Dyscalculia: The Hidden Struggle with Mathematics


Jamal Ahmed
Mathematics is often regarded as a universal language, serving as a fundamental tool for understanding the world around us. In the UK and across the globe, it remains a core subject in education, playing a crucial role in GCSE qualifications and serving as a key entry requirement for higher education and employment. However, for some students, numbers and calculations are not just challenging but a source of significant frustration and anxiety. This struggle is not merely due to a lack of interest or perceived difficulty in mathematics; rather, it arises from a specific learning difference known as dyscalculia.
Drawing from my extensive experience as a mathematics teacher in a mainstream school in the UK and my role as a Special Educational Needs and Disabilities (SEND) Ambassador, I wish to highlight key aspects of dyscalculia. Dyscalculia is a distinct area of SEND that demands attention and a deep understanding from parents, educators, and community leaders.
Many people confuse dyscalculia with dyslexia, but these are two different learning difficulties that disrupt students’ daily academic activities in distinct ways. Dyslexia primarily affects literacy skills, such as reading, writing, and spelling, making it difficult for individuals to recognise letters, decode words, and process written language. In contrast, dyscalculia specifically relates to mathematical abilities. It impacts a person’s ability to understand numbers, perform calculations, recognize numerical patterns, and grasp mathematical concepts. According to the British Dyscalculia Association, approximately 25% of people struggle with mathematical learning, with around 6% being diagnosed with dyscalculia. Unlike general mathematical learning difficulties, dyscalculia causes a severe inability to work with numbers and quantities. It is a lifelong condition that manifests differently depending on a person’s age, experiences, and opportunities.
As a mathematics teacher, my daily observations in the classroom have shown that students with dyscalculia exhibit various symptoms. These include difficulty recognising numbers and their values, struggles with basic mathematical operations such as addition, subtraction, multiplication, and division, challenges in understanding time, measurement, and monetary values, persistent reliance on finger counting beyond the expected age, inability to recognize mathematical patterns and sequences, and feelings of anxiety and frustration when faced with mathematical tasks.
Impact on Learning and Everyday Life
Dyscalculia is not confined to the classroom; it can significantly affect everyday life in ways that many people fail to recognise. Mathematical skills are essential for managing finances, understanding time, following recipes, and navigating maps. Students with dyscalculia often experience low self-confidence and anxiety, especially when their difficulties are misinterpreted as indolence or a lack of effort.
In the UK, educational institutions implement additional scaffolding and adapted learning support for students with dyscalculia to help them grasp mathematical concepts more effectively. Dyscalculia falls under the category of Special Educational Needs and Disabilities (SEND) and causes difficulties in recognising numbers, understanding mathematical operations, and identifying relationships between numbers. To address these challenges, teachers use step-by-step instructional strategies, incorporating visual aids, clear and repetitive explanations, and hands-on activities to enrich students’ learning experiences.
Moreover, mathematics teachers aim to reduce students’ anxiety and frustration by presenting mathematical concepts through real-life examples. Alternative assessment methods, such as oral explanations, graphic organizers, and guided instructions, are employed to help students approach mathematical problems with greater ease. Small group learning opportunities, additional time allowances, and digital tools are also used to make the learning process more inclusive and effective. The goal is to support each student’s individual learning pace and foster a positive attitude towards mathematics.
Raising Awareness and Enhancing Understanding
Although dyscalculia is a significant educational challenge, it remains widely underdiagnosed, leaving many students without the necessary support throughout their academic journey. To address this issue, it is crucial for parents, schools, teachers, and educational experts to collaborate in identifying the signs of dyscalculia and implementing effective teaching strategies. With appropriate support, students affected by dyscalculia can significantly improve their academic performance.
Increasing awareness about dyscalculia and expanding specialised training for teachers will ensure that students struggling with mathematical challenges are not left behind. By fostering an inclusive and supportive learning environment, we can empower these students to build confidence and enhance their capabilities, ultimately benefiting their academic and professional futures. Mathematical education is not just about learning arithmetic operations like addition, subtraction, multiplication, and division—it should be accessible to everyone, regardless of learning differences, to support their daily lives and beyond. With the right approach, students with dyscalculia can develop confidence, improve their mathematical skills, and achieve success both academically and in their everyday lives.
Jamal Ahmed: A Mathematician (Currently working as a maths teacher at a Secondary School in East London).
চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটির: উপ-প্রেসসচিব


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থান সামান্য উন্নতি হয়েছে; পাঁচদিনের মাথায় তার চোখের পাতায় নড়াচড়াও দেখা গেছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে।
তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে।
“তবে শ্বাসরোধের কারণে তার মস্তিকে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল, যেটা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তার বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল সেটা দূর করা গেছে। চিকিৎসকরা আশাবাদী দুই-এক দিনের মধ্যে শিশুটির অবস্থার আরও উন্নতি হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ নিয়মিত শিশুটির খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে আজাদ মজুমদার আরও বলেন, “আজও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসা চলছে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
গত শনিবার ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে আনা হয়।
রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
লন্ডনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সেমিনার


লন্ডন অফিস: ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকে পূর্ব লন্ডনের (E1 5HU) ব্রেইডি সেন্টারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ, বিইএম।
সেমিনারটির আলোচ্য বিষয় ছিল, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী ইউকের স্নাতক ডিগ্রীর সমতুল্য হওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ ও সম্ভাব্য সমাধানের পন্থা ও প্রস্তাবনা”।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের শিক্ষা ও গবেক্ষণা সম্পাদক এবং সেমিনারের সঞ্চালক এরিনা সিদ্দিকী এ সেমিনার অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। শুরুতে তিনি প্রচণ্ড ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে এতে যোগ দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আর মূল বক্তা ও দুই আলোচককে মঞ্চে আসন গ্রহনের জন্যে অনুরোধ জানান এবং প্রতিপাদ্য বিষয়টি সবার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে অতিথি প্রধান বক্তা ও দু’জন আলোচককে পরিচয় করিয়ে দেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ্ উদ্দিন ইকো শুরুতে উপস্থিত সকল সদস্য ও অন্যান্য অতিথিকে স্বাগত জানান।
এতে আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এসেক্স বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক প্রফেসর রাশেদুর চৌধুরী এবং আলোচনায় অংশ নেন সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শোয়াইব আহমেদ ও গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীনিচ বিজনেস স্কুলের উর্ধ্বতন প্রভাষক ডক্টর বি এম রাজ্জাক।
রাশেদুর চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশে যথার্থ অগ্রগতির অভাবের বিদ্যমানতা এবং প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানব তথা বুদ্ধিজীবী তৈরীর জন্য যে পরিমান পড়াশুনা বা জানা ও শেখার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা যথেষ্ট কি না তা নিয়ে তাঁর সংশয়ের কথা বলেছেন। এর জন্যে শিক্ষাক্রম ও এর কাঠামোগত ঘাটতি বা অপ্রতুলতাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন। তাঁর মতে পাঠ্যক্রম তৈরীতে একটা স্নাতকের সনদের গ্রহণযোগ্যতাকে নিশ্চিতের লক্ষ্যে কতটুকু জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন সেটাকে পর্যাপ্ত বা যথা পরিমান, মানসম্মত, বাস্তবসম্মত ও আকর্ষণীয় করাটা অত্যাবশ্যক। এমনটি নিরূপণে, পাঠ্যক্রম (কারিক্কুলাম) বা পাঠ্যসূচী (সিলেবাস) প্রণয়ন ও পাঠ নির্দিষ্টকরণ (স্পেসিফিকেশন) এবং বাস্তবায়নে একটি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে উত্তরণ, উন্নতি ও প্রগতিতে আশা-আকাঙ্খা, প্রয়োজনীয়তা, বিদ্যমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কাঠামোগত সুযোগসুবিধা, নানামুখী শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকতা, ব্যপস্থাপনা, আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতার প্রকৃত ও যুগোপযোগী টেকসই সন্নিবেশ ঘটানো অপরিহার্য। পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীতা নির্ণয়ে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেবা গ্রহন বা প্রদানের লক্ষ্যে শেখার মানদন্ড নির্ধারণ ও এর বাস্তবায়নে সঠিক পন্থা ও নির্দেশনা স্থির করেই তবে কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে উপনীত হওয়া সম্ভব।
ডক্টর শোয়াইব আহমেদ তাঁর আলোচনায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা বা যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়া কিংবা খামখেয়ালীপনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে প্রধানতঃ তুলনামূলক ভাল শিক্ষক নিয়োগ, যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীর শেখার পরিমাণ, কতটুকু শেখা হলো তা মূল্যায়নের পদ্ধতি ও মানে ঘাটতি ইত্যাদির প্রতি জোর দিয়েছেন। তিনি কাঠামোগত ও মানের গ্রহনযোগ্যতার বিচারে যুগোপযোগী ও মানসম্মত অথচ যুতসই পাঠ্যক্রমের মানচিত্র বা কাঠামো সুচারুরূপে প্রণয়নের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন, যার মধ্যে বিশ্বায়ন বা আন্তর্জাতিকতাকে যাতে ধর্তব্যের মধ্যে গন্য করা হয়। বিদ্যার্থীদের জ্ঞানার্জন সম্প্রসারণে পাঠ্যক্রম বিষয়ক সিদ্ধান্ত সর্বত্র জ্ঞানভিত্তিক ও ডেইটা চালিত বা সমর্থিত হওয়া উচিত আর শিক্ষকদের কর্তাব্যক্তি না ভেবে নেতার মত আচরণ করতে হবে বলে তিনি মনে করছেন।
ডক্টর বি এম রাজ্জাক স্নাতকের পুরো অধ্যয়নকালে বিশেষ করে বাংলাদেশে ও একই সঙ্গে দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সপ্তায় গড়ে কত ঘণ্টা ও কি পরিমান পডাশুনা হয়ে থাকে তা নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা করেন এবং বড় পর্দায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউকের স্নাতকের সঙ্গে এর তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে বিস্তর ফারাক প্রতীয়মান। যা দিয়ে সাধারণতঃ বিলেতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথকভাবে বা মান নির্ণয়কারী সংস্থাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের স্নাতকের মানকে তাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না সেটা বিবেচনা করে থাকে। যদিও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় তা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। তুলনামূলক চিত্র হিসেবে বৃটেনের হিসেব অনুযায়ী এখানে তিন বছরে পড়াশুনার ক্রেডিটের সংখ্যা বা পরিমাপের সাথে মিলিয়ে দেখলে তা বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। যথাসম্মত মান বা ক্রেডিটের ক্ষেত্রে বৃটেনের তুলনায় দক্ষিন এশীয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে আর শ্রীলংকার সবার উপরে। বাংলাদেশে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান বিদ্যার্থীদের স্বীয় উদ্যোগে পঠনের তুলনায় সময় অনেক বেশী হয়ে থাকে যা বৃটেনের সঙ্গে তুলনা করলে একেবারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা কিনা আধুনিক বিশ্বের চাহিদানুযায়ী নিক্তির মাধ্যমে বিচার করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শ্রীলংকা বেশ এগিয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডক্টর রাজ্জাকের উপস্থাপনায় বৃটেনে অবাধ স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, সমাধানের সম্ভাব্য উপায় ও এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে স্নাতকরা কিভাবে সময় ও আর্থিকসহ আরও অনেক দিক থেকে যে লাভবান হতে পারে সেগুলোও সুনির্দিষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। এতদসত্ত্বেও ভিন্নতাভেদে এ দেশের প্রায় চল্লিশ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়কে স্বীকৃতিদানে বাঁধ সাধে না। প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকের তরফে এমনটির সত্যতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকদের একজন ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায়। তাঁর মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে পাঠদান ও শিখনে গুনগত মান নিয়ে হয়তো তারতম্য বা স্খলন হয়ে থাকতে পারে। রাষ্ট্রীয় বা আনুষ্ঠানিকভাবে দু দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে তদবির বা দেনদরবার অথবা পরস্পরকে রাজী করানোর সমূহ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি কারো কারো মন্তব্য বা সুপারিশে উঠে এসেছে।
এ পর্বে ঢাকা ইউভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের বেশ ক’জন সদস্য ও অতিথিদের অনেকেই মুখ্য বক্তার বক্তৃতা ও আলোচকদ্বয়ের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য ও প্রশ্ন করেছেন এবং তাঁরা এ মন্তব্যকে আমলে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় নানা ধরনের প্রস্তাবনার উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ও আলোচকদের আলোচনার উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন এবং সেমিনার থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনাকে সন্নিবেশিত করে তা সুপারিশ আকারে যথাযথভাবে যথাস্থানে পৌঁছে দেবার গুরুত্ব ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি কষ্ট করে এসে সেমিনারে বিশেষ অবদান রাখায় অতিথি বক্তা ও আলোচকদ্বয়সহ প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে সেমিনারে উপস্থিত হওয়া, অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে পুরো সময়টি ধরে সেমিনারের কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখা এবং মন্তব্য ও প্রশ্নের মাধ্যমে শেষ পর্বটিকে প্রাণবন্ত করার মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সেমিনারটির পরিকল্পনা, আয়োজন ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এরিনা সিদ্দিকী এবং গবেষণা টিমের সব সদস্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি টানেন। এ টিমে যারা রয়েছেন, তারা হচ্ছেনঃ মেজবাহ উদ্দিন ইকো, সৈয়দ জাফর, সৈয়দ ইকবাল, এম কিউ হাসান, ডক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মাহফুজা রহমান, ফকরুদ্দিন আহমেদ, শারমিন চৌধুরী ও খালেদ ইয়াহিয়া।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিনের বাসনাপ্রসূত প্রতিপাদ্য এ বিষয়ে ভীষণ আগ্রহকে সেমিনার টিমের অনুমোদন সাপেক্ষে ও টিমের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এরিনা সিদ্দিকী নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গোড়াপত্তন করেন যেটির এ পর্যায়ের আশানুরূপ সমাপ্তি ঘটে ২৩ ফেব্রুয়ারীতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞেসাবাদ করবে টাস্কফোর্স


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় কারাগারে আটক একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক উপস্থাপক ফারজানা রুপাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টাস্কফোর্সকে ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন। আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বাসস’কে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে আবেদন করেন। গত ৪ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার ঘটনার সময়ে ফারজানা রুপা এটিএন বাংলা টেলিভিশনে রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার নিহত রুনির সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল এবং পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠতা ও যাতায়াত ছিল। উল্লেখিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি টেলিভিশনে রিপোর্ট করেন মর্মে জানা যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি তাদের শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজারস্থ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হয়। এটি বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যা মামলা। মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক টাস্কফোর্স গঠন পূর্বক বর্তমানে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তর এর নিকট তদন্তাধীন আছে বিধায় ফারজানা রুপাকে টাস্কফোর্স কর্তৃক অত্র মামলা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বহুল আলোচিত সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত। বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস।’ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্টে।
সূত্র: বাসস।
ভারতে স্টারলিংক আনবে এয়ারটেল, স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি


প্রেসনোট আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এয়ারটেল ভারতের গ্রাহকদের কাছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংকের উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে একটি চুক্তি ঘোষণা করেছে। দুই কম্পানির বরাত দিয়ে এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এয়ারটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ভারতে স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তি। তবে স্পেসএক্সকে ভারতে স্টারলিংক পরিষেবা বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে হবে।
এয়ারটেল ও স্পেসএক্স একসঙ্গে কাজ করে এয়ারটেলের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে স্টারলিংকের সরঞ্জাম সরবরাহ, এয়ারটেলের মাধ্যমে ব্যাবসায়িক গ্রাহকদের স্টারলিংক পরিষেবা দেওয়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সম্প্রদায়, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারে স্টারলিংক পরিষেবা আনার এই পদক্ষেপ এয়ারটেলের গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ।’
স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, যা বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ইন্টারনেটব্যবস্থা ব্যবহার করে প্রত্যন্ত স্থানেও স্ট্রিমিং, ভিডিও কল, অনলাইন গেমিং, রিমোট ওয়ার্কসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করে।
এয়ারটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিত্তল বলেছেন, ‘এই অংশীদারি আমাদের ভারতের সর্বদূরবর্তী এলাকাতেও বিশ্বমানের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি, ব্যবসা ও সম্প্রদায় নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সুবিধা পায়। স্টারলিংক এয়ারটেলের পণ্যসম্ভারকে আরো শক্তিশালী করবে, যাতে ভারতের গ্রাহকরা যেখানেই বসবাস বা কাজ করুক না কেন, তারা যেন নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড সুবিধা পেতে পারে।’
অন্যদিকে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুইন শটওয়েল বলেছেন, ভারতের টেলিকম শিল্পে এয়ারটেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তাই স্পেসএক্সের সরাসরি পরিষেবার পরিপূরক হিসেবে তাদের সঙ্গে কাজ করাটা ব্যাবসায়িকভাবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে ও স্টারলিংকের রূপান্তরকারী প্রভাব ভারতের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উদগ্রীব। আমরা প্রতিনিয়ত বিস্মিত হই যখন দেখি, মানুষ, ব্যবসা ও সংস্থাগুলো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কী কী অসাধারণ ও অনুপ্রেরণামূলক কাজ করছে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও ভারতের ব্রডব্যান্ড বাজারে শীর্ষে রয়েছে, যার এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ওয়্যার্ড ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে। একই সঙ্গে জিওর প্রায় ৫০ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।
এয়ারটেলেরও প্রায় ৩০ কোটি ব্রডব্যান্ড গ্রাহক রয়েছে।
তবে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগ রয়েছে, দুই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয়ে স্পেকট্রাম কিনেও তারা এখন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের কারণে গ্রাহক হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
ঢাকায় ফেরার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কানাডায় গেছেন রাষ্ট্রদূত হারুন রশিদ


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় তার এবং তার পরিবারের পাসপোর্টসমূহ বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি তার পদে বহাল থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে, তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। গত ৬ মার্চ তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি ফেরত আসেননি।’
আজ তার ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি ‘বাংলাদেশের জন্য এবং আমার নিজের জন্য একটি আবেদন বিষয় : ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের অরাজকতার অবতরণ – বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক’ শীর্ষক একটি লেখা পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রায়িত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন করে ফেসবুকে এ ধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের লেখার বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এ ধরনের রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে।