অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস তারেক ও মামুন

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৬ মার্চ, ২০২৫ | ২:৩৭ 35 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ৬ মার্চ, ২০২৫ | ২:৩৭ 35 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: অর্থপাচারের মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।

১০ কোটি টাকা ও এমপি পদের প্রলোভন, নুরুলের অভিযোগকে ‘সর্বৈব মিথ্যা’ বললেন সামান্তা
রায় ঘোষণার সময় আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করায় এ মামলায় আপিলের সুযোগ পাননি। তারপরও আদালত মামুনের পাশাপাশি তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে বলে জানান আইনজীবী জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, “জনাব তরেক রহমানকে হাই কোর্ট যে সাত বছর সাজা এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল, তা থেকে উনাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

এর কারণ ব্যাখ্যা করে এ আইনজীবী বলেন, “আপিল বিভাগ সাক্ষী পর্যালোচনায় মামলার বিষয়াদি আলোচনা করে মামলার কোনো ইনগ্র্যাডিয়েন্ট না পাওয়ায় উনাকে (তারেক রহমান) এ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উনার যে অবস্থান এবং সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেটাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।”

বিজ্ঞাপন

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই। এর আগে ২০১০ সালের ৬ জুলাই তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা হয় সেখানে।

তারেককে সাজা দেওয়ার বিষয়ে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, “সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক থেকে তারেক রহমানের নামে একটি ভিসা সাপ্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল। সেই কার্ড দিয়ে উনি একটা বিমানের টিকেট কেটেছেন এবং কিছু চিকিৎসার টাকা খরচ করেছেন। এটাকে মানি লন্ডারিংয়ের পর্যায়ে ফেলেছে; যদিও মানিলন্ডারিংয়ের যে বিধান আছে, তাতে মানি লন্ডারিংয়ে পড়ে না; মোটামুটি বলতে পারেন যে গায়ের জোরে তারেক রহমানকে একটা সাজা দেওয়া হয়েছে।”

অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান বলেন, “আপিল বিভাগ নির্দোষ সাব্যস্তে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন। আর তারেক রহমান সাহেব যদিও এ মামলায় আপিল করতে পারেননি, আমরা আমাদের সুপ্রিম কোর্ট এবং ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন জাজমেন্ট থেকে দেখিয়েছি, যদি মামলার প্রিন্সিপাল একিউসডের বিরুদ্ধে প্রমাণ না হয়, যদি মামলায় দেখা যায় যে এটা ইনটেনশনালি করা হয়েছে, হেরাসমেন্ট করার জন্য, হিউমিলিয়েট করার জন্য – এ মামলায় সাজা দেওয়ার মত কিছু নাই, সেক্ষেত্রে কেউ যদি আপিল নাও করে, কোর্ট ইচ্ছা করলে এ খালাসের যে বেনিফিট তাকেও দিতে পারে।

“এটা আমাদের সাইটেশান ছিল এবং এটা আমরা দেখিয়েছি; অনারেবল চিফ জাস্টিস এবং অন্য বিচারকরা যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা আমাদের এই কনটেনশনটা একসেপ্ট করেছেন। অর্থাৎ তারেক রহমানও এই বেনিফিট পাবেন। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে জনাব তারেক রহমানও নির্দোষ সাব্যস্তে খালাস পেয়েছেন।”

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস দেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয় সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড।

তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।

২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয় হাই কোর্ট।

সেই সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান।

শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

ট্যাগ:

লন্ডনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সেমিনার

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৫৫ 20 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৫৫ 20 ভিউ
Link Copied!

লন্ডন অফিস: ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকে পূর্ব লন্ডনের (E1 5HU) ব্রেইডি সেন্টারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি  রোববার বিকেলে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ, বিইএম।
সেমিনারটির আলোচ্য বিষয় ছিল, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী ইউকের স্নাতক ডিগ্রীর সমতুল্য হওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ ও সম্ভাব্য সমাধানের পন্থা ও প্রস্তাবনা”।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের শিক্ষা ও গবেক্ষণা সম্পাদক এবং সেমিনারের সঞ্চালক এরিনা সিদ্দিকী এ সেমিনার অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। শুরুতে তিনি প্রচণ্ড ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে এতে যোগ দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আর মূল বক্তা ও দুই আলোচককে মঞ্চে আসন গ্রহনের জন্যে অনুরোধ জানান এবং প্রতিপাদ্য বিষয়টি সবার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে অতিথি প্রধান বক্তা ও দু’জন আলোচককে পরিচয় করিয়ে দেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ্ উদ্দিন ইকো শুরুতে উপস্থিত সকল সদস্য ও অন্যান্য অতিথিকে স্বাগত জানান।

বিজ্ঞাপন

এতে আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এসেক্স বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক প্রফেসর রাশেদুর চৌধুরী এবং আলোচনায় অংশ নেন সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শোয়াইব আহমেদ ও গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীনিচ বিজনেস স্কুলের উর্ধ্বতন প্রভাষক ডক্টর বি এম রাজ্জাক।

রাশেদুর চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশে যথার্থ অগ্রগতির অভাবের বিদ্যমানতা এবং প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানব তথা বুদ্ধিজীবী তৈরীর জন্য যে পরিমান পড়াশুনা বা জানা ও শেখার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা যথেষ্ট কি না তা নিয়ে তাঁর সংশয়ের কথা বলেছেন। এর জন্যে শিক্ষাক্রম ও এর কাঠামোগত ঘাটতি বা অপ্রতুলতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। তাঁর মতে পাঠ্যক্রম তৈরীতে একটা স্নাতকের সনদের গ্রহণযোগ্যতাকে নিশ্চিতের লক্ষ্যে কতটুকু জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন সেটাকে পর্যাপ্ত বা যথা পরিমান, মানসম্মত, বাস্তবসম্মত ও আকর্ষণীয় করাটা অত্যাবশ্যক। এমনটি নিরূপণে, পাঠ্যক্রম (কারিক্কুলাম) বা পাঠ্যসূচী (সিলেবাস) প্রণয়ন ও পাঠ নির্দিষ্টকরণ (স্পেসিফিকেশন) এবং বাস্তবায়নে একটি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে উত্তরণ, উন্নতি ও প্রগতিতে আশা-আকাঙ্খা, প্রয়োজনীয়তা, বিদ্যমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কাঠামোগত সুযোগসুবিধা, নানামুখী শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকতা, ব্যপস্থাপনা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতার প্রকৃত ও যুগোপযোগী টেকসই সন্নিবেশ ঘটানো অপরিহার্য। পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীতা নির্ণয়ে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেবা গ্রহন বা প্রদানের লক্ষ্যে শেখার মানদন্ড নির্ধারণ ও এর বাস্তবায়নে সঠিক পন্থা ও নির্দেশনা স্থির করেই তবে কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে উপনীত হওয়া সম্ভব।

ডক্টর শোয়াইব আহমেদ তাঁর আলোচনায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা বা যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়া কিংবা খামখেয়ালীপনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে প্রধানতঃ তুলনামূলক ভাল শিক্ষক নিয়োগ, যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীর শেখার পরিমাণ, কতটুকু শেখা হলো তা মূল্যায়নের পদ্ধতি ও মানে ঘাটতি ইত্যাদির প্রতি জোর দিয়েছেন। তিনি কাঠামোগত ও মানের গ্রহনযোগ্যতার বিচারে যুগোপযোগী ও মানসম্মত অথচ যুতসই পাঠ্যক্রমের মানচিত্র বা কাঠামো সুচারুরূপে প্রণয়নের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন, যার মধ্যে বিশ্বায়ন বা আন্তর্জাতিকতাকে যাতে ধর্তব্যের মধ্যে গন্য করা হয়। বিদ্যার্থীদের জ্ঞানার্জন সম্প্রসারণে পাঠ্যক্রম বিষয়ক সিদ্ধান্ত সর্বত্র জ্ঞানভিত্তিক ও ডেইটা চালিত বা সমর্থিত হওয়া উচিত আর শিক্ষকদের কর্তাব্যক্তি না ভেবে নেতার মত আচরণ করতে হবে বলে তিনি মনে করছেন।

বিজ্ঞাপন

ডক্টর বি এম রাজ্জাক স্নাতকের পুরো অধ্যয়নকালে বিশেষ করে বাংলাদেশে ও একই সঙ্গে দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সপ্তায় গড়ে কত ঘণ্টা ও কি পরিমান পডাশুনা হয়ে থাকে তা নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা করেন এবং বড় পর্দায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউকের স্নাতকের সঙ্গে এর তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে বিস্তর ফারাক প্রতীয়মান। যা দিয়ে সাধারণতঃ বিলেতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথকভাবে বা মান নির্ণয়কারী সংস্থাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের স্নাতকের মানকে তাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না সেটা বিবেচনা করে থাকে। যদিও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় তা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। তুলনামূলক চিত্র হিসেবে বৃটেনের হিসেব অনুযায়ী এখানে তিন বছরে পড়াশুনার ক্রেডিটের সংখ্যা বা পরিমাপের সাথে মিলিয়ে দেখলে তা বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। যথাসম্মত মান বা ক্রেডিটের ক্ষেত্রে বৃটেনের তুলনায় দক্ষিন এশীয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে আর শ্রীলংকার সবার উপরে। বাংলাদেশে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান বিদ্যার্থীদের স্বীয় উদ্যোগে পঠনের তুলনায় সময় অনেক বেশী হয়ে থাকে যা বৃটেনের সঙ্গে তুলনা করলে একেবারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা কিনা আধুনিক বিশ্বের চাহিদানুযায়ী নিক্তির মাধ্যমে বিচার করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডক্টর রাজ্জাকের উপস্থাপনায় বৃটেনে অবাধ স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, সমাধানের সম্ভাব্য উপায় ও এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে স্নাতকরা কিভাবে সময় ও আর্থিকসহ আরও অনেক দিক থেকে যে লাভবান হতে পারে সেগুলোও সুনির্দিষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। এতদসত্ত্বেও ভিন্নতাভেদে এ দেশের প্রায় চল্লিশ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়কে স্বীকৃতিদানে বাঁধ সাধে না। প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকের তরফে এমনটির সত্যতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকদের একজন ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায়। তাঁর মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে পাঠদান ও শিখনে গুনগত মান নিয়ে হয়তো তারতম্য বা স্খলন হয়ে থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় বা আনুষ্ঠানিকভাবে দু দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে তদবির বা দেনদরবার অথবা পরস্পরকে রাজী করানোর সমূহ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি কারো কারো মন্তব্য বা সুপারিশে উঠে এসেছে।

এ পর্বে ঢাকা ইউভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের বেশ ক’জন সদস্য ও অতিথিদের অনেকেই মুখ্য বক্তার বক্তৃতা ও আলোচকদ্বয়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য ও প্রশ্ন করেছেন এবং তাঁরা এ মন্তব্যকে আমলে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় নানা ধরনের প্রস্তাবনার উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ও আলোচকদের আলোচনার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন এবং সেমিনার থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনাকে সন্নিবেশিত করে তা সুপারিশ আকারে যথাযথভাবে যথাস্থানে পৌঁছে দেবার গুরুত্ব ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি কষ্ট করে এসে সেমিনারে বিশেষ অবদান রাখায় অতিথি বক্তা ও আলোচকদ্বয়সহ প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে সেমিনারে উপস্থিত হওয়া, অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে পুরো সময়টি ধরে সেমিনারের কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখা এবং মন্তব্য ও প্রশ্নের মাধ্যমে শেষ পর্বটিকে প্রাণবন্ত করার মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সেমিনারটির পরিকল্পনা, আয়োজন ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এরিনা সিদ্দিকী এবং গবেষণা টিমের সব সদস্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি টানেন। এ টিমে যারা রয়েছেন, তারা হচ্ছেনঃ মেজবাহ উদ্দিন ইকো, সৈয়দ জাফর, সৈয়দ ইকবাল, এম কিউ হাসান, ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মাহফুজা রহমান, ফকরুদ্দিন আহমেদ, শারমিন চৌধুরী ও খালেদ ইয়াহিয়া।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিনের বাসনাপ্রসূত প্রতিপাদ্য এ বিষয়ে ভীষণ আগ্রহকে সেমিনার টিমের অনুমোদন সাপেক্ষে ও টিমের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এরিনা সিদ্দিকী নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গোড়াপত্তন করেন যেটির এ পর্যায়ের আশানুরূপ সমাপ্তি ঘটে ২৩ ফেব্রুয়ারীতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে।

ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২২ 29 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২২ 29 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এয়ারটেল ভারতের গ্রাহকদের কাছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংকের উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে। দুই কম্পানির বরাত দিয়ে এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এয়ারটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ভারতে স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তি। তবে স্পেসএক্সকে ভারতে স্টারলিংক পরিষেবা বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে হবে।

এয়ারটেল ও স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করে এয়ারটেলের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে স্টারলিংকের সরঞ্জাম সরবরাহ, এয়ারটেলের মাধ্যমে ব্যাবসায়িক গ্রাহকদের স্টারলিংক পরিষেবা দেওয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সম্প্রদায়, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারে স্টারলিংক পরিষেবা আনার এই পদক্ষেপ এয়ারটেলের গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ।’

স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, যা বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ইন্টারনেটব্যবস্থা ব্যবহার করে প্রত্যন্ত স্থানেও স্ট্রিমিং, ভিডিও কল, অনলাইন গেমিং, রিমোট ওয়ার্কসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করে।
এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিত্তল বলেছেন, ‘এই অংশীদারি আমাদের ভারতের সর্বদূরবর্তী এলাকাতেও বিশ্বমানের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি, ব্যবসা ও সম্প্রদায় নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সুবিধা পায়। স্টারলিংক এয়ারটেলের পণ্যসম্ভারকে আরো শক্তিশালী করবে, যাতে ভারতের গ্রাহকরা যেখানেই বসবাস বা কাজ করুক না কেন, তারা যেন নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড সুবিধা পেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুইন শটওয়েল বলেছেন, ভারতের টেলিকম শিল্পে এয়ারটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তাই স্পেসএক্সের সরাসরি পরিষেবার পরিপূরক হিসেবে তাদের সঙ্গে কাজ করাটা ব্যাবসায়িকভাবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে ও স্টারলিংকের রূপান্তরকারী প্রভাব ভারতের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উদগ্রীব। আমরা প্রতিনিয়ত বিস্মিত হই যখন দেখি, মানুষ, ব্যবসা ও সংস্থাগুলো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কী কী অসাধারণ ও অনুপ্রেরণামূলক কাজ করছে।’

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও ভারতের ব্রডব্যান্ড বাজারে শীর্ষে রয়েছে, যার এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ওয়্যার্ড ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে। একই সঙ্গে জিওর প্রায় ৫০ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

এয়ারটেলেরও প্রায় ৩০ কোটি ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে।
তবে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগ রয়েছে, দুই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয়ে স্পেকট্রাম কিনেও তারা এখন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের কারণে গ্রাহক হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: জিম্মি ১৮২, নিহত ২০ সেনা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৫২ 40 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৫২ 40 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান অঞ্চলে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে হামলা চালিয়ে সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। সেখানে সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৮২ জনকে জিম্মি করেছে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলুচিস্তানের বোলান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় গোলাগুলিতে ২০ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএলএ। তবে পাকিস্তানি কতৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিকত করেনি। অন্যদিকে, গোষ্ঠিটি হুমকি দিয়ে বলেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বা পুলিশ যদি জিম্মিদের বাঁচাতে কোনো ধরনের অভিযান চালায় তাহলে সকল জিম্মিকে হত্যা করা হবে। খবর রয়টার্সের।

দেশটির রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, জাফর এক্সপ্রেস নামের ওই ট্রেনে ৪০০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পেশওয়ারের উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেটি হামলা চালিয়েছেন সশস্ত্র বন্দুকধারীরা।

বিজ্ঞাপন

হামলাকারীরা নারী, শিশু, প্রবীন ও বেলুচিস্তানের নাগরিকদের নিরাপদে ছেড়ে দিয়ে বাকী ১৮২ জনকে জিম্মি করেছে। তাদের উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হলে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। সাংবাদিকদের ইমেইল এবং টেলিগ্রামে এক পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছে বিএলএ।

পাকিস্তানের পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, হামলায় ট্রেনের চালকসহ তিনজন আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে তারা। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নওয়াজ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরীহ যাত্রীদের উপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৮ 10 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:২৮ 10 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক : এবার দেশে সাদাকাতুল ফিতরা প্রদানের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০ (একশ দশ) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০ (পাঁচশ ত্রিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ (এক হাজার নয়’শ আশি) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৮০৫ (দুই হাজার আটশ পাঁচ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রা.) রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে-কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞেসাবাদ করবে টাস্কফোর্স

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৩৯ 29 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ১১ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৩৯ 29 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় কারাগারে আটক একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক উপস্থাপক ফারজানা রুপাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টাস্কফোর্সকে ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন। আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বাসস’কে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে আবেদন করেন। গত ৪ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন।

বিজ্ঞাপন

আবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার ঘটনার সময়ে ফারজানা রুপা এটিএন বাংলা টেলিভিশনে রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার নিহত রুনির সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল এবং পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠতা ও যাতায়াত ছিল। উল্লেখিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি টেলিভিশনে রিপোর্ট করেন মর্মে জানা যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি তাদের শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজারস্থ ফ্ল্যাটে  নৃশংসভাবে খুন হয়। এটি বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যা মামলা। মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক টাস্কফোর্স গঠন পূর্বক বর্তমানে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তর এর নিকট তদন্তাধীন আছে বিধায় ফারজানা রুপাকে টাস্কফোর্স কর্তৃক অত্র মামলা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।

বিজ্ঞাপন

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বহুল আলোচিত সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত। বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস।’ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্টে।

সূত্র: বাসস।

শিরোনাম:
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: জিম্মি ১৮২, নিহত ২০ সেনা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞেসাবাদ করবে টাস্কফোর্স দেশে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটির: উপ-প্রেসসচিব শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ: আলী রীয়াজ ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রধারীকে গুলি ধর্ষণকারীর বিচার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতের দাবি সিলেটে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে ইরানকে ট্রাম্পের চিঠি আগামীকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস ভোটের আগে বিচার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চাই: নাহিদ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি ইইউর ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর পরিকল্পনা যেকারণে অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস তারেক ও মামুন শিক্ষক সমাজকে অবহেলা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: রুহুল কবির রিজভী রংপুর সিএমএইচে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন: সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, গণপরিষদ নয় : সিইসি