ইস্টহ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটির ৩য় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত


লন্ডন অফিস: মানবতার কল্যাণে, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের জন্য বিশেষ করে যারা অন্ধ, বোবা, কানে শুনে না, তাদের কল্যাণে অর্থ সংগ্রহর লক্ষ্যে বিলেতের স্বনামধন্য চ্যারেটি সংস্থা ইস্টহ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটির ৩য় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ২১জুলাই (রবিবার) ২০২৪, রেডব্রিজ স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে হয়েছে।
লন্ডন ছাড়াও বৃটেনের বিবিন্ন শহর থেকে প্রায় ২২০ জন খেলোয়াড় এই খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। বিলেতের ইতিহাসে অন্যতম এই বৃহত্তর টুর্নামেন্ট সকাল সাড়ে ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ইস্টহ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও সমাজসেবক সাংবাদিক নবাব উদ্দিন খেলা উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন বিশ্বব্যাপী আর্ত মানবতার সেবা ও ব্রিটেনের লোকাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটি যাত্রা শুরু করে। সবার সহযোগিতায় অল্পদিনের ব্যবধানে ইতিমধ্যে অনেকগুলো প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আগামিতে সিলেটে একটি মাল্টিপারপাস সেন্টার তৈরির লক্ষ্যে বিবিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি আজকের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় স্পেশাল নিডস বাচ্চাদের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বড় পরিসরে একটি স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নে সবার আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
এই প্রজেক্টের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিলেতের সবার পরিচিত মুখ সাংবাদিক ও ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক মো: আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়ামোদী মাহিদ চৌধুরী, বাবলুল হক, আ স ম মাসুম ও সাবেক কাউন্সিলর আতাউর রহমান। তাদের নেতৃত্বেই ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের জন্য বিশেষ করে যারা অন্ধ, বোবা, কানে শুনে না তাদের কল্যাণে এই অর্থ এই প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
যারা ইষ্টহ্যান্ডস ব্যাডমিণ্টন টুর্নামেণ্ট বিজয়ী হয়েছেন তারা হলেনঃ
ক্যাটাগরি এ – উইনার: শামীম ও উইলিয়াম, রানার-আপ: জুয়েল ও আবিদ এবং তৃতীয় স্থান: মাকবুল ও ওলি।
ক্যাটাগরি সি – উইনার: রিবু ও রিয়াদ। রানার-আপ: জুবায়ের ও আলিম এবং তৃতীয় স্থান: আল-আমিন ও জেইন
ক্যাটাগরি ডি – উইনার: আলি ও সুমন, রানার-আপ: ইমতিয়াজ ও ইলিয়াস এবং তৃতীয় স্থান: মুকিত ও রাহাত
বিশেষ ক্যাটাগরি – উইনার: এহিয়া ও নুমান, রানার-আপ: জামাল খান ও বেলাল এবং তৃতীয় স্থান: বাবলুল হক ও মো. জাহেদি ক্যারল।
বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও নগদ অর্থ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামি সানাউল্লাহ, সিইও ট্রাভেলিঙ্ক ওয়ার্ল্ডওয়াইড, তোফাজ্জল মিয়া, এন্টারপ্রোনার এবং ডিরেক্টর অব কারপ্ল্যানেট, এম এ মুনিম সালিক, শেফ অনলাইন, কাউন্সিলর হারুন, সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলর জুৎসনা ইসলাম, মো. দেলোয়ার হুসেন, জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ সেন্টার, ইমামুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় লেকচারার, আলি মো. জাকারিয়া, চেয়ারম্যান, গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল, এম এ রহিম, ব্যাংক অব এশিয়া আব্দুর রহমান, মো. আখতার মো. বদরুজ্জামান, ড. রুহাব উদ্দিন প্রমুখ।
আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও সমাজসেবক, ইস্টহ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটির চেয়ারম্যান সাংবাদিক নবাব উদ্দিন, সিইও আ স ম মাসুম, ট্রাস্টি ও উপদেষ্টা বাবলুল হক, ট্রাস্টি ও উপদেষ্টা সাংবাদিক মো: আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, ব্যাডমিন্টন টুর্নামেণ্ট ইনচার্জ সাবেক কাউন্সিলর আতাউর রহমান, ব্যাডমিন্টন কো-অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ট্রেজারার সালেহ আহমদ, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ, ফুটবল কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক আহাদ চৌধুরি বাবু, নাছির উদ্দীন, টুর্নামেন্ট ইনচার্জ, মাহিদ চৌধুরী – সিনিয়র ব্যাডমিন্টন কো-অর্ডিনেটর, ফকরুল ইসলাম, ব্যাডমিন্টন কো-অর্ডিনেটর হাবিব রহমান। স্বেচ্ছাসেবক জামাল খান,
মো. ইমন, শামসুল হক এহিয়া, ব্যাডমিন্টন কোচ সুহান খান, মো. নাসির, স্বেচ্ছাসেবক ও ফটোগ্রাফার নাহিদ জাইগিরদার, আব্দুস শাহিদ মহসিন, গোলাম মোহাম্মদ কিনু, জুনিয়র কিনু প্রমুখ।
এখানে উল্লেখ ২০২০ সালে আর্ত মানবতার সেবায় ও মানবতার কল্যাণে বিশ্বব্যাপী কাজ করার লক্ষে ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটি সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে। এই চ্যারিটির যাত্রা শুরুর পরই বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। ইস্টহ্যান্ডস এই বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যেও তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে অবিরাম।
ইষ্টহ্যান্ডস গত সাড়ে চার বছরে ব্রিটেন, বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও ইউরোপে নানা কার্যক্রম সফলতার সাথে অব্যাহত রেখেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্রিটেনে কোভিডকালীন ফুডব্যাংক পরিচালনা, বাংলাদেশী কমিউনিটিতে কোভিড সচেতনতা ক্যাম্পেইন পরিচালনা, গরিব অসহায় অসুস্থ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান। এছাড়া রমজানে হোমলেস ও ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, নিউ ইয়ারে হোমলেসদের গরম খাবার বিতরণ ইত্যাদি ।
একই সময়ে বাংলাদেশে রমজান, ঈদ, বন্যা, হাউজিং প্রজেক্টে ইস্টহ্যান্ডস নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সেই সাথে বাংলাদেশে সিলেটে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও বরিশালে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য পরিচালিত দুটি প্রতিষ্ঠানে ইস্টহ্যান্ডস নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে ইষ্ট হ্যান্ডসের মাধ্যমে। সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে এই চ্যারিটি সংস্থাটি।
পূর্ব আফ্রিকার খরাপীড়িত সোমালিল্যান্ডে নিরাপদ পানির জন্য একাধিক পানির ট্যাংক প্রতিস্থাপন করার প্রজেক্টও সফলভাবে সম্পন্ন করে চ্যারিটি সংস্থাটি। ইতোমধ্যে ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটি সংস্থার মাধ্যমে গত বছর যতগুলো কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে তা আমাদের প্রকাশিত নিউজ লেটারে বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, আপনাদের সামনে আজ তা উপস্থাপন করা হয়েছে। ইস্টহ্যান্ডসের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই সংবাদকর্মী হওয়ায় শুরু থেকেই সাংবাদিকদের সহযোগিতা ছিলো অভাবনীয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে নিয়মিত প্রচার প্রচারণায় এই অল্প সময়ের মধ্যেই ইস্টহ্যান্ডস ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আস্থার নাম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। ইস্টহ্যান্ডস গত সাড়ে তিন বছরের যেভাবে কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগিতা পেয়েছে তেমনি ব্রিটিশ মূলধারার অন্যান্য কমিউনিটিরও সহযোগিতা পেয়েছে। ইস্টহ্যান্ডসের ডোনারদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য এথনিক কমিউনিটির মানুষ।
এই সাড়ে চার বছরে ইস্টহ্যান্ডসের সাথে পার্টনারশিপ হয়েছে ন্যাশনাল লটারি, কমিউনিটি ফান্ড, দ্যা আলবার্ট হার্ট ট্রাষ্ট, আমাজন স্মাইল, এনএইচএস ট্রাস্ট ও টাওয়ার হ্যামলেটেস মতো অনেক বড় প্রতিষ্ঠান।
এই মহতি উদ্যোগের সাথে স্পন্সর হিসাবে যুক্ত আছেন কার প্ল্যানেট, ট্রাভেলিঙ্ক ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেড
কিংডম সলিসিটর্স, বিএ এক্সচেঞ্জ (ব্যাংক অফ এশিয়া), ফিস্ট অ্যান্ড মিষ্টি, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউড লিমিটেড, মাহি অ্যান্ড কো, এলআইএম সলিউশনস, কারজোন, অ্যাম্পল।
এছাড়াও সার্বিক সহযোগিতায় আছে রানার মিডিয়া, আলফা প্রিন্টিং ও রেডব্রিজ স্পোর্টস সেন্টার।
ইস্টহ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটির সিলেটের নতুন প্রজেক্টসহ সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত রাখার আহবান জানালেন ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটি সংস্থার চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি নবাব উদ্দিন।
সাবেক মেয়র লিটন ও তার স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক প্রতিরোধ আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মেয়র থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।
এছাড়াও তার নিজ নামের ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এসব টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী শাহীন আকতার স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৪৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।
এছাড়াও তার নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তিনি এসব টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় শাহীন আকতার ও স্বামী এএইচএম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান পিতার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।
তার নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আরও ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এ মামলাতেও আনিকা ছাড়াও তার পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদা দেব বিমানবন্দরে: প্রধান উপদেষ্টা


অনুপম নিউজ ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবাসীদের সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য সেবা আরও সহজ করার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদায় সেবা প্রদান করা হবে।প্রবাসীদের দেশে আসা-যাওয়া যেন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’
বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রবাসীদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা আজ যে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পেরেছি তার মূলে আপনারা। আপনারা সহযোগিতা না করলে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম না। আপনারা কখনো আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন ভাববেন না।’
বিমানে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে কার্গো ভাড়া কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। এর জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিমান পরিবহণ দ্রুত করা এবং কার্গো ভাড়া কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ঢাকা বিমানবন্দর ছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকে কিভাবে সহজে পণ্য পরিবহণ করা যায়, তা নিয়েও আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, সাধারণত যাত্রী পরিবহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে এখন আমরা বিমানে পণ্য পরিবহণকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, পাসপোর্টসহ সব ধরনের সেবা অনলাইন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারকে পরামর্শ দিতে তিনি প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
২১ দিনে প্রায় ১.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে


২০২৪-২৫ অর্থবছরে এপ্রিল মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রায় ১.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা প্রবাসী আয়ের প্রবাহে ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে মার্চ মাসে রেকর্ড পরিমাণ ৩.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২৪ সালের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২৪ সালের পুরো এপ্রিল মাসে দেশে পাঠানো প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২.০৪ বিলিয়ন ডলার। তার বিপরীতে চলতি বছর এপ্রিলের ২১ দিনের মধ্যেই এসেছে ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে একদিনে বাংলাদেশ ৮৫ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত রেমিট্যান্স ২৮.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৭৫ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই ২০২৩ থেকে ২১ এপ্রিল ২০২৪) ছিল ১৮.৪৭ বিলিয়ন ডলার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ’র ভিসি-ডিনসহ একযোগে ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য (ভিসি) আবুল কাসেম মিয়া পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ আরও দশজন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ভিসি আবুল কাসেম মিয়া।
উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দশজন শিক্ষক একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করা বাকি দশজন শিক্ষক তাদের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আন্দোলনের সূচনার বিষয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বাবা মৃত্যুবরণ করায় তিনি নির্ধারিত সময়ে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে বাবার মৃত্যুর সনদপত্র জমা দিতে বলেন। শিক্ষার্থী নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী মৃত্যুসনদ জমা দিলেও পুনরায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাকে অতিরিক্ত ফি পরিশোধের কথা জানানো হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটি মূলত সারা বছর ধরে জমে থাকা অসন্তোষ ও নানা অভিযোগের প্রতিফলন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক অনিয়ম, প্রশাসনিক অব্যবস্থা এবং অসন্তোষজনক ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন। বাবার মৃত্যুর ঘটনার মাধ্যমে সেই ক্ষোভ বড় পরিসরে প্রকাশ পেয়েছে মাত্র।
ফের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের


প্রেসনোট নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।সহকারী শিক্ষক পদকে চাকিরতে ঢোকার পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান শনিবার বিকালে বলেন, “প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি শিক্ষকদের বেতন এন্ট্রি লেভেলে ১২তম গ্রেডে নির্ধারণ ও চার বছর পর পদোন্নতি দিয়ে ১১তম গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি এন্ট্রি পদেই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন। আর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
“আগামী ৫ মে থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে। ৫ থেকে ১৫ মে এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। আর ২১ থেকে ২৫ মে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। আর ২৬ মে থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।”
বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটির পক্ষ থেকে, সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ১২ তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেছিলেন, “বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন এবং প্রধান শিক্ষকের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে।
সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অর্ন্তবর্তী সুপারিশ হল, শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরো দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।
“প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে সুপারিশ হল, সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ এবং সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন।”