কর্তাব্যক্তি না ভেবে নেতার মত আচরণ করতে হবে বলে তিনি মনে করছেন।
ডক্টর বি এম রাজ্জাক স্নাতকের পুরো অধ্যয়নকালে বিশেষ করে বাংলাদেশে ও একই সঙ্গে দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সপ্তায় গড়ে কত ঘণ্টা ও কি পরিমান পডাশুনা হয়ে থাকে তা নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা করেন এবং বড় পর্দায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউকের স্নাতকের সঙ্গে এর তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে বিস্তর ফারাক প্রতীয়মান। যা দিয়ে সাধারণতঃ বিলেতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথকভাবে বা মান নির্ণয়কারী সংস্থাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের স্নাতকের মানকে তাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না সেটা বিবেচনা করে থাকে। যদিও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় তা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। তুলনামূলক চিত্র হিসেবে বৃটেনের হিসেব অনুযায়ী এখানে তিন বছরে পড়াশুনার ক্রেডিটের সংখ্যা বা পরিমাপের সাথে মিলিয়ে দেখলে তা বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। যথাসম্মত মান বা ক্রেডিটের ক্ষেত্রে বৃটেনের তুলনায় দক্ষিন এশীয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে আর শ্রীলংকার সবার উপরে। বাংলাদেশে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান বিদ্যার্থীদের স্বীয় উদ্যোগে পঠনের তুলনায় সময় অনেক বেশী হয়ে থাকে যা বৃটেনের সঙ্গে তুলনা করলে একেবারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা কিনা আধুনিক বিশ্বের চাহিদানুযায়ী নিক্তির মাধ্যমে বিচার করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডক্টর রাজ্জাকের উপস্থাপনায় বৃটেনে অবাধ স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, সমাধানের সম্ভাব্য উপায় ও এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে স্নাতকরা কিভাবে সময় ও আর্থিকসহ আরও অনেক দিক থেকে যে লাভবান হতে পারে সেগুলোও সুনির্দিষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। এতদসত্ত্বেও ভিন্নতাভেদে এ দেশের প্রায় চল্লিশ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়কে স্বীকৃতিদানে বাঁধ সাধে না। প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকের তরফে এমনটির সত্যতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকদের একজন ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায়। তাঁর মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে পাঠদান ও শিখনে গুনগত মান নিয়ে হয়তো তারতম্য বা স্খলন হয়ে থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় বা আনুষ্ঠানিকভাবে দু দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে তদবির বা দেনদরবার অথবা পরস্পরকে রাজী করানোর সমূহ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি কারো কারো মন্তব্য বা সুপারিশে উঠে এসেছে।
এ পর্বে ঢাকা ইউভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের বেশ ক’জন সদস্য ও অতিথিদের অনেকেই মুখ্য বক্তার বক্তৃতা ও আলোচকদ্বয়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য ও প্রশ্ন করেছেন এবং তাঁরা এ মন্তব্যকে আমলে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় নানা ধরনের প্রস্তাবনার উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ও আলোচকদের আলোচনার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন এবং সেমিনার থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনাকে সন্নিবেশিত করে তা সুপারিশ আকারে যথাযথভাবে যথাস্থানে পৌঁছে দেবার গুরুত্ব ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি কষ্ট করে এসে সেমিনারে বিশেষ অবদান রাখায় অতিথি বক্তা ও আলোচকদ্বয়সহ প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে সেমিনারে উপস্থিত হওয়া, অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে পুরো সময়টি ধরে সেমিনারের কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখা এবং মন্তব্য ও প্রশ্নের মাধ্যমে শেষ পর্বটিকে প্রাণবন্ত করার মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সেমিনারটির পরিকল্পনা, আয়োজন ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এরিনা সিদ্দিকী এবং গবেষণা টিমের সব সদস্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি টানেন। এ টিমে যারা রয়েছেন, তারা হচ্ছেনঃ মেজবাহ উদ্দিন ইকো, সৈয়দ জাফর, সৈয়দ ইকবাল, এম কিউ হাসান, ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মাহফুজা রহমান, ফকরুদ্দিন আহমেদ, শারমিন চৌধুরী ও খালেদ ইয়াহিয়া।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিনের বাসনাপ্রসূত প্রতিপাদ্য এ বিষয়ে ভীষণ আগ্রহকে সেমিনার টিমের অনুমোদন সাপেক্ষে ও টিমের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এরিনা সিদ্দিকী নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গোড়াপত্তন করেন যেটির এ পর্যায়ের আশানুরূপ সমাপ্তি ঘটে ২৩ ফেব্রুয়ারীতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে।
পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: জিম্মি ১৮২, নিহত ২০ সেনা


প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান অঞ্চলে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে হামলা চালিয়ে সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। সেখানে সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৮২ জনকে জিম্মি করেছে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলুচিস্তানের বোলান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় গোলাগুলিতে ২০ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএলএ। তবে পাকিস্তানি কতৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিকত করেনি। অন্যদিকে, গোষ্ঠিটি হুমকি দিয়ে বলেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বা পুলিশ যদি জিম্মিদের বাঁচাতে কোনো ধরনের অভিযান চালায় তাহলে সকল জিম্মিকে হত্যা করা হবে। খবর রয়টার্সের।
দেশটির রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, জাফর এক্সপ্রেস নামের ওই ট্রেনে ৪০০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পেশওয়ারের উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেটি হামলা চালিয়েছেন সশস্ত্র বন্দুকধারীরা।
হামলাকারীরা নারী, শিশু, প্রবীন ও বেলুচিস্তানের নাগরিকদের নিরাপদে ছেড়ে দিয়ে বাকী ১৮২ জনকে জিম্মি করেছে। তাদের উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হলে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। সাংবাদিকদের ইমেইল এবং টেলিগ্রামে এক পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছে বিএলএ।
পাকিস্তানের পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, হামলায় ট্রেনের চালকসহ তিনজন আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে তারা। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নওয়াজ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরীহ যাত্রীদের উপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।