ইস্টহ্যান্ডসের ফ্রি স্মার্ট ফোন পেলেন ৪০ জন


লন্ডন অফিস: লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক চ্যারিটি সংস্থা ইস্টহ্যান্ডস, গুড থিংস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ২০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ৪০টি স্মার্ট ফোন বিতরণ করেছে।
যারা বেনিফিট ও ইউনিভার্সেল ক্রেডিটে আছেন এমন মানুষদের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট একসেস নেয়ার জন্য ন্যাশনাল ডিভাইস ব্যাংকের কাছ থেকে গুড থিংস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফোনগুলো ইষ্টহ্যান্ডস চ্যারিটি বিতরণ করেছে।
এই উদ্যোগটি ইস্টহ্যান্ডসের পূর্ববর্তী ফ্রি সিম কার্ড বিতরণক্যাম্পেইনের ধারাবাহিকতা, যা ভার্জিন মোবাইল, থ্রি মোবাইল, এবং ভোডা ফোনের সহযোগিতায় করা হয়েছিল এবং স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছিল। চলমান এই প্রচেষ্টায় মোবাইল ডিভাইসের সংযোজন সাধারন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল অ্যাক্সেসে জরুরি প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে।
স্মার্ট ফোন হাতে পেয়ে সাফিয়া খাতুন নামের এক নারী বলেন, তিনি তার ভিন্নভাবে সক্ষম ছেলেকে নিয়ে থাকেন। একটি স্মার্ট ফোন কেনার সামর্থ ছিলো না। এই স্মার্ট ফোন পেয়ে ভালো লাগছে।
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে স্মার্ট ফোন বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ইষ্টহ্যান্ডসের ট্রাস্টি ও চেয়ারম্যান নবাব উদ্দিন, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের, ট্রাস্টি বাবলুল হক, সিইও আ স ম মাসুম, সাংবাদিক -ো ফুটবল কোর্ডিনেটর আহাদ চৌধুরী বাবু, ভলান্টিয়ার কোর্ডিনেটর রুমানা রাখি, মোহাম্মদ কিনু, মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম. বিশ্বদীপ দাশ, ইস্টহ্যান্ডস এম্বাসেডার সাংবাদিক পলি রহমানসহ আরো অনেকে।
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের বলেছেন, ইষ্টহ্যান্ডস অসাধারণ ব্যাতিক্রমী প্রজেক্ট ডেলিভারি করে। আজকের স্মার্ট ফোন ডেলিভারি অনুষ্ঠান তারই একটি উদাহরণ। আজকে যারা এসেছিলেন তাদের সবাই কষ্ট অব লিভিং ক্রাইসিসে ভুগছেন। তাদের এই স্মার্ট ফোন খুব কাজে লাগবে।
ইষ্টহ্যান্ডস চেয়ারম্যান নবাব উদ্দিল বলেন, ইষ্টহ্যান্ডস চ্যারিটি ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক ও গুড থিংস ফাউন্ডেশনের সাথে পার্টনারশিপে কাজ করছে। এই লটে আমরা ফ্রি ৪০ টি স্মার্ট ফোন দিয়েছি। এর আগে আমরা ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংকের সহায়তায় ৪০ জনকে ফ্রি ইন্টারনেটসহ সিম দিয়েছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক:: খুলনা নগরীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)।
৮ জুলাই দুপুরে কেএমপির সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত ১০ মাসে কেএমপি এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দু’টি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ওই দু’টি হত্যাকাণ্ডের মামলা নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪ টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামিদের আটক করা হয়েছে। বাকি দু’টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্তকাজে অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদক বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে, তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেনো সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবকসহ সবাইকে নজর দিতে হবে।
পুলিশ কমিশনার জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে: ইসি


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলব এটাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন।
আরএফইডি সভাপতি এমাদ উদ্দীনের (জেবেল) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমি মনে করি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অর্ধেক পথ এগিয়ে গেছি। যেদিন ভোটাররা একদম নিশ্চিন্তে, নিজস্ব উদ্যোগে এবং বিনাবাধায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বুথ থেকে বের হতে পারবে, সেই দিনই আমরা বলব ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনও কিন্তু এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন সমালোচনা করে বলে যে, রাতে ভোট দিয়েছে এবং জালিয়াতি করেছে। আমি তখন খুবই কষ্ট পাই। এই অপবাদ সবাইকে নিতে হচ্ছে কেন। ভোটের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের কাছে আমার একটি আবেদন থাকবে। সেই আবেদন হল আমরা সবাই মিলে ১৯৯১ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়েছি। এখন কেন পারব না। আমাদের পারতেই হবে। ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব কর্মকর্তাদের বলব এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হল সুযোগ।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে, পজিটিভ ক্যাপশন দিলে কেউ পড়তে চায় না। নেগেটিভ কিছু একটা লিখলে সেটার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। আমি অনেক সময় দেখেছি সংবাদের ভেতরের লেখা ঠিকই লিখেছেন কিন্তু বোল্ড করে ক্যাপশন যেটা আছে সেটা নেগেটিভ ম্যাসেজ দিচ্ছে। এজন্য যারা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করেন তারা একটু বিবেচনার সাথে ক্যাপশন দিবেন। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। এছাড়া টিভি স্ক্রল যারা দেবেন তাদের প্রতিও অনুরোধ, আমরা যেটা ভালো বলছি সেখান থেকে ক্যাপশন দেবেন। দয়া করে ক্যাপশন এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।’
ল’ রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে দেশবাসী আইন অঙ্গন সম্পর্কে জানতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা তা- ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারাদেশ জানতে পারছে।
আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইন অঙ্গন এমনভাবে তুলে ধরছে যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট প্রতিনিধি ছিলাম ঢাকা কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আপনারা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকরা ল’ রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করবো। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখবো।
সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি হাসান জাবেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্য সচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, ফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো: মাকসুদ উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকায় হোটেল ও ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে পচা ডিমের ব্যবহার, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহর নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান জানান, পঁচা ডিম ব্যবহার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুতের অভিযোগে গুলিস্তান হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, তেলাপোকার উপদ্রব ও অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরের পরিবেশ পাওয়ায় আজাদী হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা, শিল্প লবণ ব্যবহার ও পরিচ্ছন্নতার ঘাটতির কারণে গণি হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে কাদের ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা এবং ঔষধের গায়ে দাম কেটে অধিক দামে বিক্রি করার অপরাধে শফি ইনানী ফার্মেসিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
অভিযান চলাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, মো. আনিছুর রহমান ও মাহমুদা আক্তার।
সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সাহায্যে লন্ডনে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত


লন্ডন অফিস: বাংলাদেশে তিনটি হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অন্যতম একটি হচ্ছে সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল। সম্প্রতি সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় দুটি হার্ট রিলেটেড মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ফ্রেন্ডস অফ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্য কমিটির মাধ্যমে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেছে। এই বিষয়ে ৭ জুলাই লন্ডনের ব্যাকসলী মহারাজা রেস্টুরেন্টে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান আহমেদ উস সমাদ চৌধুরী জেপি এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শিক্ষাবিদ মনসুর আহমদ খানের সঞ্চালনায় বিশেষ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন শহর থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন।
সভার শুরুতেই মহাগ্রন্ত কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের রিলিজিয়াস সেক্রেটারি শেখ ফারুক আহমদ।
স্বাগত বক্তব্যে আহমেদ উস সমাদ চৌধুরী হাসপাতালের কার্যক্রম ও বিগত দিনে সকলের সহযোগিতা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এবং হার্টের রোগীদের বিশেষ কাজে ব্যবহার হওয়ার দুটি মেশিন কিনতে সকলের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সহ-সভাপতি ও সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিছবাহ জামাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এস আই আজাদ আলী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ আলাউদ্দিন এতে বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে একটি অভিন্ন কথা উঠে এসেছে, সেটি হল, বাংলাদেশে হার্টের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট শহরে অবস্থিত হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিদিন বহু মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু কিছু মেশিন না থাকায় জটিল রোগীদের ঢাকায় প্রেরণ করতে হয়। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ক্রয় করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এ দুটি মেশিন ক্রয়ে আর্থিক সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় উপদেষ্টা যথাক্রমে এম শামসুদ্দিন, এম এ মুনিম ওবিই বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী খছরু খান, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, আলহাজ্ব এনামুর রহমান, জাকির চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, আব্দুল নূর, শেরওয়ান কামালি, কামাল আহমেদ ও ইউনুস আলী, টিপু চৌধুরী, শাহ মোস্তাকিম, এমএ সাত্তার নূর।
সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আশিক চৌধুরী, মোঃ আব্দাল মিয়া, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, গোলাম রব্বানী আহাদ রুহি, ডাক্তার সাঈদ মাসুক আহমদ, মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন, রেজাউল করিম মৃধা, মতিউর রহমান খোকন, মুহি আহাদ, রফিকুল হায়দার, চ্যানেল এস’র হেড ওফ প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খান, কামরুজ্জামান ইসহাক জিতু, আব্দুল মোহিত চৌধুরী।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথি ও সদস্যবৃন্দ এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করার জন্য এগিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনকে সম্পৃক্ত করার কথা উল্লেখ করেন।
বিশেষ এ সভায় তাৎক্ষণিকভাবে অনেকেই পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার এবং সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। সভায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে এ ধরনের সভা আয়োজনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিশেষ এ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা এবং সদস্যপদ গ্রহণ এবং স্থায়ী ডোনার হয়েছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মুহিব উদ্দিন চৌধুরী।
সবশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।