লন্ডনে নৌকা বাইচ: দাঁড় আল আরকাম চ্যারিটির সাফল্য

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:৩২ 180 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:৩২ 180 ভিউ
Link Copied!

লন্ডন অফিস: লন্ডনের রিগাটা সেন্টারে রোববার ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে দাঁড় আল আরকাম চ্যারিটি। দাঁড় আল আরকাম দলটি অসামান্য দক্ষতা এবং প্রতিভা প্রদর্শন করে প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।

এ বছর নৌকা বাইচে মোট ২৬ টি দলের মধ্যে দাঁড় আল আরকাম চ্যারিটির দলটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। শুরু থেকেই চমৎকার সমন্বয় ও কৌশল প্রদর্শন করে তারা দ্রুতগতিতে প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়।

দলনেতা হাসান চৌধুরী শিপন বলেন, “এই জয় শুধুমাত্র আমাদের দলীয় প্রচেষ্টার ফল নয়, বরং এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রম, ঐক্য এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা গর্বিত যে আমরা চ্যারিটির নামে এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।”

বিজ্ঞাপন

দাঁড় আল আরকাম চ্যারিটির এই সাফল্যে স্থানীয় বাসিন্দারা দারুণ উৎসাহিত। প্রতিযোগিতা শেষে দলটির প্রতি সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ও অভিনন্দনের ঢল নেমে আসে। চ্যারিটির ফান্ডরাইজিং ম্যানেজার হাসান চৌধুরী বলেন, “আমরা এই জয়ে গর্বিত। এটি চ্যারিটির ভবিষ্যৎ কাজকে আরও উৎসাহিত করবে এবং আমাদের সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

নৌকা বাইচের মতো ইভেন্টের মাধ্যমে দাঁড় আল আরকাম চ্যারিটি শুধু আনন্দ ও বিনোদনের সুযোগই তৈরি করেনি, বরং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মসজিদে শিশু এবং বাচ্চাদের তাদের পিতা-মাতার সাথে বন্ধন এবং আনন্দ দিয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। চ্যারিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, অনুদানের টাকা প্যারেন্টস স্টে এন্ড প্লে সেশনের জন্য ব্যয় করা হবে।

দাঁড় আল আরকাম চ্যারিটির এই সাফল্য শুধু তাদের নিজস্ব গৌরবই নয়, বরং এটি সমাজের উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার ও চেষ্টার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

বিজ্ঞাপন

ট্যাগ:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ’র ভিসি-ডিনসহ একযোগে ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১২:৪৮ 28 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১২:৪৮ 28 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য (ভিসি) আবুল কাসেম মিয়া পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ আরও দশজন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ভিসি আবুল কাসেম মিয়া।

উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দশজন শিক্ষক একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করা বাকি দশজন শিক্ষক তাদের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনের সূচনার বিষয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বাবা মৃত্যুবরণ করায় তিনি নির্ধারিত সময়ে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে বাবার মৃত্যুর সনদপত্র জমা দিতে বলেন। শিক্ষার্থী নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী মৃত্যুসনদ জমা দিলেও পুনরায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাকে অতিরিক্ত ফি পরিশোধের কথা জানানো হয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটি মূলত সারা বছর ধরে জমে থাকা অসন্তোষ ও নানা অভিযোগের প্রতিফলন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক অনিয়ম, প্রশাসনিক অব্যবস্থা এবং অসন্তোষজনক ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন। বাবার মৃত্যুর ঘটনার মাধ্যমে সেই ক্ষোভ বড় পরিসরে প্রকাশ পেয়েছে মাত্র।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির প্রতি কোটি কোটি মানুষের আস্থা রয়েছ: তারেক রহমান

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:১৪ 11 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:১৪ 11 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: তারেক রহমান বলেছেন, গত ১৫ বছর আপনারা প্রায় প্রতিটি নির্যাতিত হয়েছেন এদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, একটি রাজনৈতিক হিসেবে সফলতা হিসেবে দেখি যখন আমাদের মিছিলে অনেক লোকজন, মিছিল অনেক লম্বা। আমি আজ থেকে ৭ মাস আগে বলেছিলাম অদৃশ্য অনেক শক্তি, অদৃশ্য অনেক শত্রু রয়েছে। আজকে তা সত্য হচ্ছে। অদৃশ্য অনেক শত্রু, প্রতিপক্ষ আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদের মাঝে কেউ যদি জনসমর্থন কমে যায় এমন কাজ করে তাকে এড়িয়ে যেতে হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্টকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথ বলেন তিনি।

বক্তব্য তারেক রহমান বলেন, যতগুলো রাজনৈতিক সরকার বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে হিসেব করলে জনগনের কল্যানের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ বিএনপি করেছে। এই দলের প্রতি কোটি কোটি মানুষের আস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তারেক রহমান বলেন, আমরা এই দেশের ২০ কোটি মানুষের সামনে কমিটমেন্ট দিয়েছি ৩১ দফার মাধ্যমে। আমরা তা জনগণের সমর্থনে তা বাস্তবতায়ন করবো। আমরা এমন সময় দেশ ও জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিলাম যখন স্বৈরাচারী সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কথা বলার সাহস করতো না কেউ। কিন্তু আমরা স্বৈরাচারীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ৩১ দফা দিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ করেছে এই দল। বাংলাদেশ খাদ্যে সয়ং সম্পূর্ণ ও বিদেশে রপ্তানি, খাল খনন, কৃষক পানি সমস্যার সমাধান করা, নারর শিক্ষা, অর্থনৈতিকভাবে দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, শিল্পায়ন বিপ্লব ঘটনোর জন্য সংস্কার ও কাজ করছ। বিভিন্ন কথা বলতে পারে ভিন্ন মতের মানুষ। গণতান্ত্রিক দেশের ভিন্ন মত থাকতেই পারি। আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবো। সকলে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক(রংপুর বিভাগ) আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা ২০১৪ সালে নির্বাচনী পরিবেশ ছিলো না বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া ২০১৮ এর ভোটে তৎকালীন সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে ভোটে গেলেও নিরপেক্ষ ভোট হয়নি। সেসময়কার নির্বাচনে রাতের ভোটে প্রশাসনমহলও আওয়ামীগকে সহযোগীতা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

একই দিনে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির উদ্যোগে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি জেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ এবং স্ব স্ব জেলা ও উপজেলা বিএনপিসহ এর অংঘ সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন।

আগে মন্ত্রণালয় থেকে ফোন আসত কার জামিন হবে কারটা হবে না

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ | ১:৩০ 54 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ | ১:৩০ 54 ভিউ
Link Copied!

অনুপম নিউজ ডেস্ক: অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি মুলতুবি করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, সুপ্রিমকোর্টের বাজেট থেকে টাকা বাঁচিয়ে আদালতে কম্পিউটার কিনে দিতে হচ্ছে। কারণ, অধস্তন আদালতের বিচারকরা হাতে সাক্ষীর জবানবন্দি লিখেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় সেটা করে না। তারা ফোন করে ভয় দেখায়। তারা সিএমএমকে (মুখ্য মহানগর হাকিম) নির্দেশনা দেয় কাকে জামিন দিতে হবে, কাকে জামিন দেওয়া যাবে না।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকার আদালতে একজন সাক্ষীর (সজীব ওয়াজেদ জয়) সাক্ষ্যগ্রহনের প্রসঙ্গ টেনে শিশির মনির বলেন, তিনি সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন নিু আদালতে। সাক্ষ্য প্রদান শেষে বিচারক (অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর) এজলাস থেকে নেমে সাক্ষীর মান যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেজন্য তাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যান। কারণ, তিনি বিরাট সাক্ষী। এভাবে অধস্তন আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যতদিন সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ থাকবে, ততদিন স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পথে বাধা থাকবে। এটা চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা অরিজিনাল সংবিধানের বিধান প্রতিস্থাপন চেয়েছি। যেখানে সবকিছু সুপ্রিমকোর্টের ওপর ছিল। অতি দ্রুত পৃথক সচিবালয় চেয়েছি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অ্যামিকাস কিউরি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া।

শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনিরের কাছে আদালত জানতে চান কেন পৃথক সচিবালয় দরকার। জবাবে আইনজীবী শিশির মনির অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন খবরদারির তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়া অধস্তন আদালতের বিচারকদেরও বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সংবিধানের ২২, ১০৭ ও ১০৯ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ২২ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগের পৃথক্করণের কথা বলা হয়েছে। আদালতগুলোর ওপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে ১০৯ অনুচ্ছেদে। আর ১০৭ অনুচ্ছেদে রয়েছে আদালতের রীতি ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিগুলো প্রণয়নের ক্ষমতা। সবসময় সুপ্রিমকোর্টের সুপারভিশনে প্র্যাকটিস ডাইরেকশন জারি করা হয়।

যেমন: আইনজীবীদের পোশাক পরিবর্তন করা হয়। এটা কীভাবে হয়? এটা ১০৭ অনুচ্ছেদের অধীনে করা হয়। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, কে কোন বিভাগে যাবে (অধস্তন আদালত মনিটরিং)। এটা ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে হয়।

এ নিয়ে শিশির মনির বলেন, মাঝেমধ্যে আমাদের প্রধান বিচারপতি বলেন যে, আমরা দ্বৈত শাসনের মধ্যে আছি। এ দ্বৈত শাসনটা কেমন? আপনারা (হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) অধস্তন আদালত ভিজিট করে অনিয়ম-নিয়ম দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, এসে রিপোর্ট করছেন, কিন্তু আপনারা কোনো ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস ইস্যু করতে পারছেন না। কারণ, ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস ইস্যু করতে যেতে হবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের (আইন মন্ত্রণালয়) কাছে।

সুপ্রিমকোর্ট এটা (ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস) ইনিশিয়েট করতে পারে না। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের কাছে পরামর্শের জন্য পাঠায়। অথচ অধস্তন আদালতের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব সুপ্রিমকোর্টের। সে জায়াগায় শুধু সার্কুলার ইস্যু করে তাদের (অধস্তন আদালতের) দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করছে সুপ্রিমকোর্ট।

শুনানির একপর্যায়ে শিশির মনির আরও বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি দেখার পর আর সুপ্রিমকোর্ট কিছু করতে পারছে না। তখন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (আইন মন্ত্রণালয়) দরকার। যখন বদিল করতে চায়, তখন তারা (সুপ্রিমকোর্ট) পারছে না। যখন পদোন্নতি দিতে চায়, তখন পারছে না। যখন ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে চায়, তখন পারছে না। প্রধান বিচারপতি বলছেন, দিস ইস, হোয়াট ইজ এ দ্বৈত শাসন। এক শাসন প্রধান বিচারপতির হাতে। আরেক শাসন আইন মন্ত্রণালয়ে। যাবে কোথায়? সংবিধান অনুসারে সব করে দিচ্ছি। কিন্তু বদলিও করতে পারি না, পদোন্নতিও দিতে পারি না। ডিসিপ্লিনারির অ্যাকশনও নিতে পারি না!

অধস্তন আদালতের ১৫ বিচারক নিয়ে দুদকের চিঠি নিয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বৃহস্পতিবার একটা খবর বেরিয়েছে। অধস্তন আদালতের ১৫ জন বিচারক নিয়ে দুদক চিঠি ইস্যু করেছে। আনফরচুনেটলি এরা অনেকে ঢাকার সিএমএমএ ছিল। আপনি যদি একজন পেশকারকে জিজ্ঞাসা করেন ওমুকের নামে এটা হয়েছে, তারা বলবে, স্যার ঠিক আছে। এটা এমনে এমনে হয়নি। তাদের দিয়ে রাজা-বাদশাহর ক্ষমতা এক্সারসাইজ করা হয়েছে। তাদের কলিগরা (অন্য বিচারকরা) তাদের দ্বারা নির্যাতিত। বিকজ অদৃশ্য হাত। তাদের মাধ্যমে বাকিদের নিয়ন্ত্রণ করত। এমনকি বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত দিলে বলত, আগে অমুকের সঙ্গে আলাপ কর।

সাবেক মেয়র লিটন ও তার স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৪৬ 8 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৪৬ 8 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক প্রতিরোধ আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মেয়র থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।

এছাড়াও তার নিজ নামের ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এসব টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী শাহীন আকতার স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৪৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।

এছাড়াও তার নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তিনি এসব টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় শাহীন আকতার ও স্বামী এএইচএম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান পিতার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।

তার নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আরও ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এ মামলাতেও আনিকা ছাড়াও তার পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আসামি করা হয়েছে।

ফের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১:২৩ 16 ভিউ
দৈনিক প্রেসনোট
আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১:২৩ 16 ভিউ
Link Copied!

প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।সহকারী শিক্ষক পদকে চাকিরতে ঢোকার পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান শনিবার বিকালে বলেন, “প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি শিক্ষকদের বেতন এন্ট্রি লেভেলে ১২তম গ্রেডে নির্ধারণ ও চার বছর পর পদোন্নতি দিয়ে ১১তম গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি এন্ট্রি পদেই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন। আর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।

বিজ্ঞাপন

“আগামী ৫ মে থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে। ৫ থেকে ১৫ মে এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। আর ২১ থেকে ২৫ মে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। আর ২৬ মে থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।”

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।

কমিটির পক্ষ থেকে, সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ১২ তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেছিলেন, “বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন এবং প্রধান শিক্ষকের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে।

সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অর্ন্তবর্তী সুপারিশ হল, শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরো দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।

“প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে সুপারিশ হল, সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ এবং সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন।”

শিরোনাম:
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ’র ভিসি-ডিনসহ একযোগে ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ জাপানকে হটিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এখন ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদা দেব বিমানবন্দরে: প্রধান উপদেষ্টা ২১ দিনে প্রায় ১.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বিএনপির প্রতি কোটি কোটি মানুষের আস্থা রয়েছ: তারেক রহমান আদালতে দুই আইনজীবীর আত্মসমর্পণ সাবেক মেয়র লিটন ও তার স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে হামাস এবং হিজবুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সিলেট টেস্ট: জিম্বাবুয়ের দাপটে বাংলাদেশ বিবর্ণ দেশের বাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশের দাবি, উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির গ্রেফতার ট্রাম্পের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন বুধবার নববর্ষ উদযাপন, ড্রোন শোতে ঝলমলে ঢাকার আকাশ বেইজিংয়ে ঝড়ের তাণ্ডব: ওজন ৫০ কেজির কম হলেই উড়িয়ে নেবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হবে সকাল ৯টায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে ফের সরবরাহ শুরু